নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৫ মে, ২০১৮
রমজানে খাদ্যে ভেজাল এবং পণ্যে মান নিয়ে সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু। লিখিত বক্তব্যে নানা কথা বললেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই নেতা। বললেন, মন্ত্রণালয় পণ্যের মান, ওজন এবং ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে। শিল্পমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার জন্য আগ্রহ দেখাল। আজ খুলনায় নির্বাচন, খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্ন ইত্যাদি গরম রাজনৈতিক ঘটনা। সমানে আওয়ামী লীগের জাঁদরেল নেতা। কিন্তু সবার আগ্রহে পানি ঢেলে আমু বললেন, ‘এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে বলেন, রাজনৈতিক কোনো প্রশ্ন না।’ রাজনৈতিক কোনো প্রশ্নের উত্তর দেবেন না, এমন বক্তব্যের পর পানসে সংবাদ সম্মেলন থেকে একে একে বেরিয়ে গেলেন সাংবাদিকরা।
শুধু আজ নয়, গত কয়েক মাস ধরেই রাজনীতিতে অরুচি আমীর হোসেন আমুর। চলমান রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি নীরব। তাঁর কোনো বক্তব্যও নেই। অথচ তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য। জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের টিকেটে এমপি। রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁর নীরবতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন। এই আমীর হোসেন আমুই ছিলেন ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের প্রধান সংস্কারপন্থী। সংবাদ সম্মেলন করে তিনি দলীয় সভাপতির অপসারণ চেয়েছিলেন। ২০০৮ এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি মন্ত্রিত্ব পাননি। সেসময় প্রায়ই কড়া ভাষায় বিএনপির সমালোচনা করতেন। ২০১৪ তে মন্ত্রিত্ব পান, তারপর তাঁর কাজকর্ম ক্রমেই সীমিত হয়ে আসছে। রাজনৈতিক মন্ত্রীরা যদি টেকনোক্র্যাট হয়ে যান, তাহলে তাঁদের মন্ত্রিত্ব দিয়ে লাভ কি? এই প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগেই। আমীর হোসেন আমুর সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে দলেই সৃষ্টি হয়েছে অনেক প্রশ্ন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।