নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩০ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮
গাজীপুর এবং খুলনা সিটি নির্বাচনে আপাত: দৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। যারা মনোনয়ন চেয়েও পাননি কিংবা মনোনয়ন প্রাপ্ত ব্যক্তিকে যারা পছন্দ করেন না, তাঁরা প্রকাশ্যে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু গোপনে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদের অনেকেই ভেতরে ভেতরে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি ‘ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ গঠন করা হয়েছে। দলীয় পরিমণ্ডলে তাদের পরিচয় নেই, এরকম বেশকিছু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী গাজীপুর এবং খুলনায় গেছেন। বিভিন্ন ভাগে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ এবং অনুসন্ধান করছেন। দলীয় কোনো নেতাকর্মী দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছে কিনা এটি খতিয়ে দেখাই তাদের প্রধান কাজ। এরকম অভিযোগ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতাদের খবর দিচ্ছেন। মূলত: গত বছর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকেই আওয়ামী লীগ এরকম উদ্যোগ নিয়েছে। ওই নির্বাচনে বাইরে আওয়ামী লীগের বলে প্রচার করলেও ভেতরে ভেতরে তাঁরা বিএনপির পক্ষে কাজ করেছে। এমনকি ‘নৌকা’ প্রতীকের ব্যাজ লাগিয়ে অনেক পোলিং এজেন্ট বিএনপির পক্ষে কাজ করেছিল। এবার দুই সিটিতে এরকম ঘটনা ঘটাতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘এই দুই সিটি নির্বাচনে কোনো রকম মত বিরোধ এবং দোদ্যুল্যমানতা সহ্য করা হবে না। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।‘ তিনি বলেন, ‘শুধু দুই সিটিতে নয়, সারা দেশে দলীয় কোন্দল বন্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি।‘ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে গলাবাজি করে, গোপনে তাঁর বিপক্ষে কাজ করারও অনেক চেষ্টা করেন। এই বিষয়টিও আমাদের নজরে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ’ আওয়ামী লীগকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।