ইনসাইড পলিটিক্স

ভোটের আগেই হারল আ. লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০১৮


Thumbnail

গাজীপুরে ভোটের আগেই হেরে গেল আওয়ামী লীগ। ভোটের মাত্র ৯ দিন আগে হাইকোর্টের এক আদেশে নির্বাচন স্থগিত হবার ঘটনায় কাঠগড়ায় আওয়ামী লীগ। গণমাধ্যমে বিষয়টি এমনভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের মধ্যে এরকম ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, হারার ভয়েই বোধহয় আওয়ামী লীগ কায়দা করে নির্বাচন স্থগিত করিয়েছে। যদিও আজ বিএনপি প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রার্থীও হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হবার হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, সত্যি সত্যি যদি আওয়ামী লীগ গাজীপুরে হারতো, তাহলেও এত ক্ষতি হতো না, যে ক্ষতি হলো নির্বাচন স্থগিত করায়।’ তিনি বলেন, ‘হারলে আমরা বলতে পারতাম যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন আওয়ামী লীগই করতে পারে। নির্দলীয় সরকারের দাবিও অযৌক্তিক প্রমাণের আরেকটা সুযোগ ছিল আওয়ামী লীগের কাছে। কিন্তু ভোট বন্ধে এরকম একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে আওয়ামী লীগ হারবার ভয় পায়।’

এনিয়ে তফসিল ঘোষণার পর দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নির্বাচন স্থগিত হলো। একটি গাজীপুর অন্যটি ঢাকা (উত্তর)। এর ফলে সারা দেশের ভোটারদের কাছে একটা বার্তা গেল যে, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ভাটার টান। এজন্য আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভয় পাচ্ছে। বিএনপি নেতারা তো গতকাল থেকে বলতে শুরু করেছে যে, ‘নির্বাচনে ভরাডুবি জেনেই আওয়ামী লীগ গাজীপুর নির্বাচন বন্ধ করিয়েছে। ঢাকা নির্বাচন বন্ধ করিয়েছে।’ কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে এটাও বলছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ভরাডুবির আশঙ্কা থেকেই সরকার আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চাইছে। এজন্যই বেগম জিয়াকে কারান্তরীণ রাখা হয়েছে।’

জাতীয় নির্বাচন তো অনেক দূরের কথা। গাজীপুর নির্বাচন স্থগিতের আঁচ লেগেছে খুলনাতেও। খুলনাতেও বিএনপি এখন প্রচার করছে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভয় পায়। এজন্য খুলনার নির্বাচনও বন্ধ করার পায়তাঁরা চলছে।

গাজীপুরের ঘটনার আরেকটি দিক হলো, হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। হাসান উদ্দিন সরকারের বাসভবন ঘেরাও করে রাখে। এসব করে সরকার নির্বাচন বন্ধের সব দায়দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের এসব তৎপরতায় তার মহাজোট সঙ্গী জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। জাপার মহাসচিব তো বলেই ফেলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি সংশয় দেখছেন।

আওয়ামী লীগ গত ৫ বছর যেভাবে নিরঙ্কুশভাবে দেশ চালিয়েছে, শেষ সময়ে এসে যেন তার হাতে রাখা নিয়ন্ত্রণের লাগাম আলগা হতে শুরু করেছে। এটা কি আওয়ামী লীগ বুঝে করছে না ভেতর থেকে কেউ স্যাবোটাজ করাচ্ছে? সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেশকিছু ঘটনাকে স্পষ্ট স্যাবোট্যাজ বলা যায়। যেমন বেগম সুফিয়া কামাল হল থেকে রাতে কয়েকজন শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া। আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে উঠিয়ে নেওয়া ইত্যাদি।

সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য এলাকায় ঘটনা গুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণ হালকা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। হঠাৎ করেই দেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। এসব লক্ষণ মোটেও ভালো নয়। প্রত্যেকবারই দেখা যায় ক্ষমতার শেষ প্রান্তে এসে ক্ষমতাশীল দল একের পর এক ভুল করে। সেই ভুলের মাশুলও তাদের দিতে হয়। ৯১ এ মাগুরা ও মিরপুর উপনির্বাচন ছিল বিএনপির অবাঞ্চিত ভুল। ২০০১ সালে ডা. ইকবাল আর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলের কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। ২০০৬ সালে ড. ইয়াজউদ্দীনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করা, নির্বাচন কমিশনকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার মাশুল গুনতে হয়েছিল বিএনপিকে। গাজীপুর কি তেমনি এক ভুলের জন্মভূমি?


Read In English: https://bit.ly/2rvsuWm


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখনও বিএনপিতে বিভ্রান্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার রাতে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বর্জনের সিদ্ধান্ত হলেও নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত জানানো হলেও দলীয় অবস্থানের বিষয়ে এখন বিএনপি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও দলের অবস্থান কী হবে-এ বিষয়ে এখনও অস্পষ্টতায় দলটির নেতাকর্মীরা। অর্থাৎ স্বতন্ত্রভাবে দলের কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নেবে তা নিয়ে কেন্দ্রের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা পায়নি তৃণমূল। যে কারণে তারা অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন।

সূত্রমতে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইস্যুতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একাংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, যেহেতু এখন কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই, সে কারণে নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে কৌশলে হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। তা ছাড়া নেতাকর্মীদের একটি অংশকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা কঠিন হবে।

অন্য আরেকটি অংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মানে, এই সরকারকে বৈধতা দেওয়া। একই সঙ্গে গত ৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও চায় বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সরকারের এ ফাঁদে কোনো অবস্থায় পা দেওয়া ঠিক হবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কতজন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তদের। ফলে অন্যান্য নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত দলের অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে বিএনপিতে বিভ্রান্ত এখনও স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয় যারা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নাকি দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।



উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্র নিয়ে পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গণতন্ত্র প্রশ্নে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি পিটার হাসের কাছে জানতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে?

