নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩২ পিএম, ২২ মে, ২০১৮
গাজীপুরের বর্তমান মেয়র আব্দুল মান্নান এবং জামাতের নেতা সানাউল্লাহ বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকারকে হারাতে শপথ নিয়েছেন। বিএনপির নেতা এবং বর্তমান মেয়র অধ্যাপক মান্নান বলেছেন, ‘আমাকে ছাড়া বিএনপির কেউ মেয়র হতে পারবেনা। দেখি সে (হাসানউদ্দিন সরকার) কীভাবে মেয়র হয়?’
আজ দুপুরে জামাত নেতা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ঐ মন্তব্য করেন। বিএনপি এবং জামাতের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এই তথ্য নিশ্চিতও করেছেন।
অধ্যাপক মান্নান ২০১৩ সালে মেয়র নির্বাচনে বিএনপির টিকেটে জয়লাভ করেন। কিন্তু নানা মামলায় তিনি একবছরও দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এবার মেয়র নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন চেয়েও পাননি। অধ্যাপক মান্নান নিজেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, মনোনয়ন দেওয়ার জন্য তারেক তাঁর কাছে টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় তাঁর বদলে হাসান উদ্দিন সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। হাসান উদ্দিন সরকার মান্নানকে বাদ দিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিলেন। মাঝখানে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। এখন হাসান উদ্দিন সরকার ইফতার পার্টির মাধ্যমে জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু এসব ইফতার পার্টিগুলোতে তিনি বর্তমান মেয়রকে ডাকছেন না। এমনকি মেয়র পদে দাঁড়িয়ে আবার প্রত্যাহার করা জামাত নেতা সানাউল্লাহও এখন পর্যন্ত কোনো ইফতারে দাওয়াত পাননি। হাসান উদ্দিন সরকার বিভিন্ন জনসংযোগে বর্তমান মেয়রের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন। হাসানউদ্দিন সরকার বলেছেন, ‘বর্তমান মেয়র ৫ বছরে গাজীপুরে কিছুই করেননি। করতে চাইলে বিরোধী দলে থেকেও অনেক কিছু করা যায়।’
এসব কথা মান্নানের কানে এসেছে। তিনি এখন শপথ নিয়েছেন হাসানউদ্দিন সরকারকে যেকোনো মূল্যে হারাবেন। ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, ‘মানুষের উপকার করা কঠিন, কিন্তু ক্ষতি করা অনেক সহজ।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
তারেক জিয়া বিএনপি ব্রিটিশ দূতাবাস সারা কুক
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ঢাকাস্থ ব্রিটিশ দূতাবাসে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় তিন নেতা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল ব্রিটিশ দূতাবাসে। সেখানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক এক ঘণ্টার বেশি সময় তাদের সাথে বৈঠক করেন। এসময় ব্রিটিশ দূতাবাসে অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।