নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫৮ এএম, ২৮ মে, ২০১৮
নির্বাচনের আগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রবাসে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এবং বিএনপি। সরকারের মন্ত্রী এমপি তাঁদের স্বজন এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার প্রচার করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যই মূলত: বিএনপি-জামাতের এই সব প্রচারণার ঘাঁটি। যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রচারণা চলছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিতদের সন্তানরা। আর যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে বিএনপি-জামাতের যৌথ প্রযোজনায়।
লন্ডনে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় ব্যবহার করা হচ্ছে চ্যানেল ফোরকে। এই চ্যানেলের একজন সংবাদকর্মী সাংবাদিকতার রীতি-নীতি না মেনে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করে বিব্রত করার চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরে এই চ্যানেলটি সাংবাদিকতার নীতি সীমা অতিক্রম করে। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন না করেই চ্যানেলটি ভুল সংবাদ পরিবেশন করে। মূলধারায় গণমাধ্যম ছাড়াও যুক্তরাজ্যে তারেক এবং যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের অর্থায়নে প্রচুর অনলাইন চালু হয়েছে, সেসব নিয়মিতভাবে প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণায় লিপ্ত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মিথ্যাচার করা হয়েছে। এখনো সেখানে জামাত-বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
অতি সম্প্রতি জাতীয় চার নেতার সন্তান,আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নাসিমের মেজ ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করা হচ্ছে নিউইয়র্কে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এটা কোন ব্যক্তির দুর্নীতির বিরুদ্ধে রিপোর্ট। কিন্তু বাস্তবতা হলো ঐ রিপোর্টের মাধ্যমে সরকারের দুর্নীতির মাত্রা বোঝানোর চেষ্টা করেছে। রিপোর্টার একজন জামাত কর্মী। রিপোর্টে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মেজ ছেলে নাকি বেশকিছু ফ্ল্যাটের মালিক। অথচ বাস্তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তমালের একটি ফ্ল্যাটও নেই। তিনি ২০০৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করছেন। এখন ফিনান্সিয়াল এনালিস্ট হিসেবে চাকরি করছেন। যে এপার্টমেন্ট হাউজ নিয়ে বিতর্ক, সেটির মালিকানা একটি কোম্পানির, যে কোম্পানিতে তমাল চাকরি করেন। কোম্পানির চাকরিজীবী হিসেবেই তিনি কোম্পানির পক্ষ থেকে মামলা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন কানুন সম্পর্কে যাঁদের নূন্যতম জ্ঞান আছে, তারা জানে সেখানে এভাবে ফ্ল্যাট কেনা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী পাঁচ হাজারের ডলারের বেশি টাকা থাকলেই তাকে আয়ের উৎস সম্পর্কে লিখিতিভাবে জানাতে হয়। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তমাল নাকি ৫০০ কোটিরও বেশি টাকার মালিক। যুক্তরাষ্ট্রে এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। আসলে টার্গেট তমাল মনসুর নন। টার্গেট হলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। কারণ তিনি ১৪ দলের সমন্বয়ক। জামাত বিরোধী তাঁর অবস্থান সর্বজনবিদিত। এভাবেই আওয়ামী লীগের দুর্নীতির সিল মেরে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।