নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ এএম, ০৭ জুন, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজ দিনের প্রকাশ্য কর্মসূচি শুরু হচ্ছে সকাল সাড়ে নটায়। ঐতিহাসিক ৭ জুন (ছয় দফা দিবস) উপলক্ষে ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিনি। এখান থেকে ছুটে যাবেন সংসদ ভবনে। ১০ টায় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। এই বৈঠকে বাজেট উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ। এখান থেকে প্রবেশ করবেন সংসদ কক্ষে। জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের বাজেট। পুরো বাজেট পেশের সময় সংসদ নেতা অধিবেশনেই থাকবেন। অধিবেশন শেষ করেই ছুটে যাবেন গণভবনে। সেখানে সামান্য প্রস্তুতি আর আনুষাঙ্গিক কাজ সেরেই যাবেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। বিমান বন্দরের ভি ভি আই পি লাউঞ্জে তাঁর সাদামাটা ইফতারির ব্যবস্থা রয়েছে। একটু ইফতারি সেরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শেখ হাসিনা কানাডার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ৮ জুন থেকে অনুষ্ঠেয় জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে তিনিই অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র। ধনীদের জন্য শেখ হাসিনা এক দৃষ্টান্ত। কীভাবে একটি স্বল্পোন্নত দেশ হাসিমুখে দশ লাখ রোহিঙ্গার ভার কাঁধে নিতে পারে, সে দৃষ্টান্ত তো শেখ হাসিনাই বিশ্বকে দেখিয়েছেন। মাত্র দুদিনের সফর। প্রচণ্ড কর্মব্যস্ততা। এরপর তিনি উড়াল দেবেন প্রিয় মাতৃভূমিতে। ফিরবেন ১২ জুন রাতে। কীভাবে সম্ভব একজন ৭০ উর্ধ্ব মানুষের পক্ষে এতো পরিশ্রম করা? এভাবে বিরামহীন ছুটে চলা? তাঁর সঙ্গী, সহকর্মীরা বলেন, ‘শেখ হাসিনা পারেনও!’ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেন, ‘মানুষের কথা চিন্তা করলে, আমার সব ক্লান্তি চলে যায়। আমার জীবন তো এদেশের মানুষের জন্যই।’
আজ সকালে যে প্রকাশ্য কর্মসূচির কথা বলছি, তার অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রীর দিন শুরু। আসলে সেহরির পর থেকেই তাঁর ব্যস্ততার সূচনা। কোরআন তেলাওয়াত, নামায, পত্রিকা পড়া, একটু হাঁটাচলা, কিছু ফাইলপত্র দেখা। নটার আগে তিনি দিনের অর্ধেক কাজ তো শেষই করে ফেলেন। এজন্যই তাঁর সঙ্গে যারা কাজ করেন তারা বলেন, ‘যে দেশের প্রধানমন্ত্রী এভাবে পরিশ্রম করেন, সে দেশের উন্নতি রুখবে কে?’
বাংলা ইনসাইডার/ডিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।