নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১৮ এএম, ১৩ জুন, ২০১৮
কারাগারে উত্তেজিত হয়ে কারা কর্মকর্তাকে বললেন, ‘চুপ বেয়াদব’। প্রচণ্ড রেগে তিনি তাদের আরও গালাগালি করেন। তাদের প্রত্যেককে দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, বেগম জিয়ার আচরণ কারা শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এজন্য তিনি কারা বিধি অনুযায়ী শাস্তি পেতে পারেন। ঘটনার সূত্রপাত গতকাল বিকেলে। কারাগারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সাক্ষাতে তাঁরা বলেন, ‘সরকারের বিধান অনুযায়ী আমরা আপনাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিতে পারছি না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে না চাইলে সরকার আপনাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এ নিতে চায়।’ এ পর্যায়ে বেগম জিয়া ভীষণ উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘চুপ বেয়াদব, আমাকে বিধি শেখাও। আমি ইউনাইটেড ছাড়া কোথাও যাবো না।’ এরপর বেগম জিয়া উত্তেজিত হয়ে অশোভন ভাষায় কারা কর্মকর্তাকে বকাঝকা করেন।
কারা সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার এই আচরণ কারা শৃংখলার পরিপন্থী। জেল কোড অনুযায়ী একজন কারাবন্দী, কারাগারে দায়িত্বরত কারো সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে পারেন না। এ ধরণের অপরাধের জন্য তাঁর কারা অভ্যন্তরেই শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। কী ধরণের শাস্তি, জানতে চাওয়া হলে, কারা কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘তাঁর সাক্ষাত বন্ধ হতে পারে, ভালো আচরণের জন্য দণ্ড মওকুফের সুবিধা তিনি হারাতে পারেন।’
কারা সূত্র প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গতকাল সারাদিনই বেগম জিয়া রুদ্র মূর্তিতে ছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/ ডিকে
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।