নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১২ পিএম, ১৪ জুন, ২০১৮
কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:
১. বেগম জিয়া রাজি থাকতে শারীরিক পরীক্ষার জন্য অতিসত্বর তাঁকে সিএমইচে নেওয়া হবে।
২. সিএমএইচের চিকিৎসকরা যদি মনে করেন সেখানে রেখেই বেগম জিয়ার চিকিৎসা প্রয়োজন তাহলে নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
৩. বেগম জিয়া চাইলে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরাও সিএমএইচে এসে তাঁকে দেখার সুযোগ পাবেন।
কারা কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব পাওয়ার পর বেগম জিয়া হ্যাঁ, না কিছুই বলেননি। তিনি বলেছেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন। আগামীকাল শুক্রবার অথবা পরদিন (ঈদের দিন) শনিবার বেগম জিয়ার পরিবার কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন। ওই সময় বেগম জিয়া সিএমএইচে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো আছে। আর কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, ‘তাঁর (বেগম খালেদা জিয়া) অসুস্থতা নিয়ে গণমাধ্যমে যেভাবে প্রচার হচ্ছে, তিনি আসলে ততটা অসুস্থ নন। এখন তিনি মোটামুটি ভালো আছেন। এরপরও আমরা চাই তাঁর চিকিৎসা হোক। বেগম জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করছি।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ড. মঈন খান
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোন সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।