নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৩ পিএম, ২৪ জুন, ২০১৮
‘কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বের হয়েছে। তারেক রহমান ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে সে দেশে কোম্পানি খুলে তার পরিচালক হয়েছেন। বাংলাদেশ সরকার প্রমাণ করে দিয়েছে, তারেক রহমান বিদেশে নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে যুক্তরাজ্যের নাগরিক তা প্রমাণিত।’
কথাগুলো পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের। তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডন সফরকালে আমি বলেছিলাম তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছেন। আমাকে চ্যালেঞ্জ করে বিএনপি তথ্য প্রমাণ চেয়েছিল। আমার ইচ্ছা ছিল না কিন্তু বাধ্য হয়েছিলাম তাদের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণে। উকিল নোটিশ দিয়ে আমাকে বলা হয়েছে, আমি যদি প্রমাণ দিতে না পারি তাহলে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই উকিল নোটিশের দেড় মাস অতিক্রম হয়েছে। তাদের সেই সৎ সাহস নেই।’
জানা গেছে, সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে তারেক রহমানের নাম উল্লেখ রয়েছে, সেখানে তার নাগরিকত্বের উল্লেখ করা হয়েছে ‘ব্রিটিশ’। যদিও চার মাস পরে তা তুলে বদল করে বাংলাদেশি’ উল্লেখ করা হয়েছে। এটি উইকিলিকসসহ আরও বেশ কয়েকটি তদন্ত সংস্থা প্রকাশ করেছে। কোম্পানি হাউসের ওয়েবসাইটে হোয়াইট অ্যান্ড ব্লু কনসালট্যান্ট লিমিটেড (ব্রিটিশ কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন নম্বর-০৯৬৬৫৭৫০) নামের একটি নতুন কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে তারেক রহমান নিযুক্ত হোন ২০১৫ সালের জুলাই মাসে।
কোম্পানি হাউসের তথ্যানুযায়ী তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বলা হয়েছে বাংলাদেশি। তবে কোম্পানি হাউসের শেয়ারসহ অন্য তথ্যের জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক।
কোম্পানিটি চ্যারিটি ইন করপোরেট হিসেবে নিবন্ধিত। কোম্পানির ১০০ শেয়ারের ৫০ শতাংশ তারেক রহমানের নামে আছে বাকি ৫০ শতাংশের মালিক তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের নামে। গত ২১ এপ্রিলের তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটি মাইক্রো কোম্পানি হিসেবে ১ আগস্ট ২০১৬ থেকে ৩১ জুলাই ২০১৭ সময়ের ব্যবসা সংক্রান্ত প্রথম রিটার্ন জমা দেয়। এতে কোম্পানির সম্পদ দেখানো হয়েছে ১২০৭ পাউন্ড যা বর্তমান দরে বাংলাদেশি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই অল্প সময়ে কোম্পানিটির আয় দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৮১০ পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই কোম্পানির ঠিকানাটিও তারেক রহমানের বাসভবনের বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।