নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২১
রোলস-রয়েসের তৈরি সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত বিমানের পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে ‘রেকর্ড’ সৃষ্টি হয়েছে। সংস্থাটির দাবি, তাদের তৈরি ‘স্পিরিট অব ইনোভেশন’ বিশ্বের দ্রুততম সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত বিমান। রোলস-রয়েস বিশ্বাস করে, তাদের তৈরি ‘স্পিরিট অব ইনোভেশন’ বিশ্বের দ্রুততম সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত বিমান।
ডার্বিতে অবস্থিত রোলস রয়েসের এয়ারস্পেস সদর দপ্তর বলছে, পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে বিমানটির গতি ঘণ্টায় ৬২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছে। এটি তিনটি ভিন্ন দূরত্ব অতিক্রম করে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পরিসংখ্যান বিশ্ব এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনে পাঠানো হয়েছে।
উইল্টশায়ারের আমেসবারির বসকম্ব ডাউনে গত ১৬ নভেম্বর পরীক্ষামূলক ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করা হয়। ফ্লাইট অপারেশনের পরিচালক এবং পাইলট ফিল ওডেল সর্বোচ্চ গতি তোলেন। তিনি বলেন, এটি আমার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য ঘটনা এবং পুরো দলের জন্য এটি একটি অবিশ্বাস্য অর্জন।
রোলস-রয়েস বলছে, স্পিরিট অফ ইনোভেশন ২০১৭ সালে সিমেন্স ই-এয়ারক্র্যাফ্ট চালিত এক্সট্রা ৩৩০ এলই অ্যারোব্যাটিক বিমানের করা রেকর্ডের তুলনায় ঘণ্টায় ১৩২ মাইল বেশি দ্রুততম ছিল। এটি ৯৮৪২.৫২ ফুট উপরে উঠতে দ্রুততম সময় নেয়ার রেকর্ডটিও ভেঙ্গেছে ৬০ সেকেন্ডের ব্যবধানে। ওই উচ্চতায় উঠতে ২০২ সেকেন্ড সময় লাগতো। বিমানটিতে একটি ৪০০কেডাব্লিউ বৈদ্যুতিক পাওয়ারট্রেন ব্যবহার করা হয়েছে- যা একটি ৫৩৫বিএইচপি সুপারকারের সমান।
মহাশূন্যে এ পর্যন্ত যুক্ত করা সবচেয়ে শক্তিশালী প্রোপালশন ব্যাটারি প্যাক যুক্ত করেছে যা দিয়ে এক সাথে সাড়ে সাত হাজার ফোন চার্জ করা সম্ভব। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ইস্ট বলেছেন, ‘কপ-২৬ এ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নেয়ার গুরুত্বের উপর বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ হওয়ার পর এটি আরেকটি মাইলফলক যা ‘জেট জিরো’কে বাস্তবে পরিণত করতে সাহায্য করবে।
বাতাস, স্থল এবং সাগরে কার্বনমুক্ত পরিবহনের আনার যে গুরুত্ব সমাজে তৈরি হয়েছে সেখানে কাঙ্ক্ষিত প্রযুক্তি নিয়ে আসার আশাকে সমর্থন করে। রোলস রয়েস আশা করে যে, ফেডারেশন অ্যারোনটিক ইন্টারন্যাশনাল (এফএআই) অদূর ভবিষ্যতে নতুন বিশ্ব রেকর্ড হিসাবে এই ফলগুলিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করবে।
মন্তব্য করুন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করতে কোটি টাকার ‘এআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ চালু করা হয়েছে।
রোববার (১৯ মার্চ) সেগুনবাগিচায় মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় দপ্তরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর যৌথ আয়োজনে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, আইসিটি সচিব জনাব মো. সামসুল আরেফিন, মেট্রোনিকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিইও ওমর ইশরাক এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার। এছাড়াও মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে একটি ইনোভেশন কর্নার উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইনোভেশন ল্যাব এবং প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা নিউরাল নেটওয়ার্ক কেন্দ্রিক অগ্রযাত্রার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত নীতিকে কেন্দ্র করে একটি সমৃদ্ধ, জ্ঞানভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দেশ গড়ে তুলতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডাটাভিত্তিক বিশ্লেষণী ব্যবস্থা এবং ডাটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা বাড়বে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডাটাভিত্তিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে যে কোন সংকট যেমন কোভিড কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেনের মত সংঘাতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে সদ্য স্থাপিত নিউরাল নেটওয়ার্কটি প্রয়োজনীয় ধারণা দিতে সক্ষম হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারের বাস্তব সম্মত উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ এখন একটি ভাইব্রেন্ট ইকোনমি এবং অসীম সম্ভাবনার দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।’
এ সময় তিনি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গ্রহীত অর্থনৈতিক কূটনীতিভিত্তিক কার্যক্রমের কথা উল্লেখ বলেন, যে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য প্রবাসীদের নিকট আরও ভাল পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি স্মার্ট সিটিজেন তৈরিতে দেশীয় সম্পদ ব্যবহার এবং দক্ষতার সাথে সৃজনশীল সমাধান উদ্ভাবন এবং সাশ্রয়ীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জনসেবা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেন। ইনোভেশন ল্যাব এবং এআই চ্যালেঞ্জ ফান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি সক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে এবং ভবিষ্যত বিশ্বের প্রযুক্তি-সক্ষমতার সাথে সরাসরি সংযুক্ত করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জনাব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ডাটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করতে পারলে ভবিষ্যতে কূটনৈতিক ডাটা বিশ্লেষণে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বিশ্বব্যাপী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন মিশনের সাথে যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা গেলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে এবং জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আরো সহজ হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এটুআই-এর মধ্যে এই যৌথ উদ্যোগের প্রশংসা করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি জনাব স্টেফান লিলার বলেন, ‘এই অংশীদারিত্ব একটি দুর্দান্ত উদাহরণ, আমরা কীভাবে উদ্ভাবনের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমস্যা সমাধান করতে একসাথে কাজ করতে পারি।’
এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী বলেন, ‘এআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে উদ্ভাবনের সাথে থাকার সুযোগ পাবেন। যেখান থেকে অনেকগুলো উদ্ভাবনী আইডিয়া বেড়িয়ে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে, যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিশন নথির কার্যক্রম সহজ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি, শুধু একটা প্রজেক্ট প্রকিউমেন্ট এর উপর নির্ভর না করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের বুটক্যাম্প, গ্রুমিং সেশন ও গবেষণার ফলে বেশকিছু গতিশীল ও ব্যবহারবান্ধব সমাধান তৈরি হবে এবং তা কর্তৃপক্ষের কাজ সহজ করতে অবদান রাখবে বলে আশা রাখি।’
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দেশের মিশনের হাজার হাজার নথি থেকে ম্যানুয়ালি পড়া এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া একটি সময়সাপেক্ষ এবং দুঃসাধ্য কাজ। এই নথিগুলোর বিপুল পরিমাণ ডাটা থেকে দক্ষতার সাথে এবং সঠিকভাবে প্রাসঙ্গিক তথ্য বের করা একটি চ্যালেঞ্জ। এই ম্যানুয়াল পদ্ধতিটি ত্রুটি এবং অসঙ্গতি প্রবণ, যা তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা দিতে পারে এবং বিদেশী নীতির সিদ্ধান্তগুলো প্রভাবিত করতে পারে।
এ সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধানের খোঁজে ‘এআই ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবিত পদ্ধতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজড সমাধান তৈরি করে দেবে। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে অসংগঠিত ডাটা থেকে সময়োপযোগী এবং সঠিক তথ্য প্রদান করে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সমর্থন করবে। বিভিন্ন মিশনের নথি থেকে মূল তথ্য বের করা এবং বিশ্লেষণ করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় সমাধান এনে দেবে, যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জ্ঞাত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে দক্ষতা, নির্ভুলতা এবং মাপযোগ্যতা উন্নত করতে পারবে।
এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: www.challenge.gov.bd. উদ্ভাবনী আইডিয়া জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ১৯ এপ্রিল ২০২৩।
অনুষ্ঠানে ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ-এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট জনাব নাঈম আশরাফী এবং কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক (এএনএন) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য সুবিধাগুলোর উপর উপস্থাপনা প্রদান করেন এটুআই-এর একশপের টেকনোলোজি প্রধান জনাব সোহেল রানা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আইসিটি) ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অন্যান্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিদেশস্থ ৮১টি বাংলাদেশ দূতাবাস অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
চালু এআই কোটি টাকা ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ
মন্তব্য করুন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার ফলে বাংলাদেশ একটি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য কাগজের মূদ্রাহীন সমাজ গড়ে তোলা। ডিজিটাইজেশনের ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে।’
মন্ত্রী মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের ক্যাশ আউট এবং টাকা পাঠানোর খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে এনে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে ক্যাশলেস সোস্যাইটির অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত ভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
রোববার (১৯ মার্চ) মন্ত্রী ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটণকর্পোরেশন হলে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নারী গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং নারী নিয়োগদাতাদের ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্মসচিব নাহিদ সুলতানা মল্লিক, বেসরকারি সংস্থা নারী মৈত্রির কর্মকর্তা শাহীন আক্তার জলি বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী।
ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণের ফলে দেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইস হওয়ায় এমএফএস এর মাধ্যমে ক্যাশলেস সোস্যাইটির দিকে বাংলাদেশ দ্রুত ধাবিত হচ্ছে।’
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের কাছে ইন্টারনেটের চাহিদা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বেড়ে চলেছে উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ‘১৯৯৭ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে দেশে মোবাইল সেবা প্রদানের অনুমতি প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ছিল মাত্রা সাড়ে সাত জিবিপিএস এবং ব্যবহারকারি ছিল মাত্র মাত্র ৮ লাখ। বর্তমানে ৪১০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ব্যবহারকারির সংখ্যা প্রায় ১৩ কোটি। ২০৩০ সালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথের চাহিদা ৩০ হাজার জিবিপিএস অতিক্রম করতে পারে। তিনি বলেন স্বল্প আয়ের মানুষের নিকট স্মার্টফোন সহজলভ্য করতে সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন সরবরাহ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ গড়ে তোলা।’
