নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৭ জুলাই, ২০১৮
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন সজীব ওয়াজেদ জয়। তরুণ প্রজন্মকে অকৃষ্ট করতে এবং তাঁর জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা। আক্টোবরে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারকাজে নিয়ন্ত্রণ আসবে। বর্তমান নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী, তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা ছাড়া অন্য নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার সুযোগ পাবেন না। অন্যান্য মন্ত্রী এবং এমপিদের ক্ষেত্রেও প্রচারণা সুযোগ থাকবে সীমিত। ফলে স্পর্শকাতর এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রচারণা দুর্বল হয়ে যাবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে প্রথম ভোটার এবং দ্বিতীয় ভোটাররা। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী ভোটাররাই এবার ভোটের ভাগ্য নিয়ন্তা বলে আওয়ামী লীগের গবেষণায় উঠে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তরুণদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি যেহেতু, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না, তাই নির্বাচনী বিধি-নিষেধ তাঁর জন্য প্রযোজ্য হবে না। আওয়ামী লীগেও জয় অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণে বিভিন্ন এলাকায় কোন্দল এবং অন্ত:কলহ অনেক কমে যাবে বলেই মনে করছে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে জাতীয় নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, ২০১৪’র নির্বাচন আর এ বছরের শেষে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকবে। ২০১৪’র নির্বাচনে বিএনপি সহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। এক তরফা নির্বাচনে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছিল। ঐ নির্বাচনে প্রচারণার প্রয়োজন হয় নি। কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলেই মনে করছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ছাড়াও প্রায় সব রাজনৈতিক দল ঐ নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে, বিএনপির সব নেতারাই সারাদেশে প্রচারণায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে এরকম অনেক নির্বাচনী এলাকা আওয়ামী লীগ চিহ্নিত করেছে যেগুলোতে শুধু প্রার্থী জোয়ার তুলতে পারবে না। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের তুরুপের তাস হবেন জয়।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, শুধু সভা সমাবেশ নয়, ডিজিটাল প্রচারণা পরিচালিত হবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা মনে করছেন, ২০১৮’র নির্বাচনে মাঠের বক্তৃতার চেয়ে ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তরুণ ভোটারদের কাছে প্রচলিত গণমাধ্যম আর সরাসরি জনসংযোগ করে যাওয়া সহজ হবে না। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সহজেই যুক্ত করা সম্ভব। নির্বাচনে সাইবার যুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
ইতিমধ্যে জয়ের নেতৃত্ব এবং নির্দেশনায় এনিয়ে কাজ করছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী টিম।
Read in English- https://bit.ly/2NzPH3F
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।