নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৮ এএম, ০৪ জুন, ২০১৮
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লাহ অভিমান করেছেন। শুধু অভিমান নয়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছেন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় লোকজনকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের নির্বাচনী পরিচালনায় তিনি ক্ষুদ্ধ। আগামী ২৬ জুন গাজীপুর নির্বাচন। আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু না হলেও, দুই প্রার্থী ইফতার পার্টি এবং দল গোছানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্রের জন্য নির্বাচনী এজেন্ট চুড়ান্ত করার কাজ চলছে। এই এজেন্ট চুড়ান্ত করা নিয়েই আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়েছে। আজমত উল্লাহ অভিযোগ করেছেন, দলের পরীক্ষিত এবং ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম তাঁর পছন্দের লোকজনকে এজেন্ট করছেন। নির্বাচন পরিচালনার কার্যক্রমও জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের হাত থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের লোকজন বলছে, মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের বদলে গাজীপুরে জাহাঙ্গীর লীগ তৈরির চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম অবশ্য বলেছেন, তিনি সব আওয়ামী লীগকে বাদ দেননি। বরং যারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারে তাদের চিহ্নিত করেছেন। আজমত উল্লাহর প্রতি ইঙ্গিত করে জাহাঙ্গীল বলেন, কেউ কেউ নৌকা প্রতীককে হারাবার জন্য ভেতর থেকে কাজ করছেন। আমরা তাদের আলাদা করছি।
উল্লেখ্য গাজীপুরে আজমত উল্লাহ জাহাঙ্গীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের পুরনো। ২০১৩ নির্বাচনে আজমত উল্লাহ দলীয় মনোনয়ন পেলো। জাহাঙ্গীর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। এবার আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীর আলমকে প্রার্থী করলে আজমত উল্লাহ তা মেনে নেন। আজমত উল্লাহকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি করা হয়। কিন্তু জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেন, আজমত উল্লাহ গোপনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করছেন। মাঝখানে হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করলে, সন্দেহের তীর আজমত উল্লাহ্র দিকেই যায়। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দু’জনের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। গাজীপুর নির্বাচনে এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।