নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮
চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মোট ৯ টি অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে ৭ টিই তাঁর প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। তাদের অনাস্থা জ্ঞাপন সংক্রান্ত লিখিত সিদ্ধান্ত পাঠিয়েছে লন্ডনের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছে। ৭ টি অঙ্গ সংগঠনই অভিযোগ করেছে যে, মির্জা ফখরুল দলকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন। সরকারের ইচ্ছা দাসে পরিণত হয়েছে বিএনপি। তাদের অভিযোগ আন্দোলনের নামে নাটক করে বর্তমান মহাসচিব দলকে ‘আওয়ামী লীগ’ সরকারের অধীনে একটা প্রহসনের নির্বাচনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যে ৭ টি সংগঠন বর্তমান মহাসচিবের ব্যাপারে অনাস্থা জানিয়েছে সেগুলো হলো: ১. জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, ২. জাতীয়তাবাদী যুবদল ৩. জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ৪. জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস, ৫. জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ৬. জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ৭. জাতীয়তাবাদী ওলামা দল। অঙ্গ সংগঠন সমূহের মধ্যে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দল ও জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল এখনো বিএনপি মহাসচিবের প্রতি আস্থা অটুট রেখেছে। তবে সংগঠন দুটি বর্তমান কার্যক্রম খুবই সীমিত। এছাড়াও বিএনপির দুটি সহযোগী সংগঠনের মধ্যে একটি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আনুষ্ঠানিকভাবে অনাস্থা না জানালেও মহাসচিব সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ৭ টি অঙ্গ সংগঠনই ১৩ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল সময়ের মধ্যে তাদের ঢাকায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করে। প্রত্যেকটি বৈঠকেই বর্তমানে বিএনপির সাংগঠনিক অপারগতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়। অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, বেগম জিয়াকে গ্রেপ্তারের পর যেভাবে আন্দোলন গড়ে ওঠার সুযোগ ছিল, সেভাবে আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। দলীয় চেয়ারপারসনের দোহাই দিয়ে আন্দোলনের লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। ৭টি অঙ্গ সংগঠনই মনে করে, আন্দোলনে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহকে সম্পৃক্ত করার কোনো উদ্যোগ বিএনপি মহাসচিব নেননি। বরং অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষ্ক্রিয় রাখার কৌশল নিয়েছেন দলটির মহাসচিব। অঙ্গ সংগঠনগুলো মনে করছে, আন্দোলনের কর্মসূচি ও কৌশল প্রণয়নে বিএনপি মহাসচিব এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কোনো পরামর্শই গ্রহণ করছেন না। বরং অদৃশ্য ইশারায় দল পরিচালিত করছেন। পৃথক পৃথক বৈঠকে প্রায় সব অঙ্গ সংগঠনই এরকম মনোভাব প্রকাশ করেছে যে, বিএনপি মহাসচিব একটি প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিকে ঠেলে দিচ্ছে। ৭ অঙ্গ সংগঠনই, অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে অর্থবহ এবং বেগবান আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, সরকারের ভয়ে হাত পা গুটিয়ে ঘরে বসে থাকলে সরকার একতরফা নির্বাচনের সুযোগ পাবে। তাই অবিলম্বে, নেতৃত্ব পরিবর্তন ঘটিয়ে , দলকে ‘উজ্জীবিত’ করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তাঁরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছে।
বিএনপির এই সব অঙ্গ সংগঠনগুলো, তারেক জিয়া নিয়ন্ত্রিত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চাপে রাখতে অঙ্গ সংগঠন দিয়ে তারেক এই চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলীয় চেয়ারম্যান যেকোনো সময় মহাসচিবকে অপসারণ করতে পারেন। ৭ অঙ্গ সংগঠনের অনাস্থা সংক্রান্ত চিঠি পাবার পর তারেক জিয়া কি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা এখনো জানা যায় নি।
Read in English- https://bit.ly/2FpNUZV
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।