নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০১৮
শুরুটা করেছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ. হ. ম. মোস্তফা কামাল। মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন আগামী নির্বাচনে জাতীয় দলের দুই জনপ্রিয় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা প্রার্থী হবেন। তাঁর কথার রেশ কাটতে না কাটতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এক সংবাদ সন্মেলনে ঘোষণা করলেন ‘এবার নির্বাচনে অনেক তারকা অংশ নিতে পারেন।’ তিনি বলেন, এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে মিডিয়া জগত এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচিত জনপ্রিয় ব্যক্তিরা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেট পেতে পারেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, আগামী নির্বাচনের জন্য ক্রীড়া, সংস্কৃতি, ব্যবসা, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন পেশায় অন্তত ১০০ সেলিব্রেটি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দকে তাঁরা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেট পেতে আগ্রহী বলে জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের নিজস্ব উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন জরিপে এদের অনেকের অবস্থাই বেশ ভালো বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ এবার পশ্চিম বাংলার মমতা ব্যানার্জির তৃণমূলের মতো প্রার্থী তালিকা তারকাবহুল করতে চায়। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারকা মানে শুধু নাটক, সিনেমার নায়ক-নায়িকা বা গায়ক-গায়িকা নন। স্ব স্ব ক্ষেত্রে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত, পরিচিত এবং জনপ্রিয় তাঁরাই তারকা, হোক না তিনি শিক্ষক বা চিকিৎসক বা সাংবাদিক।’
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ টিকেট দিতে চায়। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে অধ্যাপক জাফর ইকবালের একদমই আগ্রহ নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই হয়তো তাঁকে নির্বাচন করার কথা বলতে পারেন। শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাবেক উপাচার্য নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। এরা হলেন অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত এবং অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। দুজনই আওয়ামী লীগ সভাপতিকে তাঁদের আগ্রহের কথা বলেছেন।
দুই ক্রিকেটারের ব্যাপারে তো পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের আগ্রহ যাকে নিয়ে বেশি তাঁর কথাই এড়িয়ে গেছেন লোটাস কামাল। বগুড়া আওয়ামী লীগের জন্য সব সময়ই দুর্বল জায়গা। বগুড়ার একটি আসন থেকে বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে মনোনয়ন দিতে আগ্রহী আওয়ামী লীগ। তবে তাঁর সঙ্গে এখনো কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়নি। প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং খালেদ মাসুদ পাইলট আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।
আওয়ামী লীগ গোপালগঞ্জের একটি আসন থেকে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ভাবছে। শেষ পর্যন্ত শাকিব খান গোপালগঞ্জের আসন পেলে প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খানকে ঢাকায় নিয়ে আসা হতে পারে। শাকিব খান ছাড়াও চিত্রনায়ক এবং ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করছেন।
চিত্রনায়িকা শাবানা গত বছর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে, যশোরে প্রার্থী হতে চেয়েছেন। এলাকায় শাবানা ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। চিত্রনায়িকা মৌসুমীও নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে আগ্রহী। চিত্রনায়ক আলমগীর খুব জোরেসোরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। চিত্রনায়ক ফারুকও নির্বাচনে আগ্রহী। তবে এদের কেউই এখনো হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত পাননি।
ছোট পর্দার তারকাদের মধ্যে জাহিদ হাসান সিরাজগঞ্জে, রোকেয়া প্রাচী ও শমী কায়সার ফেনীর একই আসনে, জ্যোতিকা জ্যোতি ময়মনসিংহের একটি আসনে প্রার্থী হতে আগ্রহী। এদেরও কেউ কোনো আশ্বাস পায়নি। এরা আশ্বাস না পেলেও সংগীত শিল্পী মমতাজ যে মানিকগঞ্জ থেকে নির্বাচন করছেন তা মোটামুটি নিশ্চিত।
পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ এবং দেশের খ্যাতিমান চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক দুজনই কিশোরগঞ্জের একটি আসন থেকে নির্বাচনে আগ্রহী। শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরীও আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে পারেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, প্রচুর সেলিব্রেটি এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। তবে শেষ পর্যন্ত ক’জন পাবেন, তা নির্ভর করবে শেখ হাসিনার উপর। তবে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা হবে তারকাবহুল।
Read in English- https://bit.ly/2kByqdb
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।