নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৩ মে, ২০১৮
৬ বছর পর আবার আলোচনায় নিখোঁজ ইলিয়াস আলী। গত সোমবার ভোররাতে ডিবি পুলিশের একটি দল বনানীতে ইলিয়াস বাসভবনে অভিযান চালাতে যায়। কিন্তু নীচের দারোয়ান ‘সিলেট হাউসের’ গেট না খোলায় ভোর ৪টার দিকে সাদা পোশাকের লোকজন চলে যায়। ডিবি পুলিশ আসার খবর পেয়ে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদী লুনা, বিএনপির নেতাদের টেলিফোন করেন। তিনি দারোয়ানকেও মূল গেট না খোলার জন্য নির্দেশ দেন। পরদিন, গতকাল মঙ্গলবার ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা ছুটে যান ইলিয়াস আলীর বাসভবনে, যেখানে তাঁরা ইলিয়াস আলীর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। ডিবির লোকজন সেখানে কেন গিয়েছিল, কিংবা আদৌ গিয়েছিল কিনা? এই প্রশ্নের পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠেছে, তাঁর বাসায় কি এমন গুপ্তধন আছে যে ডিবি পুলিশ যাওয়া মাত্র অস্থির হয়ে উঠলেন ইলিয়াস আলীর স্ত্রী?
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির নেতা ইলিয়াস আলী। তাঁর গাড়ি পাওয়া যায় মহাখালীতে। ইলিয়াস আলীর সঙ্গে তাঁর ড্রাইভারও নিখোঁজ আছেন। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হবার পর থেকেই বিএনপি অভিযোগ করে আসছে ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীর স্ত্রী সেসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করার জন্য নির্দেশ দেবেন। কিন্তু গত ৬ বছরে ইলিয়াস আলীর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। বিএনপির অনেক নিখোঁজ নেতাকেই বিভিন্ন সময়ে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে পাওয়া গেছে। বিএনপির আরেক নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে নিখোঁজ হওয়ার বেশ কিছুদিন পর ভারতে পাওয়া যায়। অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য এখন তিনি ভারতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। কিন্তু ইলিয়াস আলীর ক্ষেত্রে এসব কিছুই ঘটেনি। তাঁর স্ত্রী সহ আত্মীয় স্বজন ধরেই নিয়েছেন তিনি আর নেই। কিন্তু একটা মানুষ যদি মারাও যায় তাঁর তো একটা ট্রেস পাওয়া যাবে। ইলিয়াস আলীর ক্ষেত্রে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। আবার একটা পরিবারের অভিভাবক চলে যাওয়ার পর ঐ পরিবারে যে পরিবর্তন, সেটাও ইলিয়াস আলীর পরিবারে দেখা যায়নি। ইলিয়াস আলীর দুই ছেলেই লন্ডনে পড়াশুনা করছে। মেয়ে মায়ের সঙ্গে থাকে। গত ৬ বছরে ইলিয়াস আলীর পরিবারে কোনো দৈন্যতাও চোখে পড়েনি কারও। ইলিয়াস আলীর স্ত্রীও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়েছেন। তিনি এখন বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ইলিয়াস আলীর বেঁচে থাকার নানা গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়ানো হয়। ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান দিনে তার স্ত্রীও গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘তাঁর বিশ্বাস ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন। সত্যি কি ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন? রাজনৈতিক হয়রানির ভয়ে কি তিনি দেশের বাইরে কোথাও পালিয়ে আছেন? তার সঙ্গে কি পরিবারের যোগাযোগ আছে? তার ‘ সিলেট হাউজে’কি এমন কোনো আলামত আছে যেটা থেকে প্রমাণ করা সহজ হবে যে, ইলিয়াস আলী গুম হননি বরং সরকারকে বিব্রত করতেই এই গুম নাটক সাজানো হয়েছে? সেই আলামতের সন্ধানেই কি ডিবি পুলিশ সোমবার রাতে ইলিয়াস আলীর বাড়িতে গিয়েছিলেন? একারণেই কি ইলিয়াস আলীর স্ত্রী লুনা বিষয়টিকে রাজনৈতিক অবয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন? এজন্যই কি বিএনপির নেতারা পরদিন ছুটে গেছেন ঐ বাড়িতে? এসব কোনো প্রশ্নেরই উত্তর নেই। আর সে কারণেই ‘ইলিয়াস রহস্য’থেকেই যাচ্ছে রাজনীতির বিতর্কে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।