নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৫ জুন, ২০১৮
বিএনপির তিন নেতার ভারত সফরের পরপর পাকিস্তান দূতাবাস বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। পাকিস্তান দূতাবাসের দুজন পদস্ত কর্মকর্তা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সঙ্গে গুলশানে দীর্ঘ বৈঠক করেন। গত বুধবারের এই বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার পাকিস্তান দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা বৈঠক করেন বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন এবং মির্জা আব্বাসের সঙ্গে। যদিও বৈঠকে উপস্থিত একজন বিএনপি নেতা বলেছেন, ‘এটা কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না, এটা ছিল ইফতার মাহফিল।’ ওই নেতা দাবি করেন, ‘বুধবার পাকিস্তান দূতাবাসের ইফতার মাহফিলে বিএনপি এবং আরও কয়েকটি রাজনৈতিকদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।‘ তবে বৃহস্পতিবারে দুই নেতার বৈঠক সম্পর্কে ঐ নেতা অবহিত নন বলে জানান।
একাধিক সূত্র বলছে, পাকিস্তান জামাত এবং বিএনপির দক্ষিণপন্থী নেতারা, তিন নেতার ভারত সফরের পর সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। জামাতের শীর্ষ নেতারা বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতেই বিএনপিকে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। একই রকম মনে করেন, বিএনপিতে ভারত বিরোধী নেতৃবৃন্দ।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে পাকিস্তান বিএনপিকে ভারত সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্রমতে, ড: খন্দকার মোশারফ হোসেন এবং মির্জা আব্বাস দুজনই পাকিস্তানকে আশ্বস্ত করেছে যে, তিন নেতার ভারত সফর বিএনপি- পাকিস্তান সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে না। ঐ দুই নেতা বলেছেন, বিএনপির বৈদেশিক নীতির কোনো পরিবর্তন হবে না, এই সফরের ফলে।’
তবে, পাকিস্তান দূতাবাস মনে করছে, বিএনপি কাজটা ভালো করেনি।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।