নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ০৭ মে, ২০১৮
কারাগারে পাঠানো ড. কামাল হোসেনের ওকালতনামা স্বাক্ষর না করেই ফিরিয়ে দিলেন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটেছে। ওকালতনামা না থাকায় আগামীকাল মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ মামলায় বেগম জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানিতে বেগম জিয়ার পক্ষে অংশ নিতে পারছেন না ড. কামাল হোসেন।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আদালতে তাঁর পক্ষে লড়তে কারান্তরীণ বেগম জিয়ার কাছে ওকালতনামা পাঠিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। এর আগে গত শনিবার কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন খন্দকার মাহবুবের নেতৃত্বে পাঁচ আইনজীবী। বেগম জিয়াকে আইনজীবীরা বলেন, মামলা লড়তে তাঁরাই যথেষ্ট। ড. কামালের প্রয়োজন নেই। আইনজীবীদের সঙ্গে একমত হন বেগম জিয়া। আর এই কারণেই ড. কামাল হোসেনের পাঠানো ওকালতনামায় স্বাক্ষর করেননি বেগম জিয়া। ফিরিয়ে দিয়েছেন ওকালতনামা।
একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, তারেক জিয়ার একান্ত অনুরোধেই খালেদা জিয়ার আইনজীবী হতে সম্মত হয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। সম্প্রতি তারেক-ড. কামাল কথোপকথনের ওপর ‘আপনি আমার বাবার মতো’ শিরোনামে (https://bit.ly/2jELkqx) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলা ইনসাইডার, যেখানে দেখা যায় বেগম জিয়ার পক্ষে লড়তে ড. কামালকে বারবার অনুরোধ করেন তারেক জিয়া।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ড. কামালের ওকালনামায় বেগম জিয়ার স্বাক্ষর না করার পেছনে শুধু আইনজীবীদের ওপর ভারসাই কারণ নয়। ড. কামালের ওপর বেগম জিয়ার অনাস্থা ও অবিশ্বাসের বিষয়টিও এখানে কাজ করেছে বলে মেনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলা ইনসাইডার/ জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।