নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২১
১৯৭৪ সাল। কিউবার সঙ্গে চুক্তির অজুহাত দেখিয়ে ৪৮০ টন গম পাঠালো না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে একটি কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ তৈরি করা হলো। অমর্ত্য সেন পরবর্তীতে গবেষণা করে দেখিয়েছেন খাদ্যের সংকট ছিল না, বরং সরবরাহের সংকট করে বাংলাদেশের ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষ তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় জালে জড়ানো বাসন্তীর ছবি সারা দেশে হৈচৈ ফেলে দেয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলে, মানুষের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি, অনাস্থা তৈরি হয়। অনেকদিন পর প্রমাণিত হলো যে, বাসন্তী ছিল একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ঐ ছবিটি একটি সাজানো ছবি ছিল। বাস্তবে এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
১৯৯১ সাল। নির্বাচনের আগে গুজব ছড়িয়ে দেয়া হলো যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ফেনী পর্যন্ত ভারতের অংশ হয়ে যাবে। এবং মসজিদে উলু ধ্বনি দেয়া হবে। এই অপপ্রচার চালিয়ে আওয়ামী লীগকে ঐ ভোটে হারিয়ে দেয়া হলো। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যা কিছু হয়েছে সবই অপপ্রচার। মালিবাগে একটি মিছিলের মধ্যে সুপার ইম্প্রোজ করে, অস্ত্র বসিয়ে দেখানো হলো যে আওয়ামী লীগের এমপি অস্ত্র নিয়ে মিছিল করছে। কিংবা ২০০১ এর নির্বাচনের আগে বিএনপির সাবাস বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে বলা হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ইসলাম থাকবে না। এ রকম নানা অপপ্রচার করেই বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করা হয়েছে, পরাজিত করা হয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা ছাড়া আওয়ামী লীগকে পরাজিত করা যায়নি। আর এই কৌশলটির বার বার আওয়ামী লীগের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই অপপ্রচার বন্ধের ক্ষেত্রে তেমন কোন যুতসই সমাধান পায়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে আবার একই অপপ্রচার হচ্ছে। তবে এবার বাসন্তী কিংবা সাবাস বাংলাদেশের মতো মিথ্যাচার নয়, এখন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন পুরোপুরি ভাবে জামায়াত এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির নিয়ন্ত্রণে। লন্ডনে বসে তারেক জিয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অর্থায়ন করছেন। সেই সমস্ত অর্থায়নে বিভিন্ন দেশে বসে সাইবার সন্ত্রাসীরা একের পর এক গুজব, মিথ্যাচার, নোংরামি করছে। এ সমস্ত মিথ্যাচার এমন জঘন্য পর্যায়ে গিয়েছে যে সাংবাদিকতার নূন্যতম রীতি-নীতি এখানে অনুসরণ করা হচ্ছে না। চরিত্র হনন, মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং কল্পনার সমস্ত সীমা রেখাকে অতিক্রম করে আকাশ কুসুম গুজব ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এই সমস্ত যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত কন্টেন্ট গুলো মানুষ পড়ছে, অনেকে বিশ্বাস করছে, অনেকে বিশ্বাস করছে না। গুগল তথ্য অনুযায়ী, একটি মিথ্যা যখন ১০ বার বলা হয় তখন তা সত্যে পরিণত হয়। একই মিথ্যাচার যখন ১০ জায়গা থেকে প্রচারিত হচ্ছে তখন সেটি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বটে।
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।