নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ১৩ জুন, ২০১৮
বিএনপি নেতৃবৃন্দের ভারত সফর, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেনদের তৎপরতা, মির্জা ফখরুলের লন্ডন সফর- এই তিন ঘটনায় কি আওয়ামী লীগ চিন্তিত, উদ্বিগ্ন? যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এসব স্বাভাবিক রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ। আওয়ামী লীগ এসব ঘটনায় কেন উদ্বিগ্ন হবে?’ ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘অন্যরা কী করছে তা দেখার সময় নেই। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, জনগণকে যদি আমরা আমাদের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে আমাদের বিজয় অনিবার্য।’ সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন শেখ হাসিনা, যিনি এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বিচক্ষণ নেতাদের একজন।’
ওবায়দুল কাদের যাই বলুক না কেন, ঈদের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রত্যাশীরা এলাকায় যাচ্ছেন একটু বাড়তি কিছুর জন্য। নেতারাও একটু চিন্তিত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, ‘অন্য কোনো ব্যাপারে নয়, বিএনপি নেতাদের ভারত সফরটা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। নির্বাচনের আগে ভারতের মনোভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।’ শুধু এই শীর্ষ নেতাই নন, তৃণমূলের নেতৃত্বও ভারতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক রাজনীতিতে নতুন হিসেব তৈরি করেছে বলে মনে করছে। আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাই মনে করতেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে না বা খণ্ডিত ভাবে অংশ নেবে। কিন্তু রাজনীতির সর্বশেষ ঘটনাবলী তাঁদের সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছে। গ্রামে গঞ্জে ঈদের আমেজের সঙ্গে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়ার আমেজও পাওয়া যাচ্ছে। আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেই, নির্বাচন হবে উত্তেজনাপূর্ণ। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাই বলছেন, ‘আমাদের কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হবে’। নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি মরণ কামড় দেবে বলেই মনে করছেন একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা। বিএনপির নেতারাও বলছেন, ‘এই নির্বাচন হবে বিএনপির জন্য অস্তিত্বের লড়াই। তাই তারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। দিল্লি থেকে ফেরা বিএনপির নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘আমরা শুধু চাইছি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এরকম একটি নির্বাচন যেন বাংলাদেশে হয় সেজন্য আমরা ভারতের সাহায্য চেয়েছি।’ ঐ নেতা বলেন, ‘ভারত সহযোগিতা না করলে ২০১৪ সালেই আওয়ামী লীগের পতন হতো।’
রাজনৈতিক অঙ্গনে এরকম গুঞ্জন প্রায়ই শোনা যায়। অবাধ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের জন্য ক্ষমতায় ফিরে আসা কঠিন হবে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই এরকম চায়ের আড্ডার ভবিষ্যৎবাণীর সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও, তাঁরা মনে করেন আওয়ামী লীগের আছে আলাদা শক্তি। সেই শক্তির নাম শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপুমনি মনে করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার আর নেতৃত্বগুণেই আওয়ামী লীগ তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসবে।’ অন্য একজন নেতা বলেন, ‘ভারত যাই করুক শেখ হাসিনার উপরই শেষ পর্যন্ত আস্থা রাখবে।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, তাঁরা শেখ হাসিনার দিকেই তাকিয়ে। তাঁর জনপ্রিয়তা এবং প্রজ্ঞাই আওয়ামী লীগের একমাত্র ভরসা। ভারতের সাম্প্রতিক মনোভব এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ভোট যুদ্ধে হারাতে আওয়ামী লীগের সবাই শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে। শেখ হাসিনা কি পারবেন? ২০০৮ কিংবা ২০১৪’র মতো একক দক্ষতায় তৃতীয়বার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে?
Read in English- https://bit.ly/2LKz8Aq
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের
মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়
নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি
এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে
না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা
বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার
করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা
করলে করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার
কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা
নেবে’।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো
সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের
ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক
কার্যালয়ে হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত
রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।