করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে অনাগ্রহ দেখা দেওয়ায় ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ অর্থাৎ ‘টিকা না নিলে সেবা পাওয়া যাবে না’ ব্যবস্থায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাসের আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ মোকাবিলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়ে গেছে। এরমধ্যে সিঙ্গেল ডোজ ৬ কোটির মতো, ডাবল ডোজ ৪ কোটির কাছাকাছি হয়ে গেছে। আমরা স্কুলের ছাত্র, বস্তিবাসী, সব পর্যায়ের লোকজনকে টিকা দেয়ার জন্য একেবারে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত গিয়েছি। ফাইজারের টিকাও আমরা বিভিন্ন জেলা উপজেলায় নিয়ে গেছি। তারপরও দেখা যায় অনেকে টিকা এখনও টিকা নেননি। আগে যে আগ্রহটা পেয়েছি টিকা নেয়ার সেই আগ্রহটা একটু কম।
তিনি বলেন, আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেটা সবাই একমত হয়েছেন- আগে যেমন ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ ছিল ছিল, এখন আমরা বলতে চাচ্ছি ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’। এটা আমাদের পরামর্শ রইল। এটা করতে পারলে আমাদের টিকা কার্যক্রমটা আরও বেগবান হবে, টিকা নেয়ার জন্য লোক এগিয়ে আসবে।
কীভাবে এটা বাস্তবায়ন হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখানে বসেই ‘নো ভ্যাকসিন, নো সার্ভিস’ স্লোগানটা তৈরি হয়েছে। আমরা এটা চিঠির মাধ্যমে সব মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেব। তারা এটাকে যার যার মতো করে এনফোর্স করবে। টার্গেট লেভেলে আমরা ব্যবসায়িক সংস্থাকে জানিয়ে দেব। সরকারিভাবে সরকারি সংস্থাকে জানিয়ে দেব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সচিবালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক
মন্তব্য করুন
করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবার সাথে যুক্ত নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা মানসিক রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) কর্তৃপক্ষ ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারিকালে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব, কুশলবস্থা, সংশ্লিষ্ট ফ্যাক্টরসমূহ এবং মানিয়ে নেবার কৌশল’ বিষয়ক গবেষণার এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের অর্থায়নে এই গবেষণা পরিচালনা করে নিপসম। গবেষণা দলের প্রধান নিপসম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ ফলাফল তুলে ধরেন।
গবেষণায় স্বাস্থ্যসেবা যুক্ত পেশাদারদের মানসিক সুস্থতায় কাউন্সেলিং প্রোগ্রামের ব্যবস্থা জোরদার ও প্রবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয়। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত মেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা মানসিক রোগে বেশি আক্রান্ত হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশে করোনা মহামারির সময় ১ হাজার ৩৯৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর গবেষণাটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে পরিচালিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) ঝুঁকি ছিল বেশি। যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশেরই পিটিএসডি ছিল। তাদের মধে ৮৩ দশমিক ৬ শতাংশ ছিলেন বিবাহিত। স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের কাজের চাপ অনেক বেশি ছিল, তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রীর (পিপিই) অপ্রতুলতায় ছিলেন এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে ছিলেন।
বাংলাদেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ২৩ দশকি ৫০ শতাংশ পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে (পিটিএসডি) আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে সরকারি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে। স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের মধ্যে চিকিৎসকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছিল। এরপরেই ছিলেন টেকনোলজিস্ট ও নার্স। পিটিএসডিতে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক ২৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, টেকনোলজিস্ট ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং নার্স ২২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন প্রমুখ।
নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা মানসিক রোগে আক্রান্ত বেশি
মন্তব্য করুন
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩৭৯ জনে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ সময়ে দেশে ভাইরাসটিতে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩০ অপরিবর্তিত থাকল।
শুক্রবার (২৭ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২২১ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২ হাজার ১৬ জন।
২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮৯৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৮৮৯টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
মন্তব্য করুন
রোগীদের চিকিৎসাসেবার মান আরও উন্নত করতে এবং চিকিৎসা কার্যক্রম গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালের নির্দিষ্ট কার্যালয় ছাড়াও আরও দুই স্থানে অফিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ঢামেক হাসপাতাল সারাবছর রোগীদের সেবা দিয়ে থাকে। সব পরিস্থিতিতে এখানে রোগী ভর্তি হয়। ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি রোগী ভর্তি আছে এখানে। শয্যা নেই বলে কোনো রোগীকে বিনা চিকিৎসায় ফেরত পাঠানো হয় না। ফ্লোরে, সিঁড়ির নিচে- যেভাবেই হোক রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরেও হাসপাতালে মাঝে মাঝে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এগুলো বেশিরভাগ বাইরের লোকেরা করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে হাসপাতালের নার্সসহ স্টাফদের ডিউটির সময় তাদের খোঁজ নেওয়া এবং অন্যান্য বিষয় মাথায় রেখে হাসপাতালের আরও দুই জায়গায় আমি অফিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে প্রশাসনিক ব্লকের মূল কার্যালয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অফিস করবো। এরপর দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত জরুরি বিভাগ ও নতুন ভবনে বসবো।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তি গণমাধ্যমকে বলেন, ২০-২৫ বছর ধরে দেখে আসছি হাসপাতালের পরিচালকেরা সবসময় প্রশাসনিক ব্লকে তাদের নির্দিষ্ট কার্যালয়ে অফিস করেন। এখন শোনা যাচ্ছে বর্তমান পরিচালক আরও দুই স্থানে দুপুরের পরে অফিস করবেন। এটা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, যা আগের পরিচালকদের মধ্যে দেখা যায়নি।
২ জায়গায় অফিস করবেন ঢামেক পরিচালক
মন্তব্য করুন