ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মৃত্যুভয়ে অশান্ত উপত্যকা ছেড়ে পালাচ্ছে বিহার আর ইউপি-র অভিবাসী শ্রমিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

রবিবার বিকেলে বৃষ্টিভেজা শ্রীনগর শেখ-উল-আলম এয়ারপোর্ট। টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের গা ঘেঁষে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের টিকিট অফিসের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন একদল গরিবগুর্বো মানুষ।

পরনে মলিন পোশাক, চোখেমুখে স্পষ্ট ভয়ের আভাস। এবং চেহারা দেখলেই পরিষ্কার বোঝা যায়, স্থানীয় কাশ্মীরিদের সঙ্গে দূরতম সম্পর্কও নেই তাদের, এরা এসেছেন সুদূর বিহার, উত্তরপ্রদেশ বা ঝাড়খন্ড থেকে।

কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে গিয়ে যেটা বুঝতে পারলাম তা হল, যে কোনওভাবে পাঁচ-সাত হাজার রুপির সঞ্চয় জড়ো করে তারা দিল্লির যে কোনও একটা প্লেনের টিকিট কাটতে বাক্সপ্যাঁটরা নিয়ে বিমানবন্দরে চলে এসেছেন।

আর যাদের হাতে অতটাও পয়সা নেই, তারা যাচ্ছেন জম্মুগামী বাসের টার্মিনাসে বা শেয়ারের ট্যাক্সি ধরতে - যে কোনওভাবে ভ্যালি থেকে পালানোই তাদের লক্ষ্য।

এয়ারপোর্টে আসার পথে শহরের একটা `লেবার চকে`ও দেখেছি এই আতঙ্কিত শ্রমিকদের ভিড়। অচেনা লোক দেখেই ভয়ে সিঁটিয়ে যান তারা, মুখে কুলুপ আঁটেন।

আসলে গোটা কাশ্মীর উপত্যকা জুড়েই বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো নানা রাজ্য থেকে অভিবাসী শ্রমিকরা আসেন একটু বেশি উপার্জনের আশায় - কারণ সেখানে নির্মাণ শিল্পের মজুর হিসেবে বা ছোটখাটো জিনিসপত্র বেচে রোজগারের সুযোগ বাকি দেশের চেয়ে অনেক বেশি।

ভোরবেলায় তারা অনেকেই জড়ো হয়ে যান শ্রীনগর, অনন্তনাগ, বারামুলার `লেবার চক`গুলোতে - যেখান থেকে ঠিকাদাররা তাদের সঙ্গে মজুরি নিয়ে দরাদরি করে নিয়ে যান কাজের সাইটে।

কেউ আবার রাস্তার মোড়ে মোড়ে বেচেন রোস্টেড হ্যাজেলনাট বা আখরোট, কেউ বসেন জ্যাকেট-জাম্পার-স্কার্ফের পসরা সাজিয়ে।

অভিবাসী শ্রমিক খুন

কিন্তু অক্টোবরের গোড়া থেকেই কাশ্মীরের এই ছবিটা আমূল বদলে গেছে - অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র ব্যক্তিদের হামলায় একের পর এক বেসামরিক মানুষ ও অভিবাসী শ্রমিক নিহত হওয়ার পর তারাই এখন উপত্যকা ছেড়ে পালাতে মরিয়া।

রবিবারও কুলগাম জেলার ভানপো-তে বিহারের দুজন নির্মাণ শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, আরও একজন মজদুর আহত হয়েছেন - এবং এই নিয়ে চলতি মাসে মোট ১১জন বেসামরিক মানুষ কাশ্মীরে প্রাণ হারিয়েছেন।

এর আগে বিহারি পানিপুরি বিক্রেতা অরবিন্দ শাহ-কে শ্রীনগরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মারা হয়, আর পুলওয়ামাতে গুলিতে মারা যান উত্তরপ্রদেশ থেকে কাশ্মীরে কাঠের মিস্ত্রির কাজ করতে আসা সাগির আহমেদ।

বিহারের সাসারাম থেকে আসা রূপেশ কুমার শ্রীনগরে আখরোট বেচছিলেন গত কয়েক মাস ধরে, তিনি জানাচ্ছেন "এই পরিবেশে আমার আর কাশ্মীরে থাকার সাহস নেই, হাতের মালটুকু বেচেই আমি গাঁয়ে ফিরে যাব।"

গয়া জেলার মুরারি কিষেণও আগামী সপ্তাহেই শ্রীনগর ছাড়বেন। তিনি পাশ থেকে যোগ করেন, "প্রশাসনের পক্ষে তো সবাইকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় ... কাশ্মীর ছেড়ে যেতই হবে, কারণ রোজগারের চেয়ে জীবনের দাম অনেক বেশি!"

কাশ্মীরিদের `বদনামের ষড়যন্ত্র`?

রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা বলছেন, কাশ্মীরিদের বদনাম করতেই ষড়যন্ত্র করে এই সব খুনখারাপি চালানো হচ্ছে - যদিও দেশে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছে এই সব হত্যাকান্ডের পেছনে পাকিস্তানের মদত আছে।

ফারুক আবদুল্লার কথায়, "নিরপরাধ মানুষদের এভাবে মারা খুবই অনুতাপের বিষয় এবং আমার ধারণা একটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই করা হচ্ছে।"

"আমি নিশ্চিত যে কাশ্মীরিদের এই সব হত্যাকান্ডে কোনও হাত নেই - বরং আমাদের, অর্থাৎ কাশ্মীরিদের বদনাম করতেই এগুলো করা হচ্ছে।"

পাকিস্তান দায়ী?

প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ওপর জোর দিলেও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি কিন্তু মনে করছে এই সব হত্যাকান্ডের পেছনে সরাসরি পাকিস্তানি মদত আছে।

জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপির সভাপতি রবীন্দ্র কুমার রায়নার কথায়, "কাশ্মীর উপত্যকায় নিজেদের মেহনত দিয়ে যারা দুপয়সা রোজগার করছিলেন, তাদের এরকম নৃশংসভাবে হত্যা করাটা একটা জঘন্যতম অপরাধ।"

"আমরা নিশ্চিত, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরাই এই টার্গেটেড কিলিংগুলো করছে - এবং পাকিস্তানের তরফে লাগাতার এই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে যাতে কাশ্মীরে একটা ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করে।"

হিন্দু পন্ডিতরাও পালাচ্ছেন

তবে এই সব হত্যার পেছনে যারাই থাকুক, কাশ্মীরের অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক যে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে কোনও ভুল নেই।

এ মাসের গোড়ার দিকে শ্রীনগরে গুলি করে হত্যা করা হয় ফিরিওলা বীরেন্দ্র পাসোয়ানকে - যিনি বিহারের ভাগলপুর থেকে এসে কাশ্মীরে রুটিরুজি কামাচ্ছিলেন।

ভাগলপুরে তাঁর স্ত্রী বলছিলেন, মারা যাওয়ার ঠিক আগেও তার সঙ্গে ফোনে স্বামীর লম্বা কথা হয়েছিল - আর তিনিও ধারদেনা সব চুকিয়ে দিনকয়েকের মধ্যেই দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছিলেন।

বীরেন্দ্র পাসোয়ানের সে স্বপ্ন সত্যি হয়নি, আর এখন একের পর এক হত্যাকান্ডের জেরে কাশ্মীরে বসবাসরত বেশ কয়েক হাজার অভিবাসী শ্রমিক ও কাশ্মীরি হিন্দু পন্ডিত পরিবার ভ্যালি থেকে পালিয়ে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

অক্টোবরের গোড়াতেই শ্রীনগরে গুলি করে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় হিন্দু পন্ডিত সমাজের সুপরিচিত ও প্রবীণ সদস্য মাখনলাল বিন্দ্রুকে, যিনি শহরে `বিন্দ্রু মেডিকেয়ার` নামে একটি বড় ওষুধের দোকান চালাতেন।

নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় হিন্দু পন্ডিতরা যখন হাজারে হাজারে উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, মাখনলাল বিন্দ্রু তখনও শ্রীনগর ছেড়ে যাননি। গত পঞ্চাশ বছর ধরে তার দোকান চালু থেকেছে একটানা।

সেই মাখনলাল বিন্দ্রুকেও যখন নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হয়েছে, তার জেরে উপত্যকায় টিঁকে থাকা কয়েকশো হিন্দু পন্ডিত পরিবারের মধ্যেও নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

ফলে বিহার-উত্তরপ্রদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের পাশাপাশি তুলনায় বেশ কিছুটা সম্পন্ন হিন্দু পন্ডিতরাও এখন দিল্লি বা জম্মুর প্লেনের টিকিট কাটতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের নির্বাচনী প্রচারণায় কংগ্রেস ও মুসলমানদের সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছেন প্রায় ২০ হাজার নাগরিক, যে চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।  

তারা বলছে, নির্বাচনি জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে।

ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসকেও।

সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনি জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনি ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা?

‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রূপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।

তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী   নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কৃষকদের মাথার খুলি-হাড় নিয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে, ঋণ শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করা কৃষকদের মাথার খুলি ও হাড় নিয়ে বিক্ষোভ করেছে ভারতের তামিলনাড়ুরর কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নয়াদিল্লির জন্তর মন্তরে অভিনব এই কায়দায় বিক্ষোভ করেন তামিলনাড়ুর দুইশর জনের মতো কৃষক। জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাড়ানো হয়নি ফসলের দাম। দাবি জানানো হয় ঋণ মওকুফের। তারা বলেন, ঋণের বোঝা বইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন হাজার হাজার চাষী।

তারা বলেন, কোনো দলের হয়ে নয় বরং সাধারণ কৃষক হয়েই সাহায্য চান তারা। দাবি না মানলে মোদির বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়ারও হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা। একই দাবিতে এই স্থানে এর আগেও বিক্ষোভ করেন ঋণগ্রস্ত কৃষকরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় শস্যের দাম দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, শস্যের দাম দ্বিগুণ করা হবে এবং নদীগুলোকে আন্তঃসংযুক্ত করা হবে।


ভারত   তামিলনাড়ুর   কৃষক   মাথার খুলি   হাড়   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নুডলসের প্যাকেটে কোটি টাকার হীরা পাচার

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মুম্বাই থেকে ব্যাংকক যাওয়ার পথে এক ভারতীয় পর্যটকের স্যুটকেসের ভেতরে রাখা নুডলসের প্যাকেট থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল অঙ্কের সোনা ও হীরা। ভারতের মুম্বাই বিমানবন্দরে সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) রাতে ৬ কোটি ৪৬ লাখ রুপি মূল্যের হীরা ও স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। খবর এনডিটিভির।

সোমবার রাতে একটি যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৪ কোটি ৪৪ লাখ রুপি মূল্যের ৬ দশমিক ৮ কেজি সোনা ও ২ কোটি ২০ লাখ রুপির হীরা উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ওই যাত্রীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর কর্মকর্তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মুম্বাইয়ের শুল্ক দপ্তরের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

এছাড়াও, কলোম্বো থেকে মুম্বাই আসা বিদেশী পর্যটকের অন্তর্বাসের ভিতরে লুকানো অবস্থায় পাওয়া যায় ৩২১ গ্রাম ওজনের সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এতো বিপুল পরিমাণ সোনা ও হীরা কোথায় পাচার করছিলো অভিযুক্তরা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।


ভারতীয়   পর্যটক   স্যুটকেস   নুডলস   প্যাকেট   হীরা   পাচার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বন্যার পর এবার আরব আমিরাতে ঘন কুয়াশার প্রকোপ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই এবার ঘন কুয়াশার কবলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাজধানী আবুধাবি ও ওমান সীমান্তবর্তী শহর আল আইনে বসবাসরতদের গাড়ি চালানোর সময় অতিরিক্ত সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে খালিজ টাইমস এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি (এনসিএম) আজ বুধবার পর্যন্ত বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ধূলিঝড়ের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও প্রবল বাতাসের কারণে অনুভূমিক দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটারের থেকেও কম।

এনসিএম পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ধুলো ও ময়লা বহনকারী উত্তর-পশ্চিমী বাতাস ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন অবস্থায় ঘন কুয়াশার কারণে ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে।


আরব আমিরা   ঘন   কুয়াশার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার পথে ইরানের প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তিনদিনের পাকিস্তান সফর শেষে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে করাচি ছেড়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানে চড়েন তিনি। এ সময় তাকে পাকিস্তানের গণপূর্তমন্ত্রী রিয়াজ হোসেন পিরজাদা ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নর বিদায় জানান। খবর ইরনার
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের আমন্ত্রণে একদিনের সফরে দেশটির রাজধানী কলম্বো যাচ্ছেন রাইসি। এই সফরে রনিল বিক্রমাসিংহে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বাঁধ ও একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৩ কোটি ডলারের প্রকল্পটি ইরানি বিশেষজ্ঞরা নির্মাণ করেছেন।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) পাকিস্তানে আসেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। গত ৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথম বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি ইসলামাবাদ সফর করেন। ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল দেশটিতে অবস্থান করেন ইব্রাহিম রাইসি। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেন রাইসি।

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক মাস আগে পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। তবে কূটনীতির মাধ্যমে সম্পর্ক জোড়া লাগায় মুসলিম বিশ্বের শক্তিধর এই দুই দেশ। পাকিস্তানের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ইব্রাহিম রাইসির এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।


পাকিস্তান   সফর   শ্রীলঙ্কা   ইরান   প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন