নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ১৭ মে, ২০১৮
তারেক জিয়া বিশ্বাসই করতে পারছেন না, খুলনাতে এভাবে বিএনপি হেরেছে। বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনে করেন, কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং করেও এত ব্যবধান করা সম্ভব না। বরং তাঁর ধারণা, স্থানীয় বিএনপিকে ‘কিনে’ নিয়ে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে। আজ দুপুরে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে টেলিফোনে তারেক এই ধারণার কথা বলেছেন। বিএনপির একাধিক সূত্র, দলের মহাসচিবের সঙ্গে তারেক জিয়ার টেলিফোন আলাপের কথা নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির ঐ লন্ডনে পলাতক নেতা মনে করেন, একটা দুইটা বা ১০টা কেন্দ্র পর্যন্ত কারচুপি হতে পারে। কিন্তু তাতে এত ব্যবধান হবার কথা নয়। তাছাড়া কর্মীরা যদি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিত তাহলে কারচুপি হলেই তো হৈ চৈ হতো, সহিংসতা হতো। তারেকের প্রশ্ন, এত ভোট আওয়ামী লীগ ব্যালট বাক্সে ভরাল আর কর্মীরা ঘুমিয়ে থাকল? একাধিক বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, এভাবে কারচুপি করা সম্ভব না। যে দু চারটা কেন্দ্রে এরকম ঘটনা ঘটেছে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করেছে, প্রতিরোধ করেছে। দলের মহাসচিবও মনে করেন, বেশ কিছু কেন্দ্রের এজেন্ট আওয়ামী লীগের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও মনে করেন, খুলনার পুরো নির্বাচনটা রহস্যে ঘেরা। বিএনপির এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া এরকম কারচুপি করা সম্ভব না। তিনিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলেছেন, প্রশাসন ও পুলিশ যতই পক্ষপাতপূর্ণ আচরণ করুক, ব্যালট বাক্স ভরানো বিএনপির এজেন্টদের আড়ালে হওয়া অসম্ভব। তিনিও মনে করেন, হয় ভোট মোটামুটি নিরপেক্ষ হয়েছে অথবা এজেন্টদের ম্যানেজ করে এটা করা হয়েছে। ভোটের পর বিএনপি মহাসচিব খুলনার নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন ভাবে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তাতেও তিনি জেনেছেন যে, ৮ থেকে ১০টি কেন্দ্রে দৃশ্যমান অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাকি কেন্দ্রে ভোটের এমন পার্থক্য কেন, সেই হিসাব মেলাতে পারছে না কেউ। বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়াকে বলেছেন যে ৭০ টি কেন্দ্রে তিনি ভোটের হিসাব নিয়েছেন যেখানে বিএনপির এজেন্টরা ছিল, ভোট নিয়ে তাঁদের কোনো অভিযোগও ছিল না, সেখানে বিএনপির ভরাডুবি ঘটেছে। বিএনপি মহাসচিব এদের সন্দেহ করছেন। তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন অনেক বিএনপি মনোনীত ওয়ার্ড কমিশনার প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। অনেক বিদ্রোহী প্রার্থীও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। সব মিলিয়ে একটি বড় অংশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। তারেক জিয়া খুলনা নির্বাচন নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।