নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৫ জুলাই, ২০১৮
বিএনপি এবং ঐ দলের নেতা তারেক জিয়াকে জামাত ‘মিথ্যাবাদী’ বলেছে। জামাত নেতারা বলছে, ‘মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। মিথ্যাবাদীরা ইসলামের শত্রু।’ জামাতের নেতা আব্দুল হালিম গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে জামাতের অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের রয়েছেন।’ তিনি বলেছেন, ‘বিএনপির গুলশান অফিসে ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম। কতিপয় মিডিয়ায় প্রচারিত বিভ্রান্তিকর রিপোর্টে আমি বিস্ময় প্রকাশ করছি।’
গতকাল ২০ দলের বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে, ২০ দল একক প্রার্থীর ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছে। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা ঐ বক্তব্যকে প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে নাকচ করে দিয়েছেন। জামাতের নেতা আব্দুল হালিম বলেছেন, ‘সিলেটে আমাদের প্রার্থী আছেন। এনিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নেই।
এর আগে গতকাল বিকেলে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া ফোন করেন জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানকে। তারেক জামাত নেতাকে সিলেট থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অনুরোধ করলে ডা. শফিক তা প্রত্যাখ্যান করেন। জামাতের ওই নেতা বলেন, `আপনারা মিথ্যুক দল। বিপদে পড়লে আমাদের খোঁজ নেন। প্রয়োজনে পা ধরেন। ডা. শফিক তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সিলেটে মেয়র প্রার্থী জামাত থেকে হবে, এই অঙ্গীকার ২০১৩ সালে আপনি করেছিলেন। তখন আপনি বলেছিলেন, পরের বার সিটি নির্বাচনে অবশ্যই ২০দল জামাতের প্রার্থীকে সিলেটে মেয়র পদে মনোনয়ন দেবে। এখন আবার আপনারা অন্য কথা বলছেন।’
একাধিক সূত্র বলছে, ডা. শফিক অভিযোগ করেছেন যে, জামাতকে ধ্বংস করতে বিএনপি ভারতের সঙ্গে আঁতাত করেছে। তিনি তারেককে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিএনপি ধ্বংস হতে পারে, বিলীন হতে পারে, জামাত নয়।’
তারেক জামাত নেতার কাছে ক্ষমা চান। মাফ চান। তবুও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। কিন্তু জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘সেটি সম্ভব না। আমাদের কর্মীরা চাইছে নির্বাচনে থাকতে। এটা আমাদের অস্তিত্বের জন্য দরকার।’
একাধিক সূত্র বলছে, গতকাল ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে কেবল একক প্রার্থিতার ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছে। একক প্রার্থী কারা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যোগাযোগ করা হলে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘হ্যাঁ, এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আবার বসছি, আশা করি আমরা সমঝোতায় পৌঁছুতে পারব। শেষ পর্যন্ত জামাত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে।’
তবে জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিম বলেছেন, ‘আমরা সিলেটে থাকছি। এটা আমাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এ থেকে সরে আসার সুযোগ নেই।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।