নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ পিএম, ২৬ মে, ২০১৮
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সর্বশেষ সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’ বাগেরহাটে তালুকদার আব্দুর খালেকের ছেড়ে দেওয়া আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের সময় আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী যখন এই মন্তব্য করেছেন, তখন সারা দেশজুড়ে চলছে বহুল কাঙ্ক্ষিত মাদক বিরোধী অভিযান। আর এই অভিযানে বন্দুকযুদ্ধ, ক্রসফায়ার এসব বিতর্ক ছাপিয়ে আবদুর রহমান বদির নাম এসেছে পাদপ্রদীপে। আবদুর রহমান বদি কক্সবাজার-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকেটে এমপি। বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং গণমাধ্যম সকলে একযোগে বলছে, বদিকে গ্রেপ্তার না করে মাদকবিরোধী অভিযান অসম্পূর্ণ, হাস্যকর। বদির বিরুদ্ধে চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, কিন্তু আগামী নির্বাচনে যে তিনি আওয়ামী লীগের টিকেট পাচ্ছেন না, তা কয়েকমাস আগে কক্সবাজারে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশ্চিত করে এসেছেন। কক্সবাজার সফরে গিয়ে বদিকে দেখেই ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘তোমাকে তো মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’ আওয়ামী লগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য যদি সঠিক হয় তাহলে, মাদক ব্যবসা নিয়ে বিতর্কিত আবদুর রহমান বদি আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন না।
কিন্তু শুধু বদি একা নয়, আওয়ামী লীগের নিজস্ব জরিপেই দেখা গেছে, অন্তত ৬৩ জন এমপি আছেন যাঁরা নানাভাবে বিতর্কিত, নিন্দিত। আওয়ামী লীগের মধ্যেই প্রশ্ন এই বিতর্কিতরা কি মনোনয়ন পাবেন?
আওয়ামী লীগের বিতর্কিতদের কথা উঠলেই প্রথমেই ভেসে ওঠে নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের নাম। ক’দিন আগেই ফুটপাত নিয়ে বিতর্কে জড়ালেন, নিজের দলের জনপ্রিয় মেয়রের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভালো না। ত্বকী হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তীর তাঁর দিকে। নানা কারণে আলোাচিত -বিতর্কিত শামীম ওসমান। আবার তাঁর পিতা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। শামীম ওসমান আর আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জে প্রায় সমার্থক শব্দ। তাঁর বিপুল ক্যাডার রয়েছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ কী পারবে শামীম ওসমানকে ছেঁটে ফেলতে? অবশ্য এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, ‘জয়নাল হাজারীর মতো লোককে যদি দল থেকে ছেঁটে ফেলা যায়, তাহলে শামীম ওসমান কেন নয়?’ তবে তিনি মনে করেন, ‘শামীম ওসমান বিতর্কিত এটা কে বলেছে, বিএনপি-জামাত? তিনি কি এমন কিছু করেছেন, যা দলের জন্য ক্ষতিকর?’
শামীম ওসমান ছাড়াও সাভারের এক নতুন আওয়ামী লীগ এমপির বিরুদ্ধে নিজ দলের প্রতিপক্ষকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আছে। জামাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠতার অভিযোগ আছে বাগমারার রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী এমপির বিরুদ্ধে। ফেনিতে বলা হয়, এক হাজারী গেছে, আরেক হাজারী এসেছে। একজন মন্ত্রীর পুত্রের অপকর্মে অস্থির পাবনাবাসী। এরকম বিতর্কিতদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কি সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই এবার নির্বাচনে দেখার বিষয়।
অবশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিতর্কিত বলাও একটা ফ্যাশন। আমরা দেখবো আসলে সে কোনো অন্যায় করেছে কিনা?
Read in English- https://bit.ly/2xemuHw
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।