নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৩ জুন, ২০১৮
তারেক জিয়ার আমন্ত্রণে সাড়া দিচ্ছেন না ফখরুল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে লন্ডনে তলব করেছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলে তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, লন্ডনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এতে জনগণের কাছে ভুলবার্তা যাবে। তিনি উল্টো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে দেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বলে দলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত বিএনপিকে ভাঙনের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
বেগম জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি সর্বাত্মক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঈদের পর থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা নিয়ে দলটির মধ্যে দেখা দিয়েছে মতদ্বৈততা। এরকম পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, বিএনপি মহাসচিবকে লন্ডনে ডেকে পাঠান। আন্দোলনের কৌশল চূড়ান্ত করতেই তাঁকে লন্ডনে ডাকা হয়েছিল। শুক্রবার লন্ডনে যেতে রাজি হলেও, পরবর্তীতে সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করেছেন বিএনপির মহাসচিব। মির্জা ফখরুল মনে করেন, হঠাৎ করে চূড়ান্ত আন্দোলন হবে হঠকারিতা। এরকম প্রস্তুতিও তাঁর দলের নেই। তিনি আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। তাছাড়া বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, এখন লন্ডনে গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। গ্রেপ্তার হলে কোনো কর্মসূচিই পালন করা সম্ভব হবে না। কিন্তু তারেক জিয়া এবং তাঁর অনুসারীদের ধারণা, জুলাই থেকে চূড়ান্ত আন্দোলন না করা গেলে আর কিছুই করা সম্ভব হবে না। তিন সিটিতে নির্বাচনী আবহ সৃষ্টি হলে গোটা দেশ নির্বাচনমুখী হবে। তখন বিএনপির একার পক্ষে বড় ধরনের আন্দোলন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সরকার আবার একটি ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করবে। এজন্য আর দেরি না করে তারেকপন্থীরা এখনই চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে চায়। এজন্যই মির্জা ফখরুলকে ডেকে পাঠানো। কিন্তু মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, বিএনপি মহাসচিব এখন আন্দোলনের চেয়ে বেশি নির্বাচনমুখী। একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরমের মাধ্যমে নির্বাচন করে তিনি আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করতে চান। এজন্যই তিনি যুক্তফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন। এটাকেই তারেক জিয়া অপছন্দ করেছেন বলে জানা গেছে। মির্জা ফখরুল বিরোধীদের ধারণা, মির্জা ফখরুল সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। শেষপর্যন্ত বিএনপির একটি অংশকে নিয়ে নির্বাচনে গিয়ে সরকারকে বৈধতা দেওয়াই তাঁর মূল এজেন্ডা।
বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই এমন ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু এবার ‘লন্ডন’ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে, সেটা প্রকাশ্যে এলো। তারেক-ফখরুল দ্বন্দ্ব শেষপর্যন্ত বিএনপিকে কোথায় নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।
Read in English- https://bit.ly/2kIAvUA
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।