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এমন তথ্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই যে সত্য তা তো আমরা মেনে নিচ্ছি না। ২৫ ধাপ পিছিয়েছে? আমি রাষ্ট্রদূতকে (মার্কিন) জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনার নিজের দেশ গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে। সেটার জবাব আগে দিন।

এ সময় উপনির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ ও গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

গণতন্ত্র   পিটার হাস   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণবহিষ্কারের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির তৃণমূলে গণবহিষ্কারের আশঙ্কা করছেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে দলটিতে। গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। এর মধ্যে ১২০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৩৪ ও জামায়াতের ১৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, যে সমস্ত উপজেলা গুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণের মাঝে তাদের আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় এড়িয়ে রয়েছেন বলে ভোটাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এবং উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকেও এক ধরনের চাপ রয়েছে। ফলে এ রকম পরিস্থিতি জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে যদি বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে বিএনপিতে গণবহিষ্কারের একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে দলের মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্টতা ছিল। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না কিংবা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেবে না এরকম সিদ্ধান্ত হলে বিএনপির মধ্যে এই অস্পষ্টতা তৈরি হয়। এরকম পরিস্থিতি দলের কেউ নির্বাচন করলে সেটাকে উপেক্ষা করার নীতিগত কৌশল গ্রহণ করেছিল বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বিভিন্ন সময় এ ধরনের ইঙ্গিত দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতি সারাদেশে বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও এতদিন বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন এবং কৌশলগত অবস্থানে ছিলেন। কিন্তু এখন আবার হঠাৎ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও বর্জন করার ঘোষণা দিলেন। এখন বিএনপি যদি এই অবস্থানে অটল থাকেন তাহলে দলটিতে গণবহিষ্কারের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকই দলে জনপ্রিয় এবং নির্বাচন করার ব্যাপারে তাদের ওপর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপও রয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনাই তাদের মধ্যে বেশি। আর এ রকম বাস্তবতায় দল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিএনপি

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভাচুর্য়াল সভাটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৮ মে থেকে শুরু হওয়া আসন্ন চার ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণের নিকট জবাবদিহি করে সেই নির্বাচন গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত। এই শর্তের অনুপস্থিতিতে স্বৈরতন্ত্র হিংসাত্মকরূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে এক বিকট স্বৈরাচারের অভ্যুদয় হয়েছে। আওয়ামী দখলদার শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতাসীন হয়ে দেড় দশক ধরে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে। এদের আমলে কখনোই জাতীয় ও স্থানীয় সরকার কোনো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। জনগণের ভোটের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীদেরই আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশন বিজয়ী ঘোষণা করে। দখলদার শাসকগোষ্ঠী প্রতিটি নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে প্রতারিত করার জন্য নতুন নতুন রণকৌশল গ্রহণ করে।

বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে বলা হয়, প্রাণবন্ত গণতন্ত্রে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই রপ্ত করেনি। তাদের অধীনে সকল জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের প্রার্থীদের নানাভাবে হামলা, মামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও শারীরিক আক্রমণসহ পথে পথে বাধা দেওয়া হয়। অনেককেই মনোনয়নপত্র জমা দিতেও দেওয়া হয়নি।

দলের পক্ষে বলা হয়, অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মিত্র হতে পারে না। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ভোটারবিহীন ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও তারা আশঙ্কামুক্ত হতে পারেনি। তাই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদেরও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেওয়া, ইন্টারনেটের গতি স্লথ করা, নাগরিকদের নজরদারি নস্যাৎ ইত্যাদি নজিরবিহীন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনবিনাশী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর আগেও জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্টদের নানাভাবে বাধা প্রদান করা হয়। কিছু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরক্ষণেই তাদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, এরা একতরফা নির্বাচন করতে গিয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা দলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে ভরে রাখে। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে কারান্তরীণ করা হয়, এদের অনেকেই এখনো কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গুম, খুন অব্যাহত থাকে।

দলীয় সরকাররের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি যাবে না জানিয়ে বলা হয়, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ও তার সাজানো নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং প্রশাসন ও পুলিশের প্রকাশ্য একপেশে ভূমিকার জন্য ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করেছে। এখনো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি এবং বিদ্যমান অরাজক পরিস্থিতি আরও অবনতিশীল হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই সরকার ভোট, সংবিধান, ভিন্নমত প্রকাশ, বহুদলের অংশগ্রহণে নির্বাচনসহ মানুষের সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কশাঘাতে বিপর্যস্ত করেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই সহিংস সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলশ্রুতিতে এই অবৈধ সরকারের অপরাজনীতি ও নির্বাচনী প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি আগামী ৮ মে থেকে শুরু হওয়া সকল ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৮ মে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপও থাকবে না। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তরসম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


উপজেঃলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন