বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা করছেন। আর পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরাও তাকে দেখভাল করছেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য টিপস (Transjugular Intrahepatic Portosystemic Shunt or TIPS) নামের এক চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বলছেন। এটি মূলত যকৃতের একটি শিরা, হেপাটিক ভেইন এর সাথে পোর্টাল ভেইনের একটি বাইপাস চ্যানেল তৈরি করে দেওয়া হয়।। লিভার সিরোসিসের কারণে প্রোটাল ব্রেইনের প্রেসার বাড়লে এই টিপস দিয়ে প্রেসার কমানো হয়। তাতে রক্তক্ষরণ রোধ হয়। তবে এটি লিভার সিরোসিসের কার্যকরী চিকিৎসা নয়। এটি লিভার সিরোসিসের একটি জটিলতার চিকিৎসা মাত্র। বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা মনে করছেন যে, এই টিপস পদ্ধতির চিকিৎসা দিয়েই বেগম খালেদা জিয়াকে সেরে তোলা সম্ভব। কিন্তু এভার কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক দল বেগম খালেদা জিয়াকে পর্যবেক্ষণ করে বলেছেন যে টিপস পদ্ধতির চিকিৎসা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য প্রযোজ্য নয়। এক্ষেত্রে তারা একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন।
প্রথমত, তারা বলেছেন যে বেগম খালেদা জিয়া উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগেও ভুগছেন। উচ্চ রক্তচাপ জনিত রোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির জন্য টিপস পদ্ধতিতে চিকিৎসা কার্যকর হতে পারে না। কারণ এতে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। টিপস পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায় এবং এটি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর জন্য ভয়ঙ্কর পরিণতি ডাকতে পারে। এভার কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা এটা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এখন যে পর্যায়ের অসুস্থ তাতে তার পক্ষে তাকে লিভার প্রতিস্থাপন করাও সম্ভব নয়। কারণ, লিভার প্রতিস্থাপন করার জন্য যে শারীরিক সক্ষমতা এবং সুস্থতা দরকার সেটি বেগম খালেদা জিয়ার নেই। তাছাড়া স্টেমচেল দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস সারানোরও এখন পথ কম বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
এভার কেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে ওষুধ দিয়ে যতটুকু সম্ভব এবং যতদিন সম্ভব সারিয়ে রাখা যায়। সাধারণত এ ধরনের লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত রোগীরা এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত নির্বিঘ্নে থাকতে পারেন এবং নিয়মিত ওষুধ পান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে, অন্য কোনো জটিলতা না থাকলে তিনি এই রোগ নিয়েই অন্তত এক থেকে দেড় বছর বেঁচে থাকতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে ৩-৪ এমনকি পাঁচ বছর বেঁচে থাকারও নজির রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এভার হাসপাতালের চিকিৎসকদের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। তারা মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা টিপস পদ্ধতিতে করা সম্ভব। আর এই টিপস পদ্ধতির জন্য তাকে দেশের বাইরে নেওয়া দরকার। এভার কেয়ার এবং ড্যাবের চিকিৎসকদের বাইরে লিভার বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে দেখা গেছে তারা মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে টিপস পদ্ধতি জোর করে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং টিপস পদ্ধতি প্রয়োগের কথা বলা হচ্ছে স্রেফ একটি অজুহাত হিসেবে। এই অজুহাত দাঁড় করানো হচ্ছে যেন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশি নেয়া যায়। কিন্তু শুধুমাত্র বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন রোগীকে ভুল চিকিৎসার পদ্ধতি দেয়া কতটুকু চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্মত এবং কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
এভার কেয়ার হাসপাতাল লিভার সিরোসিস বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গত বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছেন, তাকে পদ্মা নদীতে নিয়ে দুই চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিবাদী হয়ে উঠে বিএনপি...
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ইভিএমে সুষ্ঠু ভোট সম্ভব হবে না। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভালো কিন্তু যারা পরিচালনা করবেন তারাতো নিরপেক্ষ নয়। তাই ইভিএমে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। ইভিএমে ভোট হলে আমরা নির্বাচনে যাব কী যাব না তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে জাপা...
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার তিনটি পথ রয়েছে। একটি নির্বাচনের ব্যালটের মাধ্যমে, অপর দুটি গণআন্দোলন ও গণঅভ্যূত্থান। আওয়ামী লীগ সবগুলো পথই ব্যবহার করতে জানে। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো পথই জানে না। তারা নির্বাচনে না গিয়ে ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়, মানুষ হত্যা করে...