নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ২২ জুন, ২০১৮
বিএনপি তিন সিটিতে মেয়র পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও, গতরাতে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, জামাত এবং ২০ দলের ভয়ে বিএনপি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি। আগামী ২৭ জুন ২০ দলের বৈঠক আছে। ঐ বৈঠকে সবার সম্মতি নিয়ে ২০ দলের প্রার্থী হিসেবে এই তিনজনের নাম ঘোষণা করতে চায় বিএনপি। গতরাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তিন সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে শুধু বরিশালের বর্তমান মেয়র বাদ পড়েছেন। আহসান হাবিব কামাল ২০১৩ তে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তাঁর বদলে মুজিবর রহমান সরোয়ারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে মনোনয়ন পেয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল আর সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট এবং রাজশাহীর দুটি সিটি কর্পোরেশনের অন্তত একটিতে মেয়র পদ চাইছে জামাত। জামাতের এই দাবীকে সমর্থন করছে, ২০ দলের অধিকাংশ শরীকরা। জামাত জানিয়ে দিয়েছে, বিএনপি এক তরফা সিদ্ধান্ত নিলে জামাত তাঁর প্রার্থীকে বহাল রাখবে। যদিও বিএনপির বৈঠকে বলা হয়েছে, জামাত সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকারের ইন্ধনে খেলছে। কিন্তু এখনই বিএনপি জামাতের সঙ্গে বিরোধে যেতে চায় না।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুলাই তিন সিটির নির্বাচন হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।