মন্ত্রী নারী গৃহকর্মীদের মধ্যে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রচলন করায় বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা সংক্রান্ত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও তাদের সহযোগী ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সসহ অন্যান্য সংস্থার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি একটি ভাল উদ্যোগ। ডিজিটাল যন্ত্র দক্ষতার সাথে চালাতে পারলে তারা নিজেদেরকে উদ্যোক্তায় রূপান্তর করতে পারে।’
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের পথ প্রদর্শক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে সরকার কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট মানুষ।
শাহীন আনাম ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে নারী গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নিয়োগকর্তা ও গৃহকর্মীদের উৎসাহিত করতে গৃহীত কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অপরিহার্য।
রোকসানা সুলতানা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, মোবাইল ফিনান্সয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে গৃহকর্মীদের বেতন পরিশোধ তাদের কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি তাদের অর্জিত আয় নিরাপদ করবে।
নাহিদ সুলতানা মল্লিক গৃহকর্মীদের ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট মানুষ অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে গৃহকর্মী এবং তাদের নিয়োগ প্রদানকারী গৃহকর্তৃাগণ তাদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে মোবাইল সেট সহজলভ্য করার পাশাপাশি মোবাইল ইন্টারনেটকে সাশ্রয়ী করতে হবে। শুল্ক ও কর ফাকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশ থেকে মোবাইল সেট এনে বাংলাদেশের মোবাইল উৎপাদককের প্রচণ্ড ক্ষতি করা বন্ধ করতে হবে।’
এসব বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মন্ত্রী বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন।
বুধবার (১৬ মার্চ) ঢাকায় বিটিআরসির সভাকক্ষে মোবাইল অপারেটর, মোবাইল উৎপাদন খাত এবং আইএসপিএবিসহ টেলিযোগাযোগ খাতের অংশীজনদের নিয়ে সাধারণের মধ্যে স্মার্ট ডিভাইস সহজলভ্যকরণ বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোবাইল উৎপাদনে সরকারের সহযোগিতার বিভিন্ন দিক বর্ণনা করে বলেন, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোবাইল ফোন উৎপাদনের ভিত্তি তৈরি করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দেশে ১৫টি উৎপাদন কারখানা গড়ে উঠেছে এবং এসব কারখানায় উৎপাদিত মোবাইল ফোন দেশের মোবাইল ফোনের চাহিদা মিটাতে সক্ষমতা অর্জন করছে। তিনি মোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে মোবাইলের পাশাপাশি দেশে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ এবং ট্যাব উৎপাদনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং এই ব্যাপারে যে কোন ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে মন্ত্রী সাবেক অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিতের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডিভাইস অপরিহার্য উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ -৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে দেশে কম্পিউটার বিপ্লবের অভিযাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় কম্পিউটার সাধারণের ক্রয় ক্ষমতায় আসে। ১৯৬৪ সালে দেশে কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হলেও এটি সাধারণের দোরগোড়ায় উপনীত হতে পারেনি। ১৯৮৭ সালে কম্পিউটারে বাংলা ভাষা উদ্ভাবনের ফলে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হলেও সাধারণের কাছে কম্পিউটার ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
কম্পিউটারকেও আমরা স্মার্ট ডিভাইস হিসেবে দেখবো উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এরই মধ্যে সফটওয়্যার রপ্তানীর মতো ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানীর ক্ষেত্রেও প্রণোদনা দিচ্ছে। এর ফলে দেশে স্মিার্ট ডিভাইস শিল্প যেমন বিকাশ লাভ করবে তেমনি পরোক্ষভাবে জাতীয় রপ্তানীতেও এই খাত বড় অবদান রাখবে। এ ক্ষেত্রে ভিয়েতনাম অনন্য একটি দৃষ্টান্ত। ভিয়েতনাম মোবাইলফোন রপ্তানি থেকে বার্ষিক ১৫ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে ব্রডব্যান্ড প্যানিট্রেশন বৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক সুফল, মোবাইল ফোন সকলের জন্য সহজলভ্য করতে করণীয়, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা, মোবাইল শিল্পের বিকাশে ট্যাক্স পলিসি, স্মার্ট হ্যান্ডসেটের উৎপাদন ব্যয় সহনীয় রাখার উপায় এবং বাংলাদেশের সাথে বৈশ্বিক ইলেকট্রনিক্স বাজারের পার্থক্য ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার- এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব জনাব আবু হেনা মোরশেদ জামান। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসাইন এবং মোবাইল ফোন ইন্ড্রাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রুহুল আলম আল মাহবুব বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ।
ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মোবাইল সেট ইন্টারনেট
মন্তব্য করুন
ফেসবুক
ও ইনস্টাগ্রামের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেটা এবার ১০ হাজার কর্মী
ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার মার্ক জুকারবার্গ এক বার্তায় ছাঁটাইয়ের
এ ঘোষণা দেন। এছাড়া নিয়োগ হয়নি এমন ৫ হাজার জনের
নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেছেন, এটি কঠিন, কিন্তু এছাড়া কোনো উপায় নেই। যারা আমাদের সাফল্যের অংশ হয়েছেন সেসব প্রতিভাবান সহকর্মীদের বিদায় জানাতে হচ্ছে। এই নতুন অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে থাকবে।
এই ছাঁটাই কোম্পানির পুনর্গঠনের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে কম অগ্রাধিকারের প্রকল্পগুলো বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা। পাশাপাশি মেটা কাঠামোতে উন্নতির ওপর জোর দিয়েছে। এছাড়াও নতুন করে নিয়োগ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠান।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর গভীর সঙ্কটের কারণেই মেটাতে ছাঁটাই থামছে না। তার ওপরে চিন্তা বাড়িয়েছে মেটার খারাপ ফলাফল। রিপোর্ট বলছে, মেটার বিজ্ঞাপন বাবদ আয়ও কমেছে। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে মেটা ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই ঘোষণা করেছিল। ২০০৪ সালে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠার ১৮ বছরের ইতিহাসে যা প্রথম। এর আগে এত বড় ছাঁটাই হয়নি কোম্পানিতে।
মন্তব্য করুন
মালয়েশিয়ার ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রেডটন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে মোবাইলসহ টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। রোববার (১২ মার্চ) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে কোম্পানিটি একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতকালে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতা রেডটন, মালয়েশিয়ার গ্রুপ সিইও লাও বিকসন বাংলাদেশে বিনিয়োগে তার প্রতিষ্ঠানের এই আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের টেলিযোগযোগ খাত বিনিয়োগের জন্য একটি থ্রাস্ট সেক্টর হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘ডিজিটাল সংযোগ হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রা বাংলাদেশ শুরু করেছে। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বিস্ময়কর সফলতা অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন প্রতিটি গ্রামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের প্রায় শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় ফোর-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক আওতায় আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে থ্রি-জি, ২০১৮ সালে ফোর-জি চালু করেছেন এবং ২০২১ সালে তারই নেতৃত্বে ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। প্রযুক্তির সর্বশেষ ভার্সন ফাইভ-জিকে এআই, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইনসহ ইন্ড্রাস্ট্রির প্রয়োজনে ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে সরকার গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ‘দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল, চর, হাওর ও দ্বীপাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ সুবিধা পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটককে আমরা কাজে লাগিয়েছি।’
মন্ত্রী দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের লাগসই উন্নয়নে রেডটন, মালয়েশিয়ার যে কোন উদ্যোগ বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানে প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন। এ সময় মন্ত্রী দেশে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল সেবা ও অপারেটরদের মধ্যে সুস্থ্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে টাওয়ার শেয়ারিংসহ গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভ জনক একটি খাত। তিনি সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে মোবাইল ও টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগে যে কোন সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এ সময় লাও বিক সন টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের সফলতার ভূয়শী প্রশংসা করেন। ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
রেডটন, মালয়েশিয়া প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন রেডটন মালয়েশিয়ার পরিচালক রেজা ইমরান বিন আবদুল রহিম, হেড অব মার্কেটিং হিসাম উদ্দিন বিন আহমেদ নওয়াজি এবং রেডটন এর স্থানীয় প্রতিনিধি তৌফিক মালেক।
ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মালয়েশিয়া মালয়েশিয়া
মন্তব্য করুন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার ফলে বাংলাদেশ একটি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য কাগজের মূদ্রাহীন সমাজ গড়ে তোলা। ডিজিটাইজেশনের ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে।’
মালয়েশিয়ার ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রেডটন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে মোবাইলসহ টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। রোববার (১২ মার্চ) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে কোম্পানিটি একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতকালে চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতা রেডটন, মালয়েশিয়ার গ্রুপ সিইও লাও বিকসন বাংলাদেশে বিনিয়োগে তার প্রতিষ্ঠানের এই আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।