নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ পিএম, ০২ জুলাই, ২০১৮
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি। নির্বাচনের আগে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রশাসনের কাজে গতি সঞ্চার এবং নির্বাচনে সরকারের দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রশাসন যেন কাজ করে তার নিশ্চয়তা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৮ জুলাই থেকেই প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শন শুরু হবে। এই ভিজিটের মূল লক্ষ্যই হলো, নির্বাচনের সময় দেওয়া অঙ্গীকারগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হলো তা দেখা। একই সঙ্গে আগে দেওয়া দিক-নির্দেশনা মন্ত্রণালয়গুলো কতটা বাস্তবায়ন করল তাও দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এই সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি সঞ্চারে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শন উপলক্ষে মন্ত্রণালয়গুলোতে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। সভাকক্ষ গোছানো হচ্ছে। নতুন ডিজিটাল বোর্ড লাগানো হচ্ছে। মন্ত্রণালয়গুলোও প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো সরকারের শেষ দিকে প্রশাসনে অনেকটা ঢিলেমি চলে আসে। এই ঢিলেমি দূর করে, মন্ত্রণালয়গুলোর কাজের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারে শেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ভিজিট।
এই সরকারের প্রথমদিকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রণালয়গুলো পরিদর্শন করেন। ওই পরিদর্শনে প্রশাসনে গতি সঞ্চার হয়। মেয়াদের শেষে এসে প্রধানমন্ত্রীর ভিজিট মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের প্রতিটি পর্যায়েই কাজের গতির বাড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।