প্রথম ইনিংসে বোলারদের ভালো বোলিংয়ে বিশেষ করে তাইজুল ইসলামের স্পিন ভেল্কিতে লিড রেখে শেষ করা যেনো কোন কাজেই আসলো না বাংলাদেশের জন্য। ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ইনিংস শেষে মাত্র ২০২ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেয় টাইগার শিবির। যা মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই লক্ষে পৌঁছে যায় পাকিস্তান দল। আর তাতেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে জয়ের আসা জাগিয়েও বড় ব্যবধানে হার দেখলো বাংলাদেশ।
ম্যাচের
প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের ১১৪ ও মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানে ভর করে ৩৩০ রানের সংগ্রহ দাঁড়
করিয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিকের উদ্বোধনী
জুটিতেই তারা পেয়েছিল ১৫১ রান। তবে তাইজুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে প্রথম ইনিংসে ২৮৬
রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান, মিলেছিল ৪৪ রানের লিড। বাঁহাতি স্পিনে তাইজুল একাই
নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।
প্রথম
ইনিংসে ৪৪ রানের লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের
ব্যাটিং লাইনআপ। লিটন দাসের ৫৯ রানের সুবাদে ১৫৭ পর্যন্ত যায় দলীয় সংগ্রহ। শাহিন শাহ
আফ্রিদি নেন ৫ উইকেট। পাকিস্তানের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রানের।
যা খুব
সহজেই করে ফেললো তারা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের নায়ক আবিদ আলি। মাত্র
৯ রানের জন্য জোড়া সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। আরেক ওপেনার শফিক খেলেছেন ৭৩ রানের
ইনিংস। নিজের অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়েছেন শফিক।
জয়ের অর্ধেক
কাজ চতুর্থ দিন বিকেলেই করে রেখেছিলেন আবিদ ও শফিক। বিনা উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে আজকের
খেলা শুরু করেন তারা। দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন দুই
ওপেনার। মনে হচ্ছিল, পুরো ১০ উইকেটেই হয়তো জিতবে পাকিস্তান।
দিনের
দশম ওভারে আজ প্রথমবারের মতো আক্রমণে আনা হয়েছিল মিরাজকে। ওভারের পঞ্চম বলে অভিষিক্ত
শফিককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি শফিক।
আম্পায়ার্স কলের কারণে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।
আউট হওয়ার
আগে শফিক খেলেছেন ৮ চার ও ১ ছয়ের মারে ৭৩ রানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে
এসেছিল ৫২ রান। দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের অভিষেক রাঙিয়ে রাখলেন ২২ বছর বয়সী
এ তরুণ। শফিকের বিদায়ে ভাঙে ১৫১ রানের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ইনিংসে আবিদ ও শফিক গড়েছিলেন
১৪৬ রানের জুটি।
শফিক ফিরে
গেলেও ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির পথেই এগুচ্ছিলেন আবিদ। কিন্তু তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে
দেন তাইজুল। পাকিস্তানের ইনিংসের ৫০তম ওভারের প্রথম বলেই আবিদকে ফেরান তিনি। তার ভেতরে
ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন আবিদ।
কিন্তু
ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানান লেগ বিফোরের। রিভিউ
নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার। আউট হওয়ার আগে ১২ চারের মারে
৯১ রান করেছেন আবিদ। মাত্র ৯ রানের জন্য ম্যাচে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি
করা হয়নি তার।
এরপর বাকি
পথ নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন অভিজ্ঞ আজহার আলি ও অধিনায়ক বাবর আজম। অবিচ্ছিন্ন ৩২ রানের
জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। আজহার ২৪ ও বাবর ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচসেরার
পুরস্কার জিতেছেন দুই ইনিংস মিলে ২২২ রান করা আবিদ আলি।
পাকিস্তান বাংলাদেশ ক্রিকেট টেস্ট
মন্তব্য করুন
দেড় দিন পর খেলা শুরু হলে নিউজিল্যান্ডকে ২ ঘণ্টারও কম সময়ে অল আউট করে
দেয় বাংলাদেশ। এরপর ব্ল্যাক ক্যাপাররা টাইগারদের লিড দেয় ৮ রানের। কিন্তু, শান্ত-জাকিররা
ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে যায়। এরমধ্যে আলোক স্বল্পতায় বন্ধ গেল তৃতীয় দিনের ও শেষ
সেশনের খেলা।
আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ ওভার খেলে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান করে চাপে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দিয়ে ৩০ রানের লিড পেয়েছে স্বাগতিকরা।
প্রথম ওভারেই মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট তুলে নেন এজাজ প্যাটেল। স্লিপে
ড্যারেল মিচেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাহমুদুল ফেরেন ২ রানে।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানের ৩৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর
চেষ্টা বাংলাদেশের, তবে এই জুটি ভাঙে নাজমুলের বিদায়ে। টিম সাউদির বলে কেন উইলিয়ামসনের
হাতে ক্যাচ দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আউট হন ১৫ রানে।
জাকির ১৫ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গী মমিনুল হক এক বলে শূন্য রানে ক্রিজে আছেন।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি মিরপুর আলোক স্বল্পতা
মন্তব্য করুন
বৃষ্টির বাগড়া পেরিয়ে তৃতীয় দিন ২ ঘণ্টাও খেলতে পারলো না নিউজিল্যান্ড।
প্রথম দিন ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানো কিউইরা আজ ১২৫ রান তুলে বাকি পাঁচ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশকে
৮ রানের লিড দেয়। গ্লেন ফিলিপস সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন।
খেলতে নেমে উইকেটে ব্ল্যাক ক্যাপাররা থিতু হতে পারেননি। আর সেই সুযোগটা
দেননি তরুণ নাঈম হাসান। তিনি পর পর দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন। আরেকটি উইকেট নিয়েছেন
পেসার শরীফুল। এরপর আবারও শরীফুল ও তাইজুল একটি করে উইকেট নিলে কিউই শিবিরে আর কোনও
ব্যাটসম্যান অবশিষ্ট থাকেনি।
বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ও তাইজুল ৩টি করে ও নাঈম হাসান ও শরীফুল নেন ২টি
করে উইকেট। কিউইদের পক্ষে ফিলিপস সর্বোচ্চ ৮৭ ও কাইল জনসন করেন ২০ রান।
তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পর মাঠে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন গ্লেন ফিলিপস।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ১৫৬ রান। ৭৪ রানে
অপরাজিত আছেন ফিলিপস।
বাংলাদেশকে ১৭২ রানে গুঁড়িয়ে দেয়ার পর তাইজুল-মিরাজদের তোপে ৫৫ রানে ৫ উইকেট
হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি দ্বিতীয় দিনের
খেলা। ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে তৃতীয় দিন নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি ম্যাচ। আম্পায়ারদের
দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে শুরু হয় খেলা।
এদিন মাঠে নেমে মারমুখো ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকেন ফিলিপস। মেহেদী হাসান
মিরাজ ও নাঈম হাসানদের হাঁকাতে থাকেন চার-ছক্কা। তার সঙ্গে বাউন্ডারি হাঁকানোর উৎসবে
যোগ দিতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ড্যারিল মিচেল।
নাঈমের হালকা টেনে দেয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে যান মিচেল। কিন্তু
দূর থেকে খেলায় ব্যাট থেকে ছুটে যায় এক হাত। বল উঠে যায় আকাশে। লং অন ও মিড অনের মাঝামাঝি
থেকে বাম দিকে অনেকটা পথ দৌড়ে অসাধারণ দক্ষতায় দুই হাতে ক্যাচ নেন মিরাজ। বিদায়ঘণ্টা
বাজে ১৮ রান করা মিচেলের। তাতে ফিলিপসের সঙ্গে ভাঙে তার ৪৯ রানের জুটি।
মিচেলকে সাজঘরে ফিরিয়ে এক ওভার পর আক্রমণে এসে মিচেল স্যান্টনারকেও নিজের
ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেন নাঈম। স্টাম্পে পিচ করে টার্ন ও বাউন্সের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া
ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন স্যান্টনার। বল তার ব্যাটের বাইরের
কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ৭ বলে ১ রানে থামে
তার ইনিংস। নিউজিল্যান্ড সপ্তম উইকেট হারায় দলীয় ৯৭ রানে। অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অবশ্য
নিজের মারমুখো ভঙ্গি ধরে রেখেছেন ফিলিপস। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জেমিসন।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি মিরপুর
মন্তব্য করুন
আইসিসি-র ক্রমতালিকায় টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের মধ্যে সেরা হলেন রবি বিষ্ণোই।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার এটি।
প্রথমবারের মতো এই সংস্করণে বোলারদের রেঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠলেন ভারতের এই তরুণ লেগি।
রবির উথানে সিংহাসন হারিয়ে দুইয়ে নেমে গেলেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান।
দেশের মাটিতে ভারতের ৪-১ ব্যবধানে জেতা সিরিজে পাঁচ ম্যাচে ৯ উইকেট নেন
বিষ্ণই। জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। আইসিসি রেঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদে চার ধাপ
এগিয়ে চূড়ায় উঠেছেন ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
বোলারদের মধ্যে শীর্ষে থাকা বিষ্ণোই পেয়েছেন ৬৯৯ পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার
বিপক্ষে সেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলতে যাবে ভারত। এতে নিজেদের জায়গা ধরে রাখার সুযোগ
পাবেন সূর্য এবং বিষ্ণোই। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়।
১০, ১২ এবং ১৪ ডিসেম্বর সেই ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম
করে চলেছেন বিষ্ণই। এই সংস্করণে এখন পর্যন্ত ২১ ম্যাচে তার শিকার ৩৪ উইকেট।
টি-টোয়েন্টি ভারত-অস্ট্রেলিয়া রেঙ্কিং ক্রিকেট বিষ্ণই
মন্তব্য করুন
পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচে প্রায় দেড় দিনই খেলা হয়নি বৃষ্টির কারণে। অবশেষে
যখন বৃষ্টি বাঁধা পেরিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের খেলা তখন আবারও হলো প্রথম
দিনের পুনরাবৃত্তি। উইকেটে ব্যাটসম্যানরা থিতু হতে পারছেন না। আর সেই সুযোগটা দেননি
তরুণ নাঈম হাসান। তিনি পর পর দুই ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন। আরেকটি উইকেট নিয়েছেন পেসার
শরীফুল।
তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পর মাঠে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন গ্লেন ফিলিপস।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে কিউইদের সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ১৫৬ রান। ৭৪ রানে
অপরাজিত আছেন ফিলিপস।
বাংলাদেশকে ১৭২ রানে গুঁড়িয়ে দেয়ার পর তাইজুল-মিরাজদের তোপে ৫৫ রানে ৫ উইকেট
হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টির কারণে মাঠে গড়ায়নি দ্বিতীয় দিনের
খেলা। ভেজা আউট ফিল্ডের কারণে তৃতীয় দিন নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি ম্যাচ। আম্পায়ারদের
দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর মধ্যাহ্ন বিরতি দিয়ে শুরু হয় খেলা।
এদিন মাঠে নেমে মারমুখো ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকেন ফিলিপস। মেহেদী হাসান
মিরাজ ও নাঈম হাসানদের হাঁকাতে থাকেন চার-ছক্কা। তার সঙ্গে বাউন্ডারি হাঁকানোর উৎসবে
যোগ দিতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন ড্যারিল মিচেল।
নাঈমের হালকা টেনে দেয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে যান মিচেল। কিন্তু
দূর থেকে খেলায় ব্যাট থেকে ছুটে যায় এক হাত। বল উঠে যায় আকাশে। লং অন ও মিড অনের মাঝামাঝি
থেকে বাম দিকে অনেকটা পথ দৌড়ে অসাধারণ দক্ষতায় দুই হাতে ক্যাচ নেন মিরাজ। বিদায়ঘণ্টা
বাজে ১৮ রান করা মিচেলের। তাতে ফিলিপসের সঙ্গে ভাঙে তার ৪৯ রানের জুটি।
মিচেলকে সাজঘরে ফিরিয়ে এক ওভার পর আক্রমণে এসে মিচেল স্যান্টনারকেও নিজের
ঘূর্ণিতে পরাস্ত করেন নাঈম। স্টাম্পে পিচ করে টার্ন ও বাউন্সের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া
ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন স্যান্টনার। বল তার ব্যাটের বাইরের
কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ৭ বলে ১ রানে থামে
তার ইনিংস। নিউজিল্যান্ড সপ্তম উইকেট হারায় দলীয় ৯৭ রানে। অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অবশ্য
নিজের মারমুখো ভঙ্গি ধরে রেখেছেন ফিলিপস। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জেমিসন।
বাাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট মিরপুর
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় দিন টানা
বৃষ্টির কারণে একটি বলও মাঠে গড়াতে পারেনি। তৃতীয় দিনও খেলা হবে কি না এই নিয়ে ছিল
দারুণ শঙ্কা। কারণ শুক্রবারও সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ছিল। অবশেষে তৃতীয় দিনে (শুক্রবার)
এসে ঠিক বেলা ১২টায় শুরু হলো খেলা।
এর আগে দুই আম্পায়ার পল রাইফেল ও রড টাকার সকাল ১১টায় সার্বিক পরিস্থিতি
পরিদর্শনের জন্য মাঠে প্রবেশ করেছেন। অন্তত ১০-১২ মিনিট ধরে পুরো মাঠ ঘুরে দেখেন তারা।
কোথাও পানি জমে থেকে মাঠ নরম কিনা? পিচ্ছিল জায়গা আছে কিনা? সব খুটিয়ে দেখলেন।
তারপর জানিয়ে দিলেন খেলা শুরু হবে বেলা ১২ টায়।
এদিকে সকাল ৯টার আগেই ধীরে ধীরে কভার সরিয়ে মাঠ তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন
প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার মাঠ কর্মীরা।
পর্যায়ক্রমে প্রথমে প্লাষ্টিকের মোটা কভার সরিয়ে চট বিছিয়ে রাখা হয়েছিল
প্রায় ঘন্টা খানেক। এরপর সকাল ১১ টায় আম্পায়াররা পিচ ও মাঠ পরিদর্শনের আগেই সেই চট
সরিয়ে উইকেট উন্মুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ আর নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা অনুশীলনে নেমেছেন সকাল ১১ টার আগেই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কিউইরা ১৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৭৪ রান।
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট বিসিবি মিরপুর বৃষ্টি
মন্তব্য করুন