নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২৯ এএম, ০৩ মে, ২০১৮
পাঁচটি যোগ্যতা পূরণ করলেই কেবল এবার ছাত্রলীগের নেতা হওয়া যাবে। শুধু বয়স এবং বিগত কমিটিতে কি অবস্থায় ছিলেন, তা বিবেচনায় নেওয়া হবে না কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতরাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার কাছে আওয়ামী লীগ সভাপতি এই পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সংগঠনের সম্পাদক এনামুল হক শামীম উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতা নির্বাচনের জন্য যে ৫ টি শর্ত দিয়েছেন এগুলো হলো:
এক. ছাত্র রাজনীতির শুরু থেকেই ছাত্রলীগ করতে হবে। আগে অন্য ছাত্র-সংগঠন করতো এখন ছাত্রলীগ করে, এমন কাউকে শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য বিবেচনা করা হবে না।
দুই. পারিবারিক পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। ছাত্রলীগ নেতার বাবা, মা, ভাই, বোন কি ধরনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তা জানতে হবে। পরিবারের কেউ বিএনপি-জামাত বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকলে, ঐ ছাত্রলীগ কর্মী নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হবে না।
তিন. নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হতে হলে ছাত্রলীগ কর্মীকে নিষ্কলুষ থাকতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের কোনো মামলা কিংবা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা যাবে না।
চার. ছাত্রলীগ নেতা হতে চাইলে তাকে শুধুই ছাত্র হতে হবে। ছাত্র আবার ব্যবসা করে এমন ছাত্রলীগ কর্মী নেতা নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবে। মেধাবী ছাত্ররা অগ্রাধিকার পাবে।
পাঁচ. কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল এমন ছাত্রলীগ কর্মী নেতৃত্বের জন্য বিবেচিত হবে না।
এই পাঁচশর্ত পূরণকারীদের মধ্যে থেকেই আগামী ছাত্রলীগ নেতা বিবেচিত হবেন।
বাংলা ইনসাইডার/ডেজএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।