নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ১৭ জুন, ২০১৮
বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী। বেগম জিয়া সি.এম.এইচে যেতে রাজী না- এটা জেনে প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘ সিএমএইচে যখন যেতে চায় না তখন অন্য মতলব আছে।’ সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট সুত্র গুলো জানিয়েছে, সরকার বেগম জিয়ার একগুয়েমীর কাছে নতি স্বীকার করবে না ।
ঈদের পরদিনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি চারজন চিকিৎসকের দেয়া রিপোর্ট সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন যে, বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি জেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ঈদের দিন আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের সাক্ষাতের বিবরণ প্রধানমন্ত্রীকে জানান। অসুস্থ মানুষ দেড় ঘন্টা এভাবে গল্পগুজব করতে পারেন না। সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে বেগম জিয়া যেতে চান না কেন? এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা তো অনেক ক্রিটিক্যাল রোগীকে এখানে এনে সুস্থ করেছি। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী , রাশেদ খান মেনন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে ড: জাফর ইকবালের প্রসঙ্গ টানেন। সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন,‘রাজনীতির মাঠ গরম করতেই বেগম জিয়া অসুস্থতার ইস্যুকে সামনে আনা হচ্ছে। এটা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চাইছে।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সংগে একমত পোষণ করেছেন।
একটি সূত্র বলছে, কারা বিধি অনুযায়ী, জেল কর্তৃপক্ষ কাউকে অসুস্থ মনে করলে তাঁর উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য সবকিছু করতে পারে। এক্ষত্রে কারাবন্দীর অনিচ্ছার পরও তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে অনশনরত ব্যক্তিকে জোর করে খাওয়াতে পারে জেল কর্তৃপক্ষ। তেমনি জেল কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, নির্দিষ্ট কারাবন্দীর সুচিকিৎসা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে সুচিকিৎসার জন্য কারাবন্দীর সম্মতি ছাড়াই তাকে যেকোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত পছন্দের চিকিৎসক যে সব পরীক্ষার সুপারিশ করেছে সরকার সেই পরীক্ষার জন্য দ্রুতই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না। কারণ, কারাবিধি অনুযায়ী কারাবন্দির দেখভাল ও সুস্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব জেল কতৃপক্ষের। আগামীকাল বেগম খালেদা জিয়াকে শেষবারের মতো অনুরোধ করা হবে। এতে অসম্মতি জানালে তাঁকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে কারাসূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে বেগম জিয়া কারাগারে আছেন। কারাগারে তাঁর সুবিধার জন্য জেল কতৃপক্ষ একটি সার্বক্ষনিক মেডিকেল টিম গঠন করেছে। এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি মেডিকেল বোর্ড বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।