নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২১
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী সাতদিন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সাত দিনের মধ্যেই বাংলাদেশ বিজয়ের মাসে প্রবেশ করবে, বাংলাদেশ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর উৎসব করবে। আবার এই সাত দিন অনেক রাজনৈতিক এবং পারিপার্শ্বিক গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর বিষয় রয়েছে, যেটি রাজনীতির গতি-প্রকৃতিকে পাল্টে দিতে পারে। আগামী সাত দিন অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং এই সাত দিনে অনেক কিছুই ঘটতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আগামী সাত দিন যে বিষয়গুলোর দিকে দেশের জনগণ সতর্ক নজর রাখবে তার মধ্যে রয়েছে:
১. বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা: চিকিৎসকরা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ সেই অসুস্থতা অত্যন্ত জটিল এবং অলৌকিক কিছু না ঘটলে এই অসুস্থতা চূড়ান্ত পরিণতির দিকেই নিয়ে যায় একজন মানুষকে। যদিও আজ বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, তিনি যে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অর্থাৎ লিভার সিরোসিস এটির তেমন কোনো চিকিৎসা নেই, সময়ের ব্যাপার। আগামী সাতদিনে বেগম খালেদা জিয়ার কি পরিণতি হয় তার উপর দেশের অনেক কিছুই নির্ভর করছে। কারণ শেষ পর্যন্ত যদি বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে না যেতে পারেন এবং দেশেই যদি তার চূড়ান্ত পরিণতি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াতে পারে। এই উত্তাপ কতদূর যাবে এবং এটির রাজনীতিকরণ কতটুকু হবে সেটি বোঝা যাবে আগামী সাতদিনে।
২. সড়ক আন্দোলন: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আবার বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে রোববারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে তারা আন্দোলন চূড়ান্ত করবে। ইতিমধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি ছাত্রদের দাবির কাছে একাত্মতা ঘোষণা করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন। নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম গত বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এর পরদিনই আবার পান্থপথে একজন সংবাদকর্মী মৃত্যুবরণ করেন। এই সবকিছু মিলিয়ে নিরাপদ সড়কের আন্দোলন আবার জটিল হয়ে উঠেছে। খুব শীঘ্রই এই নিয়ে রাজপথ উত্তপ্ত হতে পারে। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি সরকার নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে না পারে কিংবা সড়ক আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ না করতে পারে তাহলে এটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র মনে করছে।
৩. হাফ পাস: হাফ পাসের দাবিতে আন্দোলন ক্রমশ বেগবান হচ্ছে এবং এর সঙ্গে আবার নিরাপদ সড়কের আন্দোলনও যুক্ত হচ্ছে। এর ফলে আগামী সাত দিন যদি শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিটি না মিটে তাহলে একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সরকারকে এ ব্যাপারে অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
৪. ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন: ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং গত দুই পর্বে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে যেরকম সহিংসতা এবং সন্ত্রাস হয়েছে তাতে তৃতীয় ধাপের নির্বাচন নিয়ে একধরনের উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীদের উত্থান, সহিংসতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটা সংকট তৈরি করেছে। এই ধারায় তৃতীয় পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একই সংকট তৈরি হবে কিনা সেটি একটি উদ্বেগের বিষয় বলেই অনেকে মনে করছেন।
৫. সারাদেশে সন্ত্রাস-সহিংসতা: হঠাৎ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে কুমিল্লার এই ঘটনার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সন্ত্রাস একটি বড় অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন দেশের জনগণ। আর আগামী সাতদিন বোঝা যাবে যে, এই বিষয়ে সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তাই আমাদের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আগামী সাত দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সাত দিনে যা ঘটবে তার ওপর রাজনীতির গতি-প্রকৃতি অনেকখানি নির্ভরশীল হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।