নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১১ পিএম, ১৫ জুন, ২০১৮
লন্ডন থেকে ফেরার পর দলের সিনিয়র নেতারা দেখা করছেন না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। দেশে ফিরেই ফখরুল গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু ড: খন্দকার মোশারফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ড: আবদুল মঈন খান সহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা কেউই উপস্থিত ছিলেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব আবার সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে আমন্ত্রন জানান। ঈদের দিনের কর্মসূচী নিয়ে এই বৈঠক হবার কথা ছিলো। কিন্তু কালও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ মির্জা ফখরুলকে এড়িয়ে যান। বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, কারো সঙ্গে পরামর্শ না করে গোপনে লন্ডন সফর এবং স্থায়ী কমিটির অগোচরে তিন নেতার ভারত সফর নিয়ে বিএনপিতে তীব্র মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন আমাদের না জানিয়ে। অথচ অনেক বিষয় ছিলো যেগুলো তারেক সাহেবের সঙ্গে আলোচনার দরকার ছিলো।’ ওই নেতা বলেন, ‘ফখরুল সাহেব কি এজেন্ডা নিয়ে গেলেন, কি কথা বললেন, আমরা কিছুই জানতাম না। এভাবে তো দল চলতে পারে না।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার মনে করেন, ‘স্থায়ী কমিটি হলো দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী সংস্থা। অথচ ইদানিং দলে স্টান্ডিং কমিটিকে বাইপাস করে অনেক কিছু হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।’
বিএনপির আরেকজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ম্যাডাম অ্যারেস্ট হবার পর আমরা চেয়েছিলাম সম্মিলিতভাবে দল পরিচালিত হবে। যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু মির্জা ফখরুল তার গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে একক সিগ্ধান্তে দল চালাচ্ছেন।‘
একাধিক সূত্র বলছে, ঈদের পর এসব নিয়ে বিএনপিতে মতবিরোধী আরো বাড়বে। স্থায়ী কমিটি মহাসচিবের কতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তু্লবে বলেও জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।