নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০১৮
ইদানীং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মনোযোগ দিয়েই শোনেন কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন বক্তব্যের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়াও জানান নিজে নিজে। কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যের এক পর্যায়ে টেলিভিশন বন্ধ করে দিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। তাঁর গৃহকর্মী ফাতেমাকে ঘর থেকে বের করে দিলেন। সঙ্গে বের করে দিলেন সার্বক্ষণিক থাকা দুই নারী কারারক্ষীকেও। খবর কারাসূত্রের।
ঘটনা আজ বিকেলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৪ টার কিছু পরে সংবাদ সম্মেলনে এলেন। সংবাদ সম্মেলন বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল। নাজিমউদ্দিন রোডে বিশেষ কারাগারে বন্দী বেগম জিয়া তাঁর গৃহপরিচারিকা ফাতেমা এবং দুজন নারী কারারক্ষীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনছিলেন। বিভিন্ন প্রসঙ্গে বেগম জিয়া পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এসব বক্তব্য শুনে ফাতেমা হাততালিও দিচ্ছিলেন। এরকম চলে প্রায় ঘণ্টা খানেক। ঘণ্টা খানেক পর বেগম জিয়ার কারাবাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখা শুরু করেন। বলেন, ‘একটা অন্যায় আমি করেছি। নিরপরাধ একজনকে বেগম জিয়ার মেইড হিসেবে থাকার অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ভূমিকারও সমালোচনা করেন। এক পর্যায়ে বেগম জিয়া লক্ষ্য করেন, অশ্রুসজল ফাতেমা। তাৎক্ষনিকভাবে খালেদা জিয়া টিভির সুইচ বন্ধ করে দেন।
ফাতেমাকে বলেন, এসব আর দেখতে হবে না। যাও বাহিরে যাও। ভাগ্যিস ফাতেমা তাঁর বেতন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেননি। এসময় দুই নারী কারারক্ষীও মুখ টিপে হাসছিলেন। বেগম জিয়া রাগে ক্ষোভে তাদেরকেও বের করে দেন। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন, তাও যদি ভালো বেতন দিত তাহলে বুঝতাম। ফাতেমাকে কতো বেতন দেয় তা আমি জানি, আপনারা খোঁজ নেন।
উল্লেখ্য, ফাতেমা প্রায় তিন মাস বিনা অপরাধে বেগম জিয়ার সঙ্গে কারাভোগ করছেন। কারাগারে বেগম জিয়ার দেখভাল করেন ফাতেমা।
বাংলা ইনসাইডার/ জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।