ইনসাইড বাংলাদেশ

রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর ছাত্রদের কাজ না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর ছাত্রদের কাজ না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করা এটা ছাত্রদের কাজ না। এটা কেউ করবেন না দয়া করে। যার যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান। লেখাপড়া করেন।

আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন এবং ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বলব, দুর্ঘটনায় ছাত্র যে মারা গেছে-সেটা দুঃখজনক। যারা দোষী অবশ্যই তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। তাদের খুঁজে বের করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক সতর্ক এ ব্যাপারে।
তিনি বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আমি চালকদেরও বলব, গাড়ি সতর্কভাবে চালাতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ ছিল। শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছি। এখন সব স্কুল-কলেজ খুলে গেছে। সাবাইকে এখন পড়াশোনা করতে হবে। তাদের স্কুলে ফিরে যেতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী   গণভবন   শিশু একাডেমি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এলিফ্যান্ট রোডে মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল সংলগ্ন ৯তলা শেলটেক সিয়েরা কম্পিউটার সিটি মার্কেটের পঞ্চম তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করে প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।

তিনি বলেন, রাত ৯টা ২০ মিনিটে এলিফ্যান্ট রোডের মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। 

এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে ওই মার্কেটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে দুইটি ইউনিট যায়। পরে আরো আটটি ইউনিট যোগ দেয়।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর সেই ছবি পুরোটাই ভুয়া

প্রকাশ: ০৯:২৯ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো- সাত বছরের শিশুর হাতে দশ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের। 

এমনকি তার নাম পরিচয়ও ভুল দেয়া হয়েছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এমন খবর প্রচারকে বাসন্তীর জাল পরানো ছবির সাথে তুলনা করেছেন কেউ কেউ। 

আইনজীবীরা বলছেন, এটি অপরাধ। যদিও দেশের অন্যতম বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো এটিকে তেমন বড় ঘটনা হিসাবে দেখছে না। 

দৈনিক প্রথম আলোর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ভাইরাল হওয়া খবরের ছবি ছিলো, ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে এক শিশু। নাম জাকির হোসেন। 

শিশুটির উদ্ধৃতি ছিলো এমন- ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগবো’। 

সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকে গিয়ে ছবিটি দেখাতেই সবাই ছবির শিশুকে চিনতে পারলো। তবে, নাম ভুল ছেপেছে দৈনিক প্রথম আলো। শিশুটির নাম জাকির নয়, সবুজ।

তখনও সবুজ স্মৃতিসৌধে আসেনি। কারণ সবাই জানে স্কুল পড়ুয়া সবুজ পড়াশেষে বাড়ি ফিরে গোসল আর খাওয়া দাওয়া সেরে মার সাথে স্মৃতিসৌধে ফুল বেচতে আসে। 

তাই কুরগাঁও পাড়ায় সবুজের বাড়িতে কথা হয় তার মা মুন্নী বেগমের সাথে। তিন সন্তানের মধ্যে মেজো সবুজের নাম কিভাবে জাকির হোসেন হলো, আর তার প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া সন্তানকে কেন দিনমজুর বলা হলো তাতে তিনি অবাক। 

জানালেন, রাজমিস্ত্রী বাবা আর তার আয়ে এ বছরই লাগোয়া বাথরুমসহ ঘর ভাড়া নিয়েছেন। ঘরের টিভি বন্ধক রেখেছেন সাত হাজার টাকায়। যেন ঈদটা ভালোভাবে করা যায়। ভাতের জোগাড় হয়। আর ছোট সবুজ কেমন করে জানবে বাজারের খবর।

লাগোয়া বাথরুম থেকে গোসল সেরে বের হওয়া সবুজকে দেখে বোঝা গেল বাজার স্বাধীনতা আর চাল ডালের রাজনীতি বোঝার বয়স থেকে সে এখনও বহুদূরে। ছবি আর ছাপানো কথায় তার অপার বিস্ময়। প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সবুজ আহমেদের কাছেও কোন জবাব নেই। 

প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ১৭ মিনিট পরেই নিউজটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হবার বিষয়টি তাদের জানার কথা নয়।

