নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৯ মে, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কাউকে নাক গলাতে দেওয়া হবে না। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তর কেন আমাদের দিতে হবে?’ আজ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে ডেকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র এ খবর জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গুলশানের একটি হোটেলে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী ফারুক খানকে এসব কথা বলেছেন।
৩৩ টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে কাল দুপুরে আওয়ামী লীগ বৈঠক করে। আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন কর্নেল (অব.) ফারুক খান। বৈঠকে আরও ছিলেন মোহাম্মদ জমির, ডা. দীপু মনি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ। বৈঠকে ৩৩ টি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের কোনো প্রতিনিধি বৈঠকে ছিলেন না। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই এই ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সাম্প্রতিক মাদক বিরোধী অভিযান, খুলনা নির্বাচন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হয়। মাদক বিরোধী অভিযান এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েই কূটনীতিকরা বেশি প্রশ্ন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা এই ব্রিফিংয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেনি বলেই আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন। ঐ বৈঠকে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জনগুলোও কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরা হয়নি। বরং বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না সে কৈফিয়ত দিতে হয়েছে। মাদক বিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধ নিয়েও প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। একটি সূত্র বলছে, এরপর থেকে যাঁরা এ ধরনের ব্রিফিং এ যাবে তাঁরা যেন হোমওয়ার্ক করে যায়, সেই নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ফারুক খানকে বলেছেন, ‘আমরা যে এতগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রেখেছি, সেটাই হওয়া উচিৎ ছিল প্রধান ইস্যু। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মহল কেন মিয়ানমারের উপর চাপ দিচ্ছে না, সেটাই হওয়া উচিৎ ছিল প্রশ্ন। আমরা কতদিন এই বোঝা বইবো- সে প্রশ্ন করা উচিৎ ছিল।’ সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী ফারুক খানকে বলেছেন, ‘প্রশ্ন করবো তো আমরা?’ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট করে পরবর্তী বৈঠকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচন নিয়ে অবস্থান হলো:
১. নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
২. নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একটি পক্ষ, তাই কোন দল নির্বাচনে আসবে, না আসবে সেটা দেখার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের না।
৩. নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো ধরনের সংলাপে যাবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো কি করে তা জানতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ফারুক খানকে বলেছেন ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। আমাদের দেশ চলবে নির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বে। তাই এসব বিষয়ে অন্যদেশের হস্তক্ষেপ পছন্দ করি না, এটা কূটনীতিকদের বোঝাতে হবে।’
জানা গেছে, ঈদের পর আবার কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ড. গওহর রিজভী, দলের সাধারণ সম্পাদককে রাখার পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।