নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০১৮
রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। কিন্তু রাজনীতির মাঠে গত দশ বছরে বিএনপিকে কোণঠাসা করতে করতে আওয়ামী লীগ এখন আর বিএনপিকে শক্ত প্রতিপক্ষই মনে করেনা। বিএনপির নেতারাও স্বীকার করেন যে, আওয়ামী লীগ এখন বিএনপিকে পাত্তাই দেয় না। বিএনপি কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবেনি যে, বেগম জিয়াকে এভাবে জেলে আটকে রাখা সম্ভব হবে। ২০১৪ তে বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে, এটাও ছিল দলটির নেতাদের কাছে অবিশ্বাস্য। এখন বিএনপি বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, ২০১৮ র নির্বাচনও যদি আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ছাড়া করে, তাহলেও কিছু যাবে আসবে না। তাই বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ তো নয়ই শক্ত প্রতিপক্ষও নয়।
বিএনপি ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে কথা বলার রাজনৈতিক দলের অভাব নেই। কিন্তু জাতীয় পার্টি এখন গৃহপালিত বিরোধী দল হিসেবেই বসবাস করছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মাঝে মধ্যে সরকারের যে সমালোচনা করেন, তা কৌতুক হিসেবে ভালোই জনপ্রিয়তা পায়। জামাত এখন রক্তশূন্য রাজনৈতিক দল। জামাত সন্ত্রাস, সহিংসতা করতে পারে, কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে জামাত এখন অক্ষম। তাই রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের অবস্থান এখন অপ্রতিরোধ্য।
আওয়ামী লীগ রাজনীতির বাইরে সুশীল সমাজের সমালোচনার মুখোমুখি হয়। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, এখনই সুশীল সমাজ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সমলোচক হয়ে উঠে। এখনো সুশীল সমাজের একটি অংশ আওয়ামী লীগের কঠোর সমলোচক। তবে, আওয়ামী লীগ গত ১০ বছরে সফল ভাবে সুশীল সমাজের মধ্যে এক বিভাজন এনেছে। এখন সুশীল সমাজের আগের গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আওয়ামী লীগের এখন অন্যতম প্রতিপক্ষ বিবেচনা করা হয় গণমাধ্যমকে। রাজনীতি শূন্য দেশে গণমাধ্যমই একমাত্র সরকারের সমালোচনা করে। আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিন আগে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলনে অনুযোগ করে বলেছিলেন ‘গণমাধ্যমের কাছ থেকে আমি তেমন সহযোগিতা পাইনি।’ তবে, একটু খোঁজ নিলেই দেখা যায়, দুটি পত্রিকা ছাড়া পুরো গণমাধ্যম সরকার বা আওয়ামী লীগের কট্টর সমলোচক নয়, প্রতিপক্ষও নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেও ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলো পড়েন না বলে নিজেই ঘোষণা করেছেন। প্রথম আলো আর ডেইলি স্টার ছাড়া কোনো সংবাদপত্র বা টেলিভিশন সরকারের কট্টর সমলোচক বা প্রতিপক্ষ নয়।
একটা সময় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন অনেক বেসরকারি সংগঠনই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচারণ করে। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ‘ইউনূস সেন্টার’ গোপনে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবেই কাজ করে। ড. ইউনূস বিদেশে আওয়ামী লীগের অন্যতম সমালোচক। টিআইবি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), সিপিডির মতো সংগঠনগুলো সরকারের কঠোর সমালোচক। এই সমালোচনার পেছনে প্রথম আলো গ্রুপ এবং ড. ইউনূসের মদদ আছে বলেই অনেকে মনে করেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ড. কামাল হোসেন।
মূলত: দুটি গণমাধ্যমে ড. ইউনুস কয়েকটি সিভিল সোসাইটি গ্রুপ এবং তার সঙ্গে কয়েকটি দাতাদেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারে এমন ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
Read in English- https://bit.ly/2IzfbeP
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।