নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৮ মে, ২০১৮
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী থেকে বিএনপি মহাসচিবকে দূরে থাকার নির্দেশ দিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া। আজ বিকেলে বিএনপি মহাসচিবকে টেলিফোন করে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, ‘বিএনপি করলে বি. চৌধুরীকে ভুলে যান। বেগম খালেদা জিয়াকে নেতা মানলে বি. চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে।’ তিনি বলেছেন, ‘একসঙ্গে দুই নৌকায় পা দেওয়া যাবে না।’ বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়াকে বুঝিয়েছেন যে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সকল শক্তিকে একাট্টা করতে চান। এক্ষেত্রে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ।
মির্জা ফখরুল বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বোঝাতে চেয়েছেন, নির্বাচনের আগে সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন। আন্দোলন এবং নির্বাচন একসঙ্গে করা দরকার। বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, বিএনপি যদি নির্বাচন বর্জনও করে তাহলে যেন সকলে মিলে করে। এমনকি তিনি জাতীয় পার্টিকেও সঙ্গে নিতে চান। মির্জা ফখরুল তারেককে জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির জি. এম. কাদেরের সঙ্গেও তাঁর এ নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘অধ্যাপক বি. চৌধুরীদের মাঠে নামিয়েছে সরকার। তাঁর মতে, এই যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে নির্বাচন উপলক্ষে। ২০১৪’র মতো যেন এক তরফা নির্বাচন না হয় সেজন্যই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। তারেক জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁর কাছে খবর আছে। তারেক নির্দেশ দিয়েছেন যে, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখা যাবে না।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির এবং অন্যান্য আরও রাজনৈতিক দলের একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারেক জিয়া মনে করছেন, এধরনের প্ল্যাটফর্ম হলে বিএনপির হাতে নেতৃত্ব থাকবে না। নেতৃত্ব চলে যাবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর হাতে। কারণ বেগম জিয়া এখন জেলে। অবশ্য বিএনপির অন্য একটি সূত্র বলছে, তারেক জিয়া বরাবরই অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিরোধী। একারণেই তিনি তাঁর সঙ্গে জোট গঠনের পক্ষপাতিত্ব নন।
এছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলকে ভারত বিরোধী চরম অবস্থান গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। তারেক জিয়ার নির্দেশ অনুযায়ী, বিএনপি মহাসচিব আজ ভারতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বক্তব্য দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল বলেছেন সরকার দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কথা শুনে ভারত বিরোধী অবস্থান নিলেও তাঁর কথা মতো মির্জা ফখরুল কি পারবেন তাঁর রাজনৈতিক গুরু অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে ছাড়তে নাকি, এর মাধ্যমেই শুরু হবে বিএনপির ভাঙ্গন প্রক্রিয়া?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।