নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮
নির্বাচনের বছরে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে বাংলাদেশ ও সরকার বিরোধীদের প্রচারণার মাত্রা অনেক বেড়েছে। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত দূতাবাসগুলো এই প্রচারণা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। শুধু বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো নয়, বিদেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন শাখাগুলো এখন কোন্দল আর তদবিরে ব্যস্ত। ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকার ইমেজ সংকটে ভুগছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক লন্ডন সফরের কথাই ধরা যাক। এখানে বিএনপি-জামাত ছিল পরিকল্পিত। ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠানের শেষে ‘চ্যানেল ফোর’ একটি বানোয়াট খবর প্রকাশ করে। চ্যানেল ফোর দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধীদের এবং তারেক জিয়ার পক্ষে কাজ করছে এটা সবাই জানে। কিছুদিন আগে এরা ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছিল। অথচ লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে এ ব্যাপারে কোনো হোমওয়ার্ক করেনি। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরে বেশ কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে। একজন উপমন্ত্রী লাঞ্ছিত হন। কিন্তু যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা ব্যস্ত ছিলেন, নানা রকম নগদ প্রাপ্তির তদবিরে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এখন বিভক্ত। এদের কেউ কেউ এখন মনোনয়নের জন্য বাংলাদেশেই বেশির ভাগ সময় কাটান। বাকিরাও যুক্তরাজ্যে যাওয়া মন্ত্রী এমপিদের ধরে এটা সেটা প্রাপ্তির তদবিরে সময় কাটান। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সফরে দেখা গেছে তাঁদের দৈন্যদশা। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ দূতাবাসও ‘প্রটোকল’ দিয়েই সময় কাটায়। যুক্তরাজ্যে তারেক এবং যুদ্ধাপরাধীদের অপতৎপরতা নিয়ে একটি খবর প্রেস উইং গত এক বছরে প্রকাশ করতে পারেনি। তারেক লন্ডনে চলে কি করে? এই একটি প্রশ্ন নিয়েই যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম তোলপাড় করা যায়, কিন্তু প্রেস উইং সেখানে বিনোদনেই ব্যস্ত। বিবিসির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক পুরোনো। এখন সেই বিবিসি সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত। যুক্তরাজ্যে পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো ‘কমিটেড’ অফিসার কেন নিয়োগ পান না। প্রেস উইং এ কেন নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিককে পাঠানো হয় না, সে প্রশ্ন অনেকের। যুক্তরাজ্যে ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিভিন্ন ফোরামে সরব হচ্ছে। কদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যা তা মন্তব্য করেছে। কিন্তু, ঐ রিপোর্ট প্রকাশের আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানতই না। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনের কাজ কি তা কেউ ঠিক মতো বলতে পারবে না। ইদানীং সেখানে ড. ইউনূস, ড. কামাল হোসেনরা প্রায়ই সিনেটের এবং কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কানভারী করেছেন। কিন্তু দূতাবাস ব্যস্ত তাঁদের রুটিন প্রটোকলে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের যেন এখন এটাই কাজ সেটা হলো রোহিঙ্গা ইস্যু। অথচ এখানে গোপনে বাংলাদেশকে হেয় করার কাজ করছে জামাত-বিএনপি। ঢাকায় বসে যখন আমরা এসব খবর পাই, তখন নিউইয়র্কে বসে তাঁরা কি করেন?
যুক্তরাজ্যের মতো যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ বিভক্ত। তাঁরা এখন আয় উপার্জনের দিকেই মনোযোগী। এরা কেউ ব্যাংক পেয়েছে, কেউ ব্যবসা পেয়েছে ব্যস।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিদিনই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা পিটিশন দাখিল করা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কি করছে, তা একমাত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। যেকোনো অভিযোগে শুধু বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়াই একমাত্র কাজ ব্রাসেলসে বাংলাদেশ মিশনের। একই অবস্থা জেনেভাতে বাংলাদেশ মিশনেও। কূটনৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চালাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব। যার রাজনৈতিক আদর্শ প্রশ্নবিদ্ধ। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থায় কাজ করার পর, কি জাদু মন্ত্র বলে তিনি পররাষ্ট্র সচিব হয়েছেন তা কেউ জানে না। প্রয়াত মিজারুল কায়েসের মতো রাজনৈতিক কমিটেড এবং মেধাবী অফিসারকে সরিয়ে, মোর্শেদ খান ঘরানার সচিব নিয়োগ করা কেন হয়েছিল, সেও এক রহস্য। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এখনো মোর্শেদ খান আর শমসের মোবিন চৌধুরীদের অনুগতরাই শাসন করছে, যাঁরা সে সময় আওয়ামী লীগ বলে বঞ্চিত ছিল, তাঁরা এখনো কোণঠাসা। আদর্শ বিবর্জিত কিছু আধাখেঁচড়া অফিসার দিয়ে বিশ্বব্যাপী জামাত-বিএনপির নোংরা প্রচারণা মোকাবেলা এক অবাস্তব বিষয়। অনেকেই মনে করেন, এজন্যই এত সাফল্যের পর বাংলাদেশকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে বিশ্বময়। নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নগুলোই তীর হয়ে বিঁধবে আওয়ামী লীগ সরকারের শরীরে। দেশের রাজনীতিতে পরাক্রমশীল আওয়ামী লীগ, কূটনৈতিক যুদ্ধে নাজেহাল অবস্থায়। এ থেকে উত্তরণ কি হবে নির্বাচনের আগে?
Read in English- https://bit.ly/2r5XGv1
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন