নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ১৩ মে, ২০১৮
কোটা সংস্কার নিয়ে নতুন করে আন্দোলনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বিকেলে দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতার কাছে এ ব্যাপারে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমাকে চাপ দিয়ে লাভ হবে না। চাপের কাছে আমি নতি স্বীকার করি না।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি তো বলেই দিয়েছি কোটা বাতিল, তারপর এর আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করবে না?’ সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেখি তারা কতদূর যায়।’
এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা বাতিলের ব্যাপারে যে কমিটির প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন, তাতে কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে পেশ করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন, তাই প্রধানমন্ত্রী চাইছেন, আগে কমিটি বসে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করুক। তারপর যেসব ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা প্রয়োজন সেই সব ক্ষেত্রের জন্য আলাদা নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যে কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে সেই কমিটির জন্য একটি টার্মস অব রেফারেন্স তৈরি করা হবে। যাতে সংবিধানের আলোকে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা এবং সরকারি চাকরীতে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবে কমিটি। এছাড়াও কমিটির মেয়াদ কতদিন হবে সেটিও টার্মস অ্যান্ড রেফারেন্স এ উল্লেখ থাকবে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করতে আহ্বান জানাতে দলের সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদককে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ওদের জানা উচিত, কথা দিয়ে কথার বরখেলাপ আমি করি না।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন