নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৩ এএম, ০১ মে, ২০১৮
যুক্তরাজ্যের নতুন হোম সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাজিদ জাভিদ। পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত উদার অভিবাসন নীতিতে বিশ্বাসী এই কনজারভেটিভ নেতা অ্যাম্বার রাডের পদত্যাগের ফলে নতুন দায়িত্ব পেলেন। এটা ব্রিটিশ রাজনীতির হিসেবে। কিন্তু সাজিদের হোম সেক্রেটারি হওয়ায় উল্লাসিত তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠরা। তাদের উল্লাসের কারণ, সাজিদ অভিবাসন প্রশ্নে উদারনীতিতে বিশ্বাসী এবং তারেক জিয়ার পূর্ব পরিচিত। তারেক জিয়া অন্তত দুবার নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছে, এমন কথা শোনা যায়। এর ফলে তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো প্রলম্বিত হতে পারে বলে ধারনা করছেন অনেকে।
ব্রিটেনের সাবেক হোম সেক্রেটারি অ্যাম্বার রাড ছিলেন অভিবাসন প্রশ্নে অত্যন্ত কঠোর। সম্প্রতি তার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের দুদফা বৈঠক হয়েছিল তারেক জিয়ার প্রত্যার্পন প্রক্রিয়া নিয়ে। এরকম দণ্ডিত ব্যক্তিকে ব্রিটেনে না রাখার ব্যাপারে রাড নীতিগত সম্মতি দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু অভিবাসন প্রশ্নে তাঁর কিছু নীতি ও সিদ্ধান্ত তীব্র ভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে। অবশেষে তিনি পদত্যাগ করেন।
নীতির দিক থেকে সাজিদ সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। ৪৮ বছর বয়সী নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (হোম সেক্রেটারি) নিজেও একজন অভিবাসীর সন্তান। অভিবাসন প্রশ্নে ব্রিটিশ সরকারের নীতির সমালোচক তিনি। তাছাড়া সবথেকে বড় কথা, যুক্তরাজ্যে তারেক জিয়াকে রাখার পক্ষে যে বলয়, তাঁর অন্যতম একজন হলেন সাজিদ। সাজিদ জাভিদের সঙ্গে তারেক জিয়ার দুদফা বৈঠক হয়েছিলো বলে জানা যায়। ওই বৈঠকে কি কথা হয়েছিলো সে সম্পর্কে কিছু জানা না গেলেও সাজিদের নিয়োগে তারেক জিয়া যে বেশ খানিকটা লাভবান হবেন তা বলাই বাহুল্য।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।