কোর্ট ইনসাইড

কুমিল্লার জমিনে শায়িত হবেন বাসেত মজুমদার 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ২৭ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার মারা গেছেন। আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার ১৮ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি। 

বাসেত মজুমদারের চেম্বারের জুনিয়র আইনজীবী রাফসান আলভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 রাফসান আলভী বলেন, স্যার আজ (বুধবার) সকাল ৮টার ১৮ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ বাদ জোহর ১টা ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ওনার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হবে। কুমিল্লার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে সেখানেই তাকে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে বাসেত মজুমদার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আবদুল বাসেত মজুমদার অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কয়েকদিন পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) তিনি আবার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (২৫ অক্টোবর) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে মেরুদণ্ডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি।

বাসেত মজুমদার ১৯৩৮ সালের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লার লাকসাম (বর্তমানে লালমাই) উপজেলার শানিচোঁ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আব্দুল আজিজ মজুমদার, মা জোলেখা বিবি। স্থানীয় হরিচর হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক (এসএসসি) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ (এইচএসসি) ও বিএ পাস করেন তিনি। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৬ সালে ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরই মধ্যে তিনি তার আইনজীবী পেশায় ৫৬ বছর অতিক্রম করেছেন।

জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবীর বড় ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন আবদুল কাদের ব্যবসা করে। ছোট ছেলে অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ রাজা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। দুই মেয়ের মধ্যে ফাতেমা আক্তার লুনা রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। সর্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিউজিকে পড়াশোনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। ছোট মেয়ে খাদিজা আক্তার ঝুমা উত্তরা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুল বাসেত মজুমদার বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। আবদুল বাসেত মজুমদার দুস্থ আইনজীবীদের জন্য নিজের নামে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছেন। দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতিতে এই ফান্ড থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ পেশাজীবনে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে আইনি সহায়তা দিয়েছেন তিনি।

 



মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

তাপপ্রবাহে শিথিল হলো আইনজীবীদের গাউন পরা

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করা হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (রবিবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।’

এছাড়াও প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

আগামীকাল রবিবার (২১ এপ্রিল) খুলছে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ)

এর আগে, ৪ এপ্রিল অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং আইনজীবীদের মামলা পরিচালনার সময় পরিধেয় পোশাকের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং আইনজীবী ক্ষেত্রমতো সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ ও সাদা নেকব্যান্ড বা কালো টাই পরিধান করবেন। এ ক্ষেত্রে কালো কোট ও গাউন পরিধানের আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


তাপপ্রবাহ   আইনজীবী  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বরগুনার রিফাত হত্যা: হাইকোর্টে নতুন করে জামিন চাইবেন মিন্নি

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে নতুন করে জামিন আবেদন করতে যাচ্ছেন। আগামী রোববার এই জামিন আবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হবে। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) মিন্নির অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী রোববার মিন্নির জামিন আবেদন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হবে।

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে।

বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকা বিষয়টি ৪৯৭ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান খান, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।

এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

উল্লেখ, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

খালাস পান- মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা।

পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওই দিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

পরে একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


রিফাত হত্যা   হাইকোর্ট   মিন্নি  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ালেন আদালত

প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন চেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেছেন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. ইউনূস আজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ৬ মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেছিলেন তিনি। 

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির। রায় প্রদানকারী বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তা প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অবস্থায় আসামি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ ও বিধি ১০৭ লঙ্ঘনের জন্য ৩০৩(৩) ও ৩০৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ওই আইনের ৩০৩ (৩) ধারার অপরাধে ০৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১০ (দশ) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০৭ ধারার অপরাধে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে অতিরিক্ত ১৫ (পনেরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়।


ড. ইউনূস   জামিন   আদালত  


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। 

এর আগে ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটে ইমতিয়াজ রাব্বীকে হলে সিট ফেরত দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। 

এর আগে গত ২৯ মে রাজনৈতিক সমাগমকে কেন্দ্র করে আন্দোলনরত বুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিমের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর বহিরাগত কিছু নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান।

ক্যাম্পাসে ‘বহিরাগতদের’ প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন; যিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তাই তাকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তার সহযোগীদেরও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে গত ১ এপ্রিল বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করেন হাইকোর্ট।


মন্তব্য করুন


কোর্ট ইনসাইড

বুয়েট শিক্ষার্থী রাব্বিকে হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ: ০৩:১৭ পিএম, ০৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইমতিয়াজের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জরুল হক।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বির হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ইমতিয়াজ হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ এ রিট দায়ের করেন। বুয়েটের ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

উল্লেখ্য, বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেনের হলের সিট বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


হাইকোর্ট   বুয়েট   শিক্ষার্থী রাব্বি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন