সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার শারিরীক অসুস্থতার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের প্রেস ব্রিফিং-এর প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হেপাটোলজি এলামনাই এসোসিয়েশন ও এসোসিয়েশন ফর দি স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে দুটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য সঠিক চিকিৎসার বিষয়ে যথাযথ আলোকপাত করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠন দুটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে পোর্টাল হাইপারটেনশনজনিত বিভিন্ন কারন, যেমন ইসোফেজিয়াল ভ্যারিক্স, গ্যাস্ট্রিক ভ্যারিক্স, গ্যাস্ট্রিক এন্ট্রাল ভাসকুলার একটাশিয়া ইত্যাদি থেকে খাদ্যনালী ও পাকস্থলীতে রক্তপাত হতে পারে। ইসোফেজিয়াল ভ্যারিক্স হতে রক্তক্ষরন বন্ধে ইসোফেজিয়াল ভ্যারিসিয়াল লাইগেশন (ইভিএল) একটি বহুল ব্যবহৃত স্বীকৃত চিকিৎসা। বারবার রক্তক্ষরন বন্ধের ক্ষেত্রেও ইভিএল করা যায়। এছাড়া পোর্টাল হাইপারটেনশনের কারনে বারবার রক্তক্ষরন এবং যথাযথ মাত্রার ওষুধ প্রয়োগের পরেও বারবার আসা পেটের পানির (রিফ্র্যাক্টরি এসাইটিস) চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ট্রান্সজগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস) করা যায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হেপাটোলজি এলামনাই এসোসিয়েশন ও এসোসিয়েশন ফর দি স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানিয়েছে, টিপস-এর ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরবর্তী জটিলতা বিশেষ করে হেপাটিক এনসেফালোপ্যাথি অর্থাৎ লিভার রোগ জনিত কারনে অজ্ঞান হওয়ার প্রবনতা বা অজ্ঞান হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এছাড়াও টিপস করার সময় হার্টের জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং শিরা পথে ডাই ব্যবহারে কিডনীর জটিলতা বহু মাত্রায় বাড়তে পারে। অর্থাৎ টিপস করার সময়েও হার্ট ডিজিজ বা কিডনী ডিজিজে আক্রান্ত রোগীদের প্রসিডিউরজনিত জটিলতার ঝুকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বেগম জিয়ার শারিরীক অবস্থার কথা বিবেচনায়
রেখে পরবর্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের যথেষ্ট সচেষ্ট থাকা প্রয়োজন বলে
মনে করছে সংগঠন দুটি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গত বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছেন, তাকে পদ্মা নদীতে নিয়ে দুই চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিবাদী হয়ে উঠে বিএনপি...
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ইভিএমে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব হবে না। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভালো কিন্তু যারা পরিচালনা করবেন তারাতো নিরপেক্ষ নয়। তাই ইভিএমে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। ইভিএমে ভোট হলে আমরা নির্বাচনে যাব কী যাব না তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে জাপা...
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার তিনটি পথ রয়েছে। একটি নির্বাচনের ব্যালটের মাধ্যমে, অপর দুটি গণআন্দোলন ও গণঅভ্যূত্থান। আওয়ামী লীগ সবগুলো পথই ব্যবহার করতে জানে। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথই জানে না। তারা নির্বাচনে না গিয়ে ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়, মানুষ হত্যা করে...