নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৯ পিএম, ০২ জুলাই, ২০১৮
বিএনপিতে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, শনিবার এবং রোববার দলের সিনিয়র নেতারা বৈঠক করে দলকে গতিশীল করতে ‘পূর্ণকালীন’ চেয়ারম্যানের প্রস্তাব দেন। বেগম জিয়া বর্তমানে জেলে দায়িত্ব পালনে অক্ষম। অন্যদিকে তারেক জিয়াও এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন। বর্তমানে দল চালাচ্ছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, কর্মঠও বটে। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতারা তার কথা শুনছেন না। দলের মাঠ পর্যায়ের ওপর মির্জা ফখরুলের নিয়ন্ত্রণ কম। মির্জা ফখরুল নেতা হিসেবে আদেশ ও নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। এ কারণেই দলের কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। দুটি সিটি নির্বাচনে বিএনপি মুখ থুবড়ে পরেছে মূলত: নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্যই। এরকম পরিস্থিতিতে একজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিষয়ে বিএনপিতে কথাবার্তা চলছে।
বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী দলের চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যানের পর দলের ক্ষমতা স্থায়ী কমিটির কাছে। বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের মহাসচিবের ক্ষমতা খুবই সীমিত, দাপ্তরিক। তিনি মূলত চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেন। এজন্য বিএনপির সিনিয়র নেতারা বেশ কিছুদিন ধরেই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে আসছিলেন। গতরাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সিনিয়র নেতাদের এই সিদ্ধান্তের কথা কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়া এবং লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানকে জানানো হবে। তাদের সবুজ সংকেত পেলেই স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠতম সদস্য হিসেবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
অন্য একটি সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ করে ভারত, তারেক জিয়াকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদ থেকে আপাতত নিষ্ক্রিয় করার অনুরোধ করে আসছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও বর্তমানে দেশে আছেন এমন কাউকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির গ্রহণযোগ্যতা তৈরি এবং বিএনপি ‘পরিবার কেন্দ্রিক’ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি প্রমাণের উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ। অবশ্য অন্য একটি সূত্র বলছে, সরকার চাইছে বেগম জিয়াকে এবং তারেক জিয়া বিহীন একটি বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠে নিতে। এই উদ্যোগ তারই একটি ধারাবাহিকতা।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।