নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ০৩ জুলাই, ২০১৮
‘বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস অনেকটা বিএনপি`র মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি গাজীপুরে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি`র মন্তব্যগুলোই তারা পুনরাবৃত্তি করছে এবং অনিয়মের কথা বলছে অথচ নির্বাচনে বিএনপি`র সহিংসতা চালানোর চেষ্টা নিয়ে কিছুই বলছে না।’
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গতকাল সোমবার রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে এসব কথা লেখেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, ‘নির্বাচনে ৪২৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৯টি অর্থাৎ ২.১ শতাংশ কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছিল। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে কেন্দ্রগুলোর ভোটগ্রহন বাতিল ঘোষণা করে।
আমাদের নতুন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির প্রার্থী হাসান থেকে ২ লক্ষের বেশি ভোট, অর্থাৎ দ্বিগুন ভোট, পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সকল নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা একমত যে অনিয়মের অভিযোগ যা এসেছে তা কোনোভাবেই নির্বাচনের ফলে প্রভাব ফেলতে পারেনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমানের ফোনালাপ থেকে আমরা জানতে পারি যে তার দল সহিংসতা তৈরী করার মাধ্যমে নির্বাচনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের বক্তব্যে এই বিষয়টিকে কিন্তু এড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের নীতি হচ্ছে অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো। তাই বক্তব্যটি বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসেরই বলে ধরে নেয়া যায়। বুঝাই যা যাচ্ছে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের বিএনপির বন্ধুদের সাথে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছেন আজকাল।’
বিএনপির প্রতি বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের পক্ষপাত বিষয়ে বাংলা ইনসাইডার গত ১ জুলাই ‘মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন জোট’ শিরোনামে (https://bit.ly/2IN37WF) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বিএনপির প্রতি দূতাবাসটির পৃষ্ঠপোষকতা ও পক্ষপাত বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
এর আগে গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের অনভিপ্রেত মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সে বিষয়ে ২৮ জুন বাংলা ইনসাইডার ‘নিজের চরকায় তেল দিন’ শিরোনামে (https://bit.ly/2KpQyG8) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।