নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৬ এএম, ০৪ মে, ২০১৮
কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা উত্তর-দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানা গেছে। আগামী ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ন শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্বে কারা আসবে তা নির্ধারণ করবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য ইতিমধ্যে ২৪ জনের সংক্ষিপ্ত একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকা এখন আওয়ামী লীগ সভাপতির টেবিলে। আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁর নিজস্ব উদ্যোগে এই সব ছাত্রলীগ কর্মীর ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী গত রাতেও ছাত্রলীগ নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রাক্তন কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার সাথে। প্রধানমন্ত্রী খোলামেলা ভাবেই বলেছেন,‘ তারেক জিয়াও বিএনপি ছাত্রলীগকে টার্গেট করেছে।’সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামাতের গোপন তৎপরতার খবরও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একারনেই এবার ছাত্রলীগ সন্মেলন নিয়ে বাড়তি নজরদারি। একটি সূত্র বলছে, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি, সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ডেকে কথা বলবেন। তাঁদের রাজনৈতিক চিন্তা ও আদর্শ সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন। ঐ সূত্র এটাও নিশ্চিত করেছে যে, নির্বাচনের মাধ্যমে এবার কমিটি গঠনের কোন সম্ভাবনা নাই। কারণ সম্মেলন নিয়ে ইতিমধ্যে নানামুখী চক্রান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের অন্য একটি সুত্র বলছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য নেতাদের কাছে ধর্না দিয়ে লাভ নেই। এবার ছাত্রলীগের কমিটি চুড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।
বাংলা ইনইসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।