ইনসাইড পলিটিক্স

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে কত দিন লাগে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০১৮


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকারের জন্য বিষফোঁড়া হিসেবে দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণার পরও এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু করেছে। দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় দিনে আন্দোলনে আবার রাস্তা, রেলপথ এবং সড়কপথ বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে এই আন্দোলন আবার দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সবাই। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দ্বিতীয় দফায় কোটা আন্দোলন শিবির নিয়ন্ত্রিত। শিবিরের নেতৃত্বে এবং নিয়ন্ত্রণে এই আন্দোলন চলছে, এই অভিমত আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অনেক মন্ত্রী ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আন্দোলনের নাটাই শিবিরের হাতে থাকলেও এর সঙ্গে বিপুল সাধারণ শিক্ষার্থী জড়িত রয়েছে। তাঁদের কাছে এই দাবি যৌক্তিক। কোটা বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির বিলম্বের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। শিবির এই অসন্তোষকে আন্দোলনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে।

প্রধানমন্ত্রী গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা গত ৭ মে তে আবার অল্টিমেটাম দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। প্রশ্ন উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে কতদিন লাগে? আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন নেতা বলেছেন, ‘আমারা ডেকে ডেকে সমস্যা ঘাড়ে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরপরই যদি প্রজ্ঞাপন জারি করা হতো, তাহলে নতুন করে আন্দোলন গড়ে ওঠার সুযোগ থাকতো না।’ ঐ নেতা বলেন, ‘কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি হলে, নিশ্চিত ভাবেই তা আদালতে চ্যালেঞ্জ হতো। তখন সরকারের দায়দায়িত্ব থাকতো না। সরকারের একাধিক মন্ত্রী মনে করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতায় বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের আগে সরকারের সামনে একটি সংগঠিত শক্তিকে দাঁড় করানো হয়েছে।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১২ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রথম দফায় শেষ হয়। এরপর জামাত-শিবির সারাদেশে এই আন্দোলনকে সংগঠিত করেছে। এই আন্দোলনের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছে লন্ডন থেকে তারেক জিয়া। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সারাদেশে দেড়শরও বেশি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটিগুলো ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত। খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগের দিন ঢাকায় শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। জামাত-শিবিরের পরিকল্পনা স্পষ্ট, খুলনার নির্বাচনে বিএনপি হেরে যাওয়ার পর সারাদেশে একটা আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া।

একই সঙ্গে তারেক এই আন্দোলনে বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষকদের যুক্ত হবার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই স্পর্শকাতর স্থান, তাই এখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ভেবেচিন্তে ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে।

এরমধ্যেই বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন করে আন্দোলন শুরুর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের গোপন কার্যক্রম রয়েছে, সেখানে গতকাল রোববার এবং আজ সোমবার বৈঠক হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন অব্যাহত থাকলে, আবারও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামবে।

প্রথম যখন কোটা আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তখনও সরকার প্রথম এই আন্দোলনকে উপেক্ষা করেছিল। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, আন্দোলনের গভীরতা বুঝতে পারেনি। উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুরের পর, সরকারের টনক নড়ে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার এক মাস পরও প্রজ্ঞাপন জারি না করাও একটা অমার্জনীয় ব্যর্থতা বলেই বিশিষ্টজনরা মনে করছে। প্রজ্ঞাপন জারিতে যত বিলম্ব হবে, তত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে। সরকারের মধ্যে কেউ কেউ এরকম পরামর্শ দিচ্ছে, যেহেতু তাঁরা আন্দোলন করছে, তাই এখনই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে আন্দোলনকারীদের কাছে নতি স্বীকার করা। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং সরকারের অনেকেই বলছে, এখন জেদাজেদির সময় না। এই আন্দোলনের নেপথ্যের কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রথমে আন্দোলন বন্ধ করা প্রয়োজন। আর সেটা করতে হলে, প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে প্রজ্ঞাপন জারি করা দরকার।



Read In English: https://bit.ly/2wBmbWV


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮:৪৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার তাদের সব অপকর্মকে আড়াল করতেই জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া, গ্রেপ্তার হওয়া ও কারাগারে যাওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির আওয়ামী ডামি সরকার নব্য বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম, অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‌‘দেশের মানুষ নিত্যপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে যখন দিশেহারা তখন দখলদার আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নতুন মিথ্যা মামলায় আটকসহ আদালতকে দিয়ে সাজা প্রদান ও জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণের অমানবিক খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীনদের নির্মম আচরণ, দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ এখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী সরকার তাদের দুঃশাসন চালাতে আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’

তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আবুল খায়ের লিটন, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজু, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নুরুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহসভাপতি ইসলাম উদ্দিন, হাজারীবাগ থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুরাদ হোসেন মন্টি, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন, হাজারীবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. মাসুম, ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন, মহিলা দল নেত্রী ফাহমিদা এবং বংশাল থানার অপর একটি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৬ জন নেতাকর্মী যথাক্রমে মো. সোহেল, মো. সিদ্দিক, সাহেদ, আনিস, সাবের ও মাসুদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না এমপি-মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার না করতে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোট দানের ব্যবস্থা করেছেন নির্বাচন কমিশন। অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ এই হেভিওয়েট নেতা। 

শুধু তাই নয়, এর আগে একাধিকবার আওয়ামী লীগ সভাপতি দলীয় বিভিন্ন ফোরামে এ নির্দেশ দেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষ নেতারাও নিয়মিত সংবাদ সন্মেলনগুলো এই বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে এবার উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না। দল থেকে কাউকে মনোনয়নও দেবে না। এমনকি দলের কোন নেতাকর্মী দলীয় পদ-পদবীও ব্যবহার করে নির্বাচন করতে পারবে না। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিরা যেন কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান না নেয় কিংবা সমর্থন না জানায় সে ব্যাপারে বারংবার হুশিয়ার উচ্চারণ করে আসছে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। কারণ আওয়ামী লীগ চায় নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং নির্বাচনে যেন কোন ধরনের কোন্দল বা সহিংসতার ঘটনা না ঘটে।

তবে দলের এই নির্দেশনা মানছে না আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা। নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আহমদ হোসেনের কথাই ধরা যাক। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিএনপির সাবেক নেতা শিল্পপতি আসাদুজ্জামান ওরফে নয়নকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

আসাদুজ্জামান বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি এলাকায় বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচিত। শনিবার রাতে সংসদ সদস্য তাকে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন। এ–সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

শুধু আহমদ হোসেন একা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে কিংবা নিজেদের প্রভাবপত্তি বাড়ানোর কৌশল হিসেবে মাইম্যানকে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীরা। আর এর ফলে স্থানীয় রাজনীতিতে দলীয় কোন্দল আর বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনকে কতটুকু অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা সহিংস মুক্ত রাখতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   মো. আহমদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এখনও বিএনপিতে বিভ্রান্তি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার রাতে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বর্জনের সিদ্ধান্ত হলেও নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি স্পষ্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত জানানো হলেও দলীয় অবস্থানের বিষয়ে এখন বিএনপি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বলে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও দলের অবস্থান কী হবে-এ বিষয়ে এখনও অস্পষ্টতায় দলটির নেতাকর্মীরা। অর্থাৎ স্বতন্ত্রভাবে দলের কেউ নির্বাচন করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল নেবে তা নিয়ে কেন্দ্রের কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা পায়নি তৃণমূল। যে কারণে তারা অনেকটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন।

সূত্রমতে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ইস্যুতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একাংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, যেহেতু এখন কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম নেই, সে কারণে নেতাকর্মীদের সক্রিয় এবং ঐক্যবদ্ধ রাখতে কৌশলে হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। তা ছাড়া নেতাকর্মীদের একটি অংশকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখা কঠিন হবে।

অন্য আরেকটি অংশের নেতাদের মতামত হচ্ছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মানে, এই সরকারকে বৈধতা দেওয়া। একই সঙ্গে গত ৭ জানুয়ারি বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও চায় বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সরকারের এ ফাঁদে কোনো অবস্থায় পা দেওয়া ঠিক হবে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে বিএনপি নেতাদের মধ্যে কতজন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে তাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে তাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি দায়িত্বপ্রাপ্তদের। ফলে অন্যান্য নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত দলের অবস্থান কী হবে সেটা নিয়ে বিএনপিতে বিভ্রান্ত এখনও স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয় যারা উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নাকি দল তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।



উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

গণতন্ত্র নিয়ে পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গণতন্ত্র প্রশ্নে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি পিটার হাসের কাছে জানতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে?

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক কাউন্সিলের স্বাধীনতা সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এমন তথ্য সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটাই যে সত্য তা তো আমরা মেনে নিচ্ছি না। ২৫ ধাপ পিছিয়েছে? আমি রাষ্ট্রদূতকে (মার্কিন) জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনার নিজের দেশ গণতন্ত্রে কত ধাপ পিছিয়েছে। সেটার জবাব আগে দিন।

এ সময় উপনির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ ও গাজায় ইসরাইলের হামলা নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

গণতন্ত্র   পিটার হাস   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে গণবহিষ্কারের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির তৃণমূলে গণবহিষ্কারের আশঙ্কা করছেন অনেকে। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় এই শঙ্কা দেখা দিয়েছে দলটিতে। গতকাল সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা এই রাজনৈতিক দলটি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য যে, প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে গতকাল রোববার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন। এর মধ্যে ১২০ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৩৪ ও জামায়াতের ১৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, যে সমস্ত উপজেলা গুলোতে বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয় নেতা। জনগণের মাঝে তাদের আলাদা একটি গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় এড়িয়ে রয়েছেন বলে ভোটাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। এবং উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকেও এক ধরনের চাপ রয়েছে। ফলে এ রকম পরিস্থিতি জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে যদি বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে বিএনপিতে গণবহিষ্কারের একটা আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে, বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে দলের মধ্যে এক ধরনের অস্পষ্টতা ছিল। বিশেষ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না কিংবা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেবে না এরকম সিদ্ধান্ত হলে বিএনপির মধ্যে এই অস্পষ্টতা তৈরি হয়। এরকম পরিস্থিতি দলের কেউ নির্বাচন করলে সেটাকে উপেক্ষা করার নীতিগত কৌশল গ্রহণ করেছিল বিএনপি। দলটির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা বিভিন্ন সময় এ ধরনের ইঙ্গিত দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিয়েছিলেন। ফলশ্রুতি সারাদেশে বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও এতদিন বিষয়টিকে এড়িয়ে গেছেন এবং কৌশলগত অবস্থানে ছিলেন। কিন্তু এখন আবার হঠাৎ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও বর্জন করার ঘোষণা দিলেন। এখন বিএনপি যদি এই অবস্থানে অটল থাকেন তাহলে দলটিতে গণবহিষ্কারের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত উপজেলায় বিএনপির প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তারা প্রত্যেকই দলে জনপ্রিয় এবং নির্বাচন করার ব্যাপারে তাদের ওপর এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপও রয়েছে। ফলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সম্ভাবনাই তাদের মধ্যে বেশি। আর এ রকম বাস্তবতায় দল তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন