ওমিক্রনে কেবল স্পাইক প্রোটিনে 30 টিরও বেশি মিউটেশন রয়েছে,
করোনাভাইরাসের অংশ যা এটিকে মানব কোষে প্রবেশ করতে সহায়তা করে (বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা, ২০২১)। অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজিস্ট দীপ্তি ভট্টাচার্য বলেন,
যদিও ভাইরাসের মিউটেশন গুলি সম্পর্কিত, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ইমিউন
সিস্টেম বহুস্তরীয় (multi-layers), এবং ভ্যাকসিন থেকে সুরক্ষা এবং গুরুতর রোগের
বিরুদ্ধে পূর্ব সংক্রমণ সম্ভবত এখনও নতুন রূপের বিরুদ্ধে ধরে রাখবে।
তীব্রতা সম্পর্কে, এটি পরিষ্কার নয় যে ওমিক্রন অন্যান্য
বৈচিত্র্যের তুলনায় আরও গুরুতর রোগ সৃষ্টি করে কিনা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাথমিক
তথ্য তের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বলেছে যে সংক্রামিত মানুষের সামগ্রিক ক্রমবর্ধমান সংখ্যা প্রতিফলিত হতে পারে, কেবল
মাত্র ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে সংক্রামিত ব্যক্তিদের নয়।।
এই নতুন ভেরিয়েন্টের আচরণ এখনও স্পষ্ট। কেউ কেউ দাবি করেছেন যে
ওমিক্রন সংক্রমণের বৃদ্ধির হার, যা এর রূপান্তরযোগ্যতাপ্রতিফলিত করে, ডেন্টা
ভেরিয়েন্টের চেয়ে ও বেশি হতে পারে। এই "বৃদ্ধির হারের সুবিধা" এখনও
প্রমাণিত হয়নি তবে এটি সম্পর্কিত।
ওমিক্রন সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও যার মধ্যে রয়েছে এটি
মৃদু না গুরুতর রোগের কারণ ? বিশ্বের দেশগুলি এর বিস্তারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে
ছুটে এসেছে সীমান্ত বন্ধ এবং ভ্রমণ বিধিনিষেধ যা মহামারীর প্রথম দিকের দিনগুলির
কথা স্মরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়েছে যে ভ্রমণ
নিষেধাজ্ঞা ওমিক্রন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেবে না; এটি জীবন এবং জীবিকার উপর
একটি ভারী বোঝা চাপিয়ে দেয়। উপরন্তু, এটি মহামারীর সময় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য
প্রচেষ্টাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করতে পারে যখন দেশগুলির এপিডেমিওলজিক্যাল এবং সিকোয়েন্সিং
ডেটা রিপোর্ট এবং শেয়ার করার প্রয়োজন হয়।
অস্ট্রেলীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয়
সেনানায়েকে বলেন, "যদি ওমিক্রন আরও সংক্রামক হয়, কিন্তু সব বয়সের গ্রুপে
কম গুরুতর (severe) হয়, দুর্বল জনসংখ্যা এবং টিকাদেওয়া জনসংখ্যা, তাহলে এটি
অগত্যা খারাপ পরিস্থিতি হবে না। অবশ্যই আবার ঝুঁকি হ'ল যদি এটি বিশ্বজুড়ে টিকাহীন
অঞ্চলে ধরে রাখে এবং প্রচুর সংক্রমণ উৎপন্ন করে তারপরে এটি একটি নতুন, আরও
বিপজ্জনক রূপের জন্য একটি ঝুঁকি হবে।
বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে, যা গুরুত্বপূর্ণ তা হ'ল
বিশ্বের জনসংখ্যার আরও বেশি টিকা দেওয়া। এই মুহুর্তে, দেশে দেশে ভ্যাকসিন
অ্যাক্সেসের মধ্যে এখনও একটি বড় ব্যবধান রয়েছে। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত ভাইরাসটি কম
ভ্যাকসিনের হার যুক্ত জায়গায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম হবে, এটি বিকশিত
হতে চলেছে। এবং শেষ পর্যন্ত এটি সবাইকে প্রভাবিত করবে।
হয়েল ইন্সটিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথের পরিচালক সাদ ওমার বলেছেন,
মহামারীর কয়েকটি রুপোনি আস্তরণের মধ্যে একটি হল জিনোমিক এপিডেমিওলজির ব্যাপক
সম্প্রসারণ। তার মানে বিজ্ঞানীরা পূর্ব গবেষণা থেকে জানেন যে কোন মিউটেশনগুলি
ভাইরাসের কোন বৈশিষ্ট্যগুলি পরিবর্তন করবে। এছাড়াও অনেক ভাল পরীক্ষা এবং নজরদারি,
এবং বিশ্বব্যাপী ডেটা শেয়ারিং আছে। এবং ভ্যাকসিন নির্মাতারা প্রস্তুত এবং পিভট
করতে সক্ষম। মডার্না ইতিমধ্যে তার বর্তমান ভ্যাকসিন এবং ওমিক্রনের বিরুদ্ধে
বুস্টারের নতুন সংস্করণ পরীক্ষা করার পরিকল্পনা ঘোষণা করছে।
ফ্রেড হাচিনসন ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের একজন বিবর্তনীয়
ভাইরোলজিস্ট জেসি বলুমের মতে, আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও জানতে পারব যে এই
রূপটি আসলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে কি না। তাই তিনি আপাতত শান্ত থাকার আহ্বান
জানিয়েছেন।
একটি চলমান গবেষণায় পাওয়া গেছে (ডাঃ জুলিয়েট পুলিয়াম, প্রধান
গবেষক, স্টেলেনবোশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ আফ্রিকান সেন্টার ফর এপিডেমিওলজিক্যাল
মডেলিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস) :
We find evidence of increased reinfection risk associated with emergence of the Omicron variant, suggesting evasion of immunity from prior infection. (আমরা #Omicron ভেরিয়েন্টের উত্থানের সাথে সম্পর্কিত বর্ধিত পুনসংক্রমণ ঝুঁকির প্রমাণ পাই, যা পূর্ব সংক্রমণ থেকে অনাক্রম্যতা ফাঁকি দেওয়ার পরামর্শ দেয়)।
এই ফলাফলগুলি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনার
প্রভাব রয়েছে যা পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে অনাক্রম্যতার উচ্চ হার এবং ভ্যাকসিন
গ্রহণের নিম্ন মাত্রা (টিকাকরণের হার)। আমরা জিতব। বিজ্ঞান কোভিড ১৯ ভাইরাসকে
পরাজিত করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রন সম্পর্কে বিশ্বাস করেন: আমরা
ভাইরাস নিয়ে আমাদের কাজ শেষ করিনি। এবং ভাইরাসটিও আমাদের সাথে তার কাজ শেষ করেনি।
আলফা এবং ডেল্টা ভেরিয়েন্টসম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা এবং উপলব্ধি স্পষ্ট করে যে
তাৎক্ষণিক পরিমাপ দেরিতে প্রতিক্রিয়ার চেয়ে অনেক ভাল। এটা দেখা যেতে পারে যে এটি
কোনও বড় হুমকি নয়, তবে তাড়াতাড়ি কাজ না করার পরিণতি ধ্বংসাত্মক হতে পারে। একই
সময়ে, আমাদের সঠিকভাবে স্বীকার করা উচিত যে এই গল্পের প্রকৃত নায়ক, বতসোয়ানা
এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা যারা দ্রুত তথ্য একত্রিত করেছেন,
অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ বিশ্লেষণ প্রদান করেছেন এবং তাদের ফলাফল সম্পর্কে উন্মুক্ত এবং
স্বচ্ছ ছিলেন (ASEAN Post, December 03, 202131)
ডাঃ তারেক এম হোসেন, গ্লোবাল পাবলিক হেলথ এক্সপার্ট, প্রাক্তন জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
দেশে একটি সুষ্ঠু
নির্বাচন করা এবং সেটাকে দেশে-বিদেশি সবার কাছে যোগ্য করে তোলার আসল কাজটি করতে হয়েছে
রাষ্ট্রপতিকে। এই কাজটি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেষ পর্যন্ত খুব ভালো ভাবে এবং
সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরে এটিই এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির সেরা অর্জন বা
সেরা সাফল্য বলে আমি মনে করি। রাষ্ট্রপতি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ
ভাবে না করতে পারতেন তাহলে দেশের গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ত। কিন্তু রাষ্ট্রপতি
সেটি ভালো ভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এ কথা না বললেই নয় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গর্বিত। কারণ দেশের এক নম্বর নাগরিক বা
রাষ্ট্রপতি হওয়া সত্বেও তিনি যেভাবে সবার সাথে মিশেন সেটা অতুলনীয়। একজন মানুষ প্রকৃত
অর্থেই মাটির মানুষ না হলে তার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। এখনও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের
গায়ে গ্রামের সেই ধুলোবালির গন্ধ পাওয়া যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার যে ধ্যান
ধারণা থাকার কথা সেটাও তার মধ্যে অত্যন্ত প্রখর এবং সেই চেতনা তিনি সকলের মাঝে ছড়িয়ে
দেয়ার চেষ্টা করেন বলেই আমার কাছে দৃশ্যমান হয়। সেজন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তারা এ রকম একজন রাষ্ট্রপতিকে
এই পদে মনোনয়ন দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়ন শুরুতে সবাইকে অবাক
করলেও সেটা ছিল আমাদের অগত্যা। কারণ অনেকে তার সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতেন না। অথচ তিনি
একজন স্থানীয় নেতা হয়েও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। এমনকি
পাবনার মত একটি জেলা শহরে থেকে তিনি এটি করেছেন। আমরা সেটার মাহাত্ম্য বুঝতে না পারলেও
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরী ষড়যন্ত্রকারীরা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন আর সেজন্য রাষ্ট্রপতিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন। আমি প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফের কাছে শুনেছি যে রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং তার (প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন ইউসুফ হাত পা খাটের
সাথে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এভাবে অনেক দিন তিনি জেল খেটেছেন। এরপর তিনি জেলে থেকেই আইন
পাশ করেন। তিনি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নেন এবং জেলা জজ পর্যন্ত হয়ে তিনি তার চাকরির জীবন
শেষ করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হন। তিনি আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশনের
প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন
করছেন। রাষ্ট্রপতি হলেও এখনও তিনি আগের মতই সহজ-সরল রয়ে গেছেন। তার এই সরলতা ইতিমধ্যে
সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপতির আরেকটি উল্লেখ্য করার মত সাফল্য হল যে,
তিনি এমন ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বা এখন পর্যন্ত তার কাজকর্ম কিংবা সিদ্ধান্তগুলো
দেখে বুঝার উপায় নেই যে তিনি আগে কখনও কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে তিনি তার নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে পেরেছেন। রাষ্ট্রের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা
পেয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন সহ সর্বশেষ তিনজন রাষ্ট্রপতি গণ মানুষের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে
প্রমাণ দিতে পেরেছেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, এরপর অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ
এবং মো. সাহাবুদ্দিন তারা প্রত্যেকই অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আপামর জনগণের মন জয় করে
নিতে পেরেছেন। রাষ্ট্রপতি হবার আগে যে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি হবার পরও
একই ভাবে থেকেছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকায় এমন রাষ্ট্রপতিও আছেন যারা রাষ্ট্রপতি
হবার আগে এক রকম ছিলেন পরে আবার অন্যরকম ভাবে আবির্ভূত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হবার আগে
যে আদর্শ ধারণ করতেন রাষ্ট্রপতির চেয়ার বসলে তাদের সেই আদর্শের বিচ্যুক্তি ঘটে। কিন্তু
এক্ষেত্রে এই তিনজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তারা আগে যা ছিলেন রাষ্ট্রপতি হবার
পর একই রকম থেকেছেন, আদর্শচ্যুত হননি। মো. সাহাবুদ্দিন যে আদর্শ ধারণ করেন সেই আদর্শে
তিনি তার কাজকর্ম সফলতা সাথে করে যাচ্ছেন। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
প্রকাশ: ০৯:২৬ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
মন্তব্য করুন
১৯৯৮ সাল। বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকুরী করি। স্থানীয় চাইনিজ রেস্তোরাতে একটি সেমিনার হবে। ঢাকা থেকে ওষুধ কোম্পানির এক কর্মকর্তা এসেছেন। তিনি একই মেডিকেলে আমার এক বছরের সিনিয়র। বেশ খাতিরের বড় ভাই। তিনি তাঁর ব্যাগ থেকে একটি যন্ত্র বের করলেন। যন্ত্রটি অন করার পর দেখি সেটি একটি কম্পিউটার। কোন তার ছাড়া কম্পিউটার। জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কি জিনিস এটা, নাম কি ? বললেন, ল্যাপটপ। জীবনে এই প্রথম আমার ল্যাপটপ দেখা। তবে নাম শুনেছি এর তিন বছর আগে, ১৯৯৫ সালে। যখন নাম শুনেছি, তখন বুঝিনি জিনিসটা কি ?
দেশের শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বিক্রির বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য টাউন’। বাংলাদেশের বিভিন্নি গ্রুপ কোম্পানি এই প্রতিষ্ঠানটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছে বলেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক মতিউর রহমানের এতে শেয়ার রয়েছে। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির মালিক। মালিকানা থাকলেও এখন মতিউর রহমান তার সম্পাদক পদটা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য তিনি কর্ণফুলী গ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি করার জন্য খুব আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন বাস্তব কারণে কর্ণফুলীগ্রুপের কাছে প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির বিষয়টিতে রাজি হয়নি বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
আজ ২৪ এপ্রিল। গত বছর এই দিনে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আজ এক বছর পূর্ণ হল। অঙ্কের হিসেবে এক বছর সময় অনেক কম মনে হলেও এই সময় তিনি সেরা সাফল্য অর্জন করেছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সে সময়টা ছিল নির্বাচনী বছর। বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কোন দিকে যাবে ইত্যাদি নানা রকম শঙ্কা ছিল অনেকের মধ্যে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রপতির প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। নির্বাচন বিষয়টি যদিও নির্বাচন কমিশনের কাজ। কমিশন এটা আয়োজন করে থাকে। কিন্তু এর পিছনে আসল কাজটি করেছেন রাষ্ট্রপতি।
প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু অবাক করার বিষয় যে, একমাত্র পলকের শ্যালক ছাড়া আর কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অথচ আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনা আছে যে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। মন্ত্রী, এমপিদের পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদেরকে প্রত্যাহারের জন্য তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কেউই তা মানেননি। এতে করে সুস্পষ্ট ভাবে তারা আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনাকে অমান্য করেছে। যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন এবং গুরুতর অপরাধও বলে আমি মনে করি।
দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি যে নতুন সরকার গঠন করেন আজ তার ১০০ তম দিন। এক কঠিনতম সময়ে তিনি এই সরকার গঠন করেছেন। কিছু বুদ্ধিজীবী নির্বাচনের আগে আগে নানান রকম কথাবার্তা বললেও সাধারণ মানুষ ঠিকই জানত যে, শেখ হাসিনাই আবার সরকার গঠন করবেন। কারণ তারা জানেন যে, শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সরকার গঠনের পরও কিন্তু তাকে কঠিনতম সময় পার করতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা পাচ্ছেন। এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমিও মনে করি যে, দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।