স্বাধীনতা দিবসে এমন খবরকে ১৯৭৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে জাল পরানো বাসন্তীর ছবির মতোই চক্রান্ত বললেন শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী। 

যদিও এটিকে এত সরল করে দেখার সুযোগ নেই বলে মনে করেন জেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এখানে যেন কোনো অজুহাত না হয়। এদিকে এই ঘটনার প্রতিকার চেয়েছেন সবুজের প্রতিবেশীরা।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিশু হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:২৩ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

গতকাল গণমাধ্যমে 'ঢাকা শিশু হাসপাতাল চত্বরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদন নজরে নিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, রাজধানীর শিশু হাসপাতাল চত্বরে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মো. মামুন পল্লবী এলাকার চা দোকানদার ছিলেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। নিহতের ভাই মাসুদ রানা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মামুন স্ত্রী, মেয়ে ও মাকে নিয়ে শ্যামলী যান। 

তিনি বলেন, বিকেলে তার ভাই সবাইকে বাসে তুলে দিয়ে হাসপাতাল এলাকায় যান প্রতিবেশী নুরুজ্জামানের অসুস্থ মেয়েকে দেখতে। হাসপাতালে ঢোকার সময় আনসার সদস্যদের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তার ভাই এক আনসার সদস্যের গায়ে হাত দেন। পরে আনসাররা 'চোর' বলে চিৎকার করলে সেখানে কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স চালক আসেন এবং তারা তার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করে। 

এদিকে শিশু হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম বলেন, তারা জানতে পেরেছেন যে হাসপাতাল থেকে একটি সাইকেল চুরির সময় উপস্থিত জনতা ওই লোককে মারধর করে। নিহত মামুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের মতো জায়গায় চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্তপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকাকে বলা হয়েছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে সরকারি হাসপাতালে বৈকালিক চিকিৎসার ফি নির্ধারণ

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সরকারি হাসপাতালে আগামী ৩০ মার্চ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস শুরু করবেন চিকিৎসকেরা। প্রাথমিকভাবে ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলায় পাইলটিংভাবে এ চিকিৎসাসেবা শুরু হবে।

বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈকালিক এ চিকিৎসাসেবায় অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সিনিয়র কনসালটেন্টরাও রোগী দেখবেন। এজন্য ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

ডিউটিতে একজন অধ্যাপকের ফি হবে ৫০০ টাকা। এতে তিনি পাবেন ৪০০, চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতাকারীকে ৫০ টাকা ও সার্ভিস চার্জ ৫০ টাকা ধরা হয়েছে। সহযোগী অধ্যাপকের ফি ৪০০ টাকা, তিনি পাবেন ৩০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপকের ফি ৩০০ টাকা, তিনি পাবেন ২০০ এবং এমবিবিএস/বিডিএস ও সমমানের চিকিৎসকদের ফি হবে ২০০ টাকা এবং তিনি পাবেন ১৫০। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবায় সহযোগিতাকারীর জন্য ২৫ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’  
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমরা ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলায় এ প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছি। এ কার্যক্রমে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে সেটি দূর করে পর্যায়ক্রমে আমরা ৫০০টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু করতে যাবো। এছাড়া ৬৪টি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু করবো আমরা।’

তিনি বলেন, ‘বিকল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরকারি চিকিৎসকরা নিজ প্রতিষ্ঠানে চেম্বা প্র্যাকটিস করতে পারবেন। এখানে চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ানরা পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকরা সপ্তাহে দুই দিন করে চেম্বার ডিউটি করতে পারবেন।’

‘বৈকালিক চিকিৎসাসেবায় ছোট অস্ত্রোপচার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাফিসহ অন্য যে সেবাগুলো থাকে, সেগুলোও থাকবে। আর এসব সেবারও মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসক ও সহযোগিতাকারীরা, আরেকটি অংশ পাবে হাসপাতাল।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জেলা ও উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সরকারি চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করেন। তারপর সিনিয়র চিকিৎসকরা থাকেন না। যে কারণে বিকেলের দিকে চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন হলে তখন তাদের পাওয়া যায় না। মানুষের এ কষ্ট লাঘব করতেই চিকিৎসকদের দ্বিতীয় শিফট সেবা চালু করতে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করতে চেষ্টা করছি। আশা করছি, এখন থেকে বৈকালিক চিকিৎসাসেবাটাও মানুষ পাবে। জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্যসেবার মান বেড়েছে। সরকারি চিকিৎসকদের চেম্বার প্র্যাকটিসের কারণে রোগীরা আরও ভালো সেবা পাবে।’

সরকারি হাসপাতাল   চিকিৎসা ফি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই জানবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী - স্বাধীনতার ইতিহাস’

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail ‘শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনই জানবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী - স্বাধীনতার ইতিহাস’

সারাবছর ধরে শিক্ষার্থীরা যেন বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারে এজন্য নেত্রকোণা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্লাস শুরুর আগে প্রতিদিনের নিয়মিত সমাবেশে একটি নির্দিষ্ট বই থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম পাঠ করবে একজন শিক্ষার্থী; এর মধ্য দিয়েই তারা বঙ্গবন্ধুর জীবনীর পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকেও জানতে পারবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশে বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠের ‘সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত সরকার সজল।

‘সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে, সময় রেখায় বঙ্গবন্ধু’- শীর্ষক গবেষণামূলক সম্পাদনা গ্রন্থ থেকে প্রতিদিন পাঠ করা হবে। গ্রন্থটির প্রধান সম্পাদক বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর এন আই খান; সম্পাদনা করেছেন জাহিদুল ইসলাম, মঞ্জুরুল আহসান, সুমন গুহ ও ড. ফাতিমা ইয়াসমিন।

২২৫ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয়েছে সাবলীলভাবে। এই গ্রন্থ থেকেই প্রতিদিন খণ্ড খণ্ড আকারে শিক্ষার্থীদের পড়ে শোনানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান নেত্রকোণা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লুৎফর হায়দার ফকির।

তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল এই উদ্যোগ নেন। তিনি আমাদের জানালে আমরাও ভাল উদ্যোগ হিসেবে এতে যোগ দেই।’

বিদ্যালয়ের প্রতিদিনের সমাবেশ পরিচালনাকারী শিক্ষক তমা রায় বলেন, প্রত্যেকদিন স্কুল শুরুর সময়ে বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশে এই গ্রন্থ থেকে তিন থেকে চার লাইন করে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হবে। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে জেনে দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নবনীতা সরকার বলে, ‘আজ প্রথম সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে কিছু জানতে পারলাম। স্কুল খোলা থাকলে প্রতিদিন সমাবেশ হয়। জাতীয় সংগীত হয়, শপথ হয়। পরে বইটি থেকে একেকদিন একেকজন সমাবেশে পাঠ করবো।’

আরেক শিক্ষর্থী তৃষ্ণা সরকার বলে, ‘এখান থেকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারবো। আমাদের জন্যে খুবই ভাল হয়েছে।’

শিক্ষার্থী টিউলিপ তালুকদার বলে, ‘আমরা এখান থেকে সহজেই শিখতে পারছি। তা আবার বাসাসহ প্রতিবেশী যারা আছে তাদেরকেও জানাতে পারব। এভাবে আমাদের স্কুলের এক হাজারের মতো শিক্ষার্থী রয়েছি তাদের মাধ্যমে অন্যরাও জানতে-শিখতে পারবে।’

এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকেরাও। শহরের সাতপাই এলাকার অভিভাবক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সন্তানেরা শুধু লেখাপড়া করলেই ভাল মানুষ হবে না। তারা বঙ্গবন্ধুর মতো একজন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীর জীবনী খুব সহজেই আত্মস্থ করবে। তারা এতে যে জ্ঞান লাভ করবে তাতে ভবিষ্যত জীবনে দেশপ্রেমে উজ্জ্বীবিত হতে সহায়তা করবে।’

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল বলেন, ‘বছরব্যাপী এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে। ক্রমান্বয়ে তা জেলার সব বিদ্যালয়ে চালু করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা সম্বন্ধে জানানো হবে। এই আয়োজন নতুন প্রজন্মকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।’


শিক্ষার্থী   বঙ্গবন্ধুর জীবনী   স্বাধীনতার ইতিহাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন