নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৬ এএম, ১৯ জুন, ২০১৮
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় ‘ভারত’ প্রসঙ্গে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। গতরাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গাজীপুর সিটি নির্বাচন এবং তিন সিটি নির্বাচনে কৌশল নির্ধারণের জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে তিন নেতার ভারত সফর এবং মির্জা ফখরুলের লন্ডন সফর নিয়েই আলোচনা হয় বেশি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বৈঠকে বলেছেন, ‘ভারত সফর নিয়ে আমরা অন্ধকারে কেন? কি আলোচনা সেখানে হয়েছে তা জানা প্রয়োজন।’ স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘ভারত বিরোধী অবস্থান থেকে সরে এলে, বিএনপি আর বিএনপি থাকবে না, এটা আওয়ামী লীগের বি টিম হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘এই সফর নিয়ে এত লুকোচুরি কেন?’ অবশ্য বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তিন নেতার ভারত সফরে দলের নীতি ও আদর্শের কোনো বিচ্যুতি হয়নি। মূলত: সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি এবং ভারতকে বাংলাদেশের জনগণের মনোভাব বোঝানোর জন্য এই সফরের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, `ভারতই একমাত্র পারে বর্তমান সরকারের উপরে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চাপ সৃষ্টি করতে।` অবশ্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, `ভারতের সঙ্গে দেন-দরবার না করে বরং আন্দোলন করলেই ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা যায়। এতে ভারতও বিএনপিকে ভয় পাবে।`
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুলের লন্ডন সফর নিয়েও কথা হয়। যেখানে বিএনপি মহাসচিব তারেক জিয়ার সঙ্গে দুই দফা দীর্ঘ বৈঠক করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক সাহেব আন্দোলন এবং নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বৈঠকের বিস্তারিত শুনতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব কথা বলা যায় না।’ তবে তিনি বলেন, ‘সামনে এমন কিছু পরিস্থিতি তৈরি হবে, যেখানে সহজেই আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।