নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৬ জুন, ২০১৮
কাল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যখন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করবেন, তখন তিনি এক অনন্য উচ্চতা স্পর্শ করবেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট পেশ করায় তিনি প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের রেকর্ড স্পর্শ করবেন। কিন্তু তার চেয়েও বড় দিক হলো, এটাই সম্ভবত অর্থমন্ত্রী হিসেবে শেষ বাজেট উপস্থাপন করবেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই ঘটনা বিরল। আমাদের দেশে যাঁরা রাজনীতি করেন, তারা ‘অবসর’ শব্দটা বিশ্বাস করেন না। বাংলাদেশের রাজনীতির অভিধানে ‘অবসর’ বলে যেন কিছু নেই। সবাই আমৃত্যু ক্ষমতা, সংসদ সদস্যপদ ইত্যাদি আঁকড়ে রাখতে চান। কেবল মৃত্যুই একজন রাজনীতিবিদকে সবকিছু থেকে বিদায় দেয়। কিন্তু আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান দিয়েই অবসরে যাচ্ছেন। তিনি নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন, এটাই হবে তাঁর শেষ বাজেট। ডিসেম্বরের পর মন্ত্রিত্ব, সংসদ সদস্যের দায়িত্ব-এসব কিছু থেকেই ছুটি নেবেন প্রবীণতম মন্ত্রিসভার সদস্য।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? এ প্রশ্ন করতেই প্রাণখোলা হাসিতে আলো ছড়ালেন। বললেন, ‘আমার তো এটা দ্বিতীয় অবসর হবে। আমি তো সিভিল সার্ভেন্ট ছিলাম। ৮১ তে রিটায়ার্ড করি। তারপর মনে করলাম, আমার আরও কিছু দেবার আছে। এখন বয়স হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, এখন আমার বিশ্রাম প্রয়োজন। অনেক তো হলো।’
কর্মমুখর এই মানুষটি অবসরে কি করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, ‘এসব নিয়ে ভাবিনি। এখন আমার ভাবনা শুধু বাজেটকে ঘিরে।’
আবুল মাল মুহিতের কর্মজীবন তিন ইনিংস। প্রথম ইনিংসে মুহিত ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি সর্বোচ্চ পদেই আসীন হয়েছিলেন। সচিব থেকে ৮১ সালে অবসরে যান। কিন্তু তখনো তিনি তরুণ। কর্ম পিপাসা তখনো মেটেনি তাঁর। এসময় এরশাদ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। এরপর শুরু হয় তাঁর কর্মজীবনের দ্বিতীয় ইনিংস, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেছেন। কাজ করেছেন বিশ্বব্যাংক, আইএমএফে।
মুহিতের তৃতীয় ইনিংস শুরু হয় রাজনীতিবিদ হিসেবে। আওয়ামী লীগের টিকিটে ২০০৮ সালে সিলেট-১ থেকে নির্বাচিত হন। এরপর দায়িত্ব পান অর্থমন্ত্রীর। টানা ১০ বছর অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এক তৃপ্তি নিয়েই যাচ্ছেন তিনি। বললেন‘ আমার কোনো অতৃপ্তি নেই। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে গেছে। আমরা একটা স্বাবলম্বী অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করছি। দারিদ্র মোকাবেলায় সফল হয়েছি। বাংলাদেশ এখন একটা জায়গায় এসেছে। অবসরে গেলে পিছনে ফিরে আমি স্বস্তি পাবো।’ কাজ পাগল মানুষটি বললেন, ‘আমি রাজনীতি থেকে ছুটি নিচ্ছি, কাজ থেকে নয়। অবসরের পর হয়তো দেখবে, আবার নতুন কিছু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেছি। কাজ ছাড়া তো একজন মানুষ মৃত। আমি হয়তো নতুন কিছু করে বেছে নেবো, যেটাই নেই তা হবে মানুষের জন্য।’ তার মানে, রাজনীতি থেকে বিদায় নিলেও কাজ থেকে অবসরে যাচ্ছেন না মুহিত। হয়তো তাঁকে আমরা পাবো, নতুন রূপে। নতুন কিছুর মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়বেন অদম্য কর্মপ্রাণ এই মানুষটি।
Read in English- https://bit.ly/2sB7n6e